কার্ডধারীরা পাচ্ছে না চাল, বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিলার কাশেম, ছবি: সংগৃহীত

ডিলার কাশেম, ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে হতদরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে ডিলার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রকৃত কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে বেশি দামে অন্যদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন। ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্য।

অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই অভিযান চালিয়ে কয়েকটি বাড়ি থেকে ৭ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে। পরে চালগুলো উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে লোভী ডিলার কাশেমের চালবাজির ঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বঞ্চিত লোকজন।

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্র জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৭১৫ জন কার্ডধারী রয়েছেন। প্রত্যেক কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। কিন্তু ডিলার কাশেম তাদের কাছে চাল বিক্রি না করে বেশি দামে বাইরে বিক্রি করছেন। এতে বস্তা প্রতি তিনি ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি লাভ করছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে এনএসআই অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৭ বস্তা চাল জব্দ করেন। যাদের কারো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড নেই।

জানা যায়, ডিলার কাশেম চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়ার অনুসারী হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত।

ডিলার আবুল কাশেম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে আমি কার্ড ছাড়া লোকজনকে চাল দিয়েছি। কার্ডের লোকজন চাল নিতে আসছে না।

চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দরিদ্রদের চাল অন্যদের কাছে বিক্রি করে ডিলার অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, জব্দ করা ৭ বস্তা চাল আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি ইউএনকে জানিয়েছি। অনিয়ম করায় কাশেমের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।