আরও ২দিন বজ্রসহ শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা
বৈশাখের দ্বিতীয় দিন থেকে রাজধানীসহ রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এতে পরিপক্ব হওয়ার আগেই গাছ থেকে ঝরে পড়েছে আম। ঝড়ের তাণ্ডবে কয়েকটি স্থানে গাছপালাও ভেঙে গেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আরও দু’দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো বাতাসসহ বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা থাকতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। এতে কয়েকদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকবে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে রোদের পারদ ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত ছুঁতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীতে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কিছুটা বাড়তে থাকে। তবে মাঝে মাঝে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে দেখা যায় সূর্যকে। বিকেল থেকে ঠান্ডা বাতাসও বইতে থাকে। ঢাকায় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিন টাঙ্গাইল, নিকলি, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, খুলনা, মংলা, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে ঝড়ো বাতাসসহ বজ্রবৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ১৬ থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। একইসঙ্গে শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে। এরপর আবহাওয়া ঠিক হলে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে নদীবন্দরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।