বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষনান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষনান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষনান।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানান হয়।

ফোনালাপে বালাকৃষনান বলেছেন, সার্কিটব্রেকার কর্মসূচির আওতায় সিঙ্গাপুরে সব ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সম্পূর্ণ বেতনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া সব শ্রমিককে বিনামূল্যে খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরে ১ হাজার ৪৮১ জন করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪৪ জন বাংলাদেশি। আরও বেশকিছু সংখ্যক বাংলাদেশিকে সঙ্গরোধে রাখা হয়েছে। তাদের চিকিৎসাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধানে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ।

ফোনালাপে আরও জানানো হয়, সিঙ্গাপুরে প্রথম আক্রান্ত পাঁচ জন বাংলাদেশির মধ্যে চারজনই এখন সুস্থ। গুরুতর অসুস্থ একজনের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে।

এদিকে এক ফেসবুক বার্তায় সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলার পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোনে কথা বলেছি। কোভিড-১৯
মহামারি সম্পর্কে আমরা তথ্য বিনিময় করেছি এবং এই চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘ড. মোমেন সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য, কল্যাণ, খাদ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহের পাশাপাশি বেতন প্রদান অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আমি এখানে কোভিড-১৯ নিয়ে কয়েকটি স্বাস্থ্য সতর্কতা তাকে বুঝিয়েছি। বাংলাদেশের শ্রমিকরা সিঙ্গাপুরে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তাদের মঙ্গলে জন্য আমাদের দায়িত্ব আছে।’

ভিভিয়ান বলেন, ‘আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিককে শুভ নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কারণ, আমরা একসঙ্গে এই সংকটকে মোকাবিলা করছি।’

   

রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমি যেমন চিকিৎসকের মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ হলে আমি যেমন সহ্য করবো না, আবার রোগীর প্রতি চিকিৎসকের কোনো অবহেলা হলেও বরদাস্ত করবো না।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারের নব-নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষ অতি সাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও খুব সীমিত। ডাক্তারের কাছে এলে তারা প্রথমে চায় একটু ভাল ব্যবহার। একটু ভাল করে তাদের সঙ্গে কথা বলা, একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। আমি মনে করি সে স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর হচ্ছো তোমরা। যারা আজকে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছ। আমার বিশ্বাস, তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপনারা যে কর্মস্থলে যোগ দিতে যাচ্ছেন, সেখানে যারা সেবা নিতে আসবেন তারা হয়তো আমাদের আত্মীয়স্বজন। যেহেতু আমাদের দেশটা ছোট সেহেতু এখানে যারা সেবা নিতে আসবেন, তাদের নিজের বাবা,মা বা আত্মীয়স্বজন ভেবে স্বাস্থ্য সেবা দিবেন। আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সেবা প্রদানে সতর্ক থাকবেন, দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থাকবেন।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ৪১তম বিসিএস স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১০৩ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৭১ জন এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ১৫৩ জন যোগদান করেন।

;

লক্ষ্মীপুরে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দুই মেম্বার প্রার্থীসহ আটক ৮



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দুই মেম্বার প্রার্থীসহ ৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, পূর্ব চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে মেম্বার প্রার্থী নুর নবী ও শাহজাহান এবং একই কেন্দ্রের এজেন্ট গিয়াস উদ্দিন ও মো. দিদারকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনস চন্দ্র। ওই কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় রোকেয়া বেগম নামে এক নারী আটক করে পুলিশ।

এর আগে, হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুরের ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে নারী ও পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, মেম্বার পদে ২২৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । নির্বাচনে ৪৬টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার।

;

সিরাজগঞ্জে গাড়ির চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে উল্লাপাড়ার কাওয়াক মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল হোসেন উপজেলার সেনগাঁতী গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান জানান, অটোরিকশা নিয়ে বিল্লাল হোসেন বাড়ি থেকে শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাওয়াক মোড়ে আকস্মিকভাবে তার ভ্যানের এক্সেল ভেঙে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় দ্রুতগামী অজ্ঞাত একটি গাড়ি অটোরিকশাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিল্লাল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

আইনি সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, এটা তার অধিকার: আনিসুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনগত সহায়তা পাওয়া কারো প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার সমান অধিকারের কথা সন্নিবেশ করে গেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দুঃখজক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাবার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল সহায়সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

কিন্তু ২০০১ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে সাত বছর শেখ হাসিনা সরকারে না থাকায় নাগরিকদের এই অধিকার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, বলেন তিনি।

এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার দ্বিতীয়বার দায়িত্বে এলে আবারও আইনি সহায়তা কার্যক্রম আলোর মুখ দেখে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই অভিযাত্রায় তার সরকার আইনগত সহায়তা কার্যক্রম রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপনসহ ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এর ধারাবাহিকতায় আমরা প্রত্যেকটি উপজেলা ও ইউনিয়নে লিগ্যাল এইড কমিটি এবং চৌকি আদালত ও শ্রম আদালতে বিশেষ লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করি। শ্রম আদালতে শ্রমিক আইনি সহায়তা সেল আমরা চালু করি। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষ যেনো দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসে ন্যায় বিচার পান। সেজন্য ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম শুরু করি।

আনিসুল হক বলেন, সরকারি আইনি সহায়তা আরও সহজ করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে টোল ফ্রি জাতীয় হেল্প লাইন ১৬৪৩০ সার্ভিস চালু করেছি।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে জুলাই ২০১৫ সাল থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৪৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এইবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

;