দূষণমুক্ত-জনশূন্য ঢাকা নগরীর আজ ২০ দিন!



ফাতিমা তুজ জোহরা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দূষণমুক্ত-জনশূন্য ঢাকা নগরীর আজ ২০ দিন!

দূষণমুক্ত-জনশূন্য ঢাকা নগরীর আজ ২০ দিন!

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেওয়া হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের যান চলাচল, কারখানা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করা হয়। এতে ব্যস্ত নগরী ঢাকা হয়ে পড়ে স্থবির। যানচলাচল নেই, কন্সট্রাকশনের কাজ থেমে গেছে, নির্মাণাধীন ফাঁকা দালান-কোঠায় পশু-পাখির অবাধ বিচরণ, দিনভর পাখির কলতান, আর ঝকঝকে নীলাভ আকাশে ধরা দিচ্ছে অন্য রূপ। করোনার প্রভাবে জনমনে যখন অস্থিরতা তখন ঢাকার বায়ুদূষণের হার কমছে আশানুরূপ ভাবে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকার বায়ু মানের সূচক ছিল ১৯০ স্কোর। ঠিক একদিন আগে রোববার সকালে বায়ু মানের সূচক ছিল ৭৩ স্কোরে। গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বায়ু মানের সূচকের মান ১০৯, ১৬০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ পর্যন্ত অবস্থানে ছিল।

নতুন জীবন পেয়েছে তিলোত্তমা নগরীর প্রকৃতি

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কী?

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো বায়ু মানের সূচক। সূচক অনুযায়ী ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে। এজন্য নির্মাণ কাজ, ধুলা, যানবহনের ধোঁয়া, কলকারখানার কালো ধোঁয়ায় দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ঢাকা শহরের অতিমাত্রার দূষণের কারণ হিসেবে ইটাভাটাকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী ইটভাটাগুলো অপসারণ করা সত্ত্বেও কমেনি বায়ুদূষণ বলে জানান পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাসচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।

দূষণমুক্ত রাজধানীর আকাশ

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকার আশেপাশের ইট ভাটাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল এটা দূষণের মূল কারণ। পরে দেখা যায়, শিল্পকারখানা, কন্সট্রাকশনের কাজ এবং যানবাহন আসলে বড় ধরনের প্রভাব রাখে দূষণে। সেক্ষেত্রে যানবহন ও শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূষণের মাত্রা কমে গেছে। 

২০০৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীর বায়ু দূষণের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী এ কালো ধোঁয়া। ২০০২ সালে ফিটনেস বিহীন বেবিট্যাক্সিসহ পুরাতন যানবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ঢাকার বায়ুতে বিশাল এক পরিবর্তন আসে। বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০ শতাংশের নিচে নেমে আসে।

এ প্রসঙ্গে ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে হলে, কারখানা বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। এছাড়া মানুষের চলাচলে নগরীর বাইরে থেকেও যানবহন আসে। পরিবেশ এবং অর্থনীতি একসঙ্গে চালু রাখতে অবশ্যই কলকারখানাগুলোকে এনভায়রনমেন্ট ফেন্ডলি ওয়েতে অপারেট করতে হবে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা এনভায়রনমেন্ট ফেন্ডলি ওয়েতে অপারেট করে না। এখনও পুরনো গাড়িগুলো অপসারণ করে এবং কন্সট্রাকশনের যেসব কাজ হচ্ছে–তা যদি পরিবেশ অধিদফতরের গাইডলাইন অনুযায়ী চালিয়ে যায় তাহলে দূষণের মাত্রা কমবে। শুধু এককভাবে পরিবেশ অধিদফতর নয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

করোনাকালে যানবাহন শূন্য রাজধানীর ফ্লাইওভার

এখন দেখা যাক সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগের এক সপ্তাহে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কত ছিল— মার্চের ২১ তারিখ ঢাকার স্কোর ছিল ২৫৬। যা স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। যথাক্রমে মার্চের ২৫ তারিখ ২৪৭, মার্চের ২১ তারিখ ২১৪ একিউআই স্কোর, মার্চের ২০ তারিখ ২১৪ একিউআই স্কোর।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনাভাইরাসের এই বিপর্যয় আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা উন্নয়নের যে রোল মডেলে আছি সেটি সাসটেইনেবল নয়। এটি শুধু বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল নয়, গোটা বিশ্বের কনজামশন মডেলই টেকসই নয়। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে কখনও লাভ করা যায় না। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও বুঝতে পারছে, স্বাস্থ্যখাত, নেচার কনজারভেশনে কম ব্যয় করে এবং অতিরিক্ত ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ব্যয় করে তাদের খুব একটা লাভ হয়নি। প্রকৃতির সঙ্গে সহবস্থান করে ভালো থাকা যাবে। 

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিবেশের এই পরিবর্তন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একইসঙ্গে এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমাদের আচরণগত পরিবর্তন অর্থাৎ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, যেখানে সেখানে থুতু-কফ-ময়লা না ফেলা এবং এর সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনার বিকল্প নেই। যা আমাদের মানসিক বিকাশে সহায়ক। 

সম্প্রতি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে বিরাট পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যুক্তরাজ্য ও নিউইয়র্কের আকাশে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড আর কার্বন মনক্সাইডের মাত্রা ৫০ শতাংশের বেশি কমেছে।

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;