৮শ’ ছাড়ালো আক্রান্তের সংখ্যা, মোট মৃত ৩৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক/ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আটশো ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮২ জন ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮০৩ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ জন।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭০ টেস্ট হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন। 

জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউন জোরালো করতে হবে। লকডাউন মানুষ পুরোপুরি মেনে চলছে না। বাইরে বাজারে মানুষ ঘোরাফেরা করছে। আমাদের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। এখন কেউ নিয়ম না মানলে বেশি সংক্রমিত হবে।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: দেশে এক দিনে নতুন শনাক্ত ১৮২, মৃত্যু ৫

   

মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে কোরআনে হাফেজ নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া এরশাদ উল উলুম মাদরাসার হাফেজ ছাত্র হাফেজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (১৫) বজ্রপাতে নিহত হয়েছে।

সোমবার (০৬ মে) সন্ধ্যার পরে বাড়ির পাশে বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত হাফেজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ পূর্ব কুকুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র।

নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, বিকেল থেকে ওই গ্রামসহ আশেপাশে মুষলধারে বৃষ্টিতে বাড়ির পাশের বিলে পানি জমে যায়। সন্ধ্যার পর হাফেজ আবদুল্লাহ ওই বিলে মাছ ধরতে যায়। সেখানে মাছ ধরা অবস্থায় বজ্রপাতে সে নিহত হয়। সংবাদ পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে।

কুকুয়া এরশাদ উল উলুম মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ মুঠোফোন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুনেছি আমাদের মাদরাসার হাফেজ ছাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ তার বাড়ির পাশে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছে।

নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমার হাফেজ পুত্র আবদুল্লাহ সন্ধ্যার পরে বিলে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে।

;

কলকাতা থেকে কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করা ফ্লাইট পৌঁছালো গন্তব্যে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করা ফ্লাইট পৌঁছালো গন্তব্যে

কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করা ফ্লাইট পৌঁছালো গন্তব্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করা ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। যেখানে ৪৫ জন যাত্রী রয়েছে। তারা সবাই নিরাপদে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (০৬ মে) বিকেল সাড়ে ৭ টায় আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কক্সবাজার থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে নিরাপদে অবতরণ করেছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ফ্লাইটের শিডিউল এখনো পর্যন্ত বিপর্যয় হয়নি।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে আসা কলকাতা থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করে। যেখানে ৪৫ জন যাত্রী আছে। তারা সবাই নিরাপদে ছিল। তাদেরকে বিমানের মধ্যেই খাবার দেওয়া হয়েছে।

 

;

সংসদে ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি বিল-২০২৪’ উত্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনের কাঠামোয় আনতে জাতীয় সংসদে ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল-২০২৪’ উত্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার (০৬ মে) অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিদ্যমান কোনো আইন নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার-১৯৭২ অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলম্যান্ট সিষ্টেমস রেগুলেশনস-২০১৪ এবং রেগুলেশন্স অন ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার-২০১৪ এর আওতায় সব পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংক্রান্ত পৃথক কোনো আইন না থাকায় ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের জন্য বর্ণিত রেগুলেশনস পরিপালনার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিশোধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণেও বর্তমানে কোনো আইন নেই। তাই গ্রাহক-স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনি কাঠামোর আওতায় নিয়ে জরুরি বিধায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন-২০২৪' প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা প্রদান করতে পারবে না। একইভাবে কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা প্রদান করতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘনের সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড।

বিলে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি অগ্রিম পরিশোধ দলিল ইস্যু, ক্রয়–বিক্রি করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে যেকোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয় এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্লাটফর্ম পরিচালনা করতে পারবে না। এসব বিধান অমান্য করলে সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড।

;

চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে স্বস্তি, জলাবদ্ধতায় অস্বস্তি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের মতো গরমে অতিষ্ট চট্টগ্রামের মানুষেরাও বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছিলেন বহুদিন ধরে। মাঝখানে এক–দুবার বৃষ্টি পড়লেও তাতে মন ভরেনি নগরবাসীর। অবশেষে বহুল প্রতিক্ষীত সেই বৃষ্টি এলো একরাশ স্বস্তি নিয়ে। টানা তিন ঘণ্টা ধরে পড়া ঝুমবৃষ্টিতে তাপমাত্রাও নেমে এসেছে ত্রিশের নিচে। কিন্তু স্বস্তির সেই বৃষ্টিই কিনা পরে হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্বস্তির-ভোগান্তির।

কেননা ঝুম বৃষ্টিতে ভেসে গেছে শহরের নিম্নাঞ্চল আর বাতাসের তোড়ে কোথাও সড়কে উপড়ে পড়েছে গাছ, কোথাও বা ঘরের চাল উড়ে গেছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল তিনটা থেকে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি। বৃষ্টির শাসন চলতে থাকে এক টানা তিন ঘণ্টা। এরপর থেমে থেমে পড়তে থাকে বৃষ্টি।

তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি

আবহাওয়া অধিদফতরের পতেঙ্গা কার্যালয় তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মেঘনাৎ তংচঙ্গা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।

ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চল

বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, চকবাজার, শুলকবহর, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে গেছে। বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি আটকে থাকতে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় সড়কে মানুষের মিছিল নামে। অনেকেই হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে ফিরেন।

বেশিরভাগ এলাকায় হাঁটু সমান পানি উঠে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে কাপাসগোলা ও চকবাজার এলাকায় নালা ও সড়কের পানি একাকার হয়ে যাওয়ায় মানুষজনকে ভোগান্তি ও সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হচ্ছিল। কেননা একটু এদিক ওদিক হলেই নালার পানিতে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এসব এলাকার নিচতলা ও দোকানও পানিতে তলিয়ে গেছে।

ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চল

চকবাজার এলাকায় কথা হয় মুদি দোকানি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষ গরম পড়লেই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। আর আমরা ভয়ে থাকি বৃষ্টির কথা শুনলে। কেননা বৃষ্টি পড়লেই শুধু সড়ক না দোকানও ডুবে যায়। এই যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পাব জানি না।

প্রায় একই কথা বলেছেন শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই পানি উঠবে, এটা যেন চট্টগ্রাম শহরের জন্য নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা নিচতলায় বাস করেন, তারাই বোঝেন বৃষ্টির যন্ত্রণা কি? সড়ক হয়ে পানি ঢুকে গেছে বাসার নিচ তলাতেও। দিনভর অফিস শেষে এখন সেই পানি সরাচ্ছি। রাতে আবার ভারি বৃষ্টি হলে পুনরায় পানি উঠে যাবে।

বৃষ্টির কারণে সড়কে গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। চকবাজার থেকে জামালখান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে শত শত শিক্ষার্থীকে হেঁটে বাসায় ফিরতে দেখা গেছে। আর কোনো গাড়ি এলেই সবাই সেই গাড়িতে উঠার জন্য হুড়োহুড়ি করছিলেন।

সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ

বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার তোড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। এ কারণে ওই সব সড়কে যান চলাচল ব্যাঘাত ঘটে।

সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ

কাজির দেউড়ির বন্ধ হয়ে যাওয়া শিশু পার্কের তিনটি বড় শিরীষ গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে। এই কারণে সড়কের এক পাশে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে গাছগুলো কেটে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। একইভাবে খুলশীর জাকির হোসেন সড়কেও বেশ কয়েকটি গাছ সড়কের ওপর ভেঙে পড়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়।

গাড়িভাড়া দ্বিগুণ

বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ে গ্যাসচালিত টেম্পোতে জনপ্রতি পাঁচ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার অজুহাতে গাড়ি চালকেরা সেই ভাড়া নিচ্ছেন দশ টাকা করে।

বহদ্দারহাট মোড়ে টেম্পোচালকদের উঠানামা দশ টাকা হারে ভাড়ার জন্য হাঁকডাক করতে দেখা যায়। জানতে চাইলে একজন চালক বলেন, সড়কে পানি উঠে গেছে। পানির ওপর দিয়ে গাড়ি চালানো ঝুঁকির। যে কোনো সময় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে তবুও আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। সেজন্য বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি।

হাঁটু পানিতে ভোগান্তিতে মানুষ

একইভাবে চকবাজার-আগ্রাবাদ রুটেও দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা যায়। এ নিয়ে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

চকবাজারে হাবিবুল ইসলাম নামের এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সড়কে জলাবদ্ধতা হলে সেই দায় আমাদের কেন নিতে হবে? এ নিয়ে টেম্পোচালকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সরাসরি বলে দেন পোষালে ওঠেন, না হলে ওঠবেন না। আমরা যেন তাদের কাছে অসহায়। তাদের ধরার কেউ যেন নেই।

;