রংপুর বিভাগে সঙ্গরোধ থেকে ছাড়পত্র পেল ৭ হাজার ৫৯৭ জন
রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে আরও ৯৮৬ জনকে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) রাখা হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগের ৮ জেলায় সঙ্গরোধে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭৯২ জনে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৫৯৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সঙ্গরোধে আছেন ১৩ হাজার ১৯৫ জন।
এই বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৫৩ জন সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়াও ৬২ জনকে আইসোলেশনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রোগী রয়েছে গাইবান্ধা জেলায়। এরপরই রয়েছে দিনাজপুরে।
বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে গাইবান্ধায় ১৪, দিনাজপুরে ১১, নীলফামারীতে ৯, রংপুরে ৭, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬, কুড়িগ্রাম ৩, লালমনিরহাটে ২ এবং পঞ্চগড় জেলার ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা জেলার ৬ ও রংপুর জেলার ৩ জন ছাড়া সকলকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ গার্মেন্টস শিল্প এলাকা হতে গ্রামে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হবার আশঙ্কায় গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে ২৬৬, রংপুরে ১৪৯, গাইবান্ধায় ১২৬, কুড়িগ্রামে ৫২, পঞ্চগড়ে ৭৬, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯, নীলফামারীতে ২৭৮ জনকে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) রাখা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৭ হাজার ৫৯৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই বিভাগে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) অবস্থান করছে ১৩ হাজার ১৯৫ জন। এছাড়া রংপুরে ৬ জন, ঠাকুরগাঁয়ে ১১, পঞ্চগড়ে ২, নীলফামারীতে ১৩, লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ৩, দিনাজপুরে ১১ এবং গাইবান্ধা জেলায় ১৪ জন সহ এই বিভাগে মোট ৬২ জনকে আইসোলেশনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) রয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২ হাজার ৩৭৮ জন, গাইবান্ধায় ২ হাজার ১৮৭ জন, কুড়িগ্রামে ৫৬০, লালমনিরহাটে ২৯১, নীলফামারীতে ৫ হাজর ৬৭১, পঞ্চগড়ে ৭৩৬, রংপুরে ৬৫৯ এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় ৭১৩ জন সহ মোট ১৩ হাজার ১৯৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের সকলেই এখন পর্যন্ত সুস্থ্য রয়েছেন।
এদিকে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, সোমবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি পিসিআর ল্যাবে রংপুর বিভাগের আট জেলার ১৮৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তকিবল বাজার এলাকার এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ওই যুবকের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। সে নারায়ণগঞ্জ থেকে রংপুরে এসে কাউনিয়াতে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে আক্রান্ত ওই যুবকের শ্বশুর বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী তকিবল বাজার লকডাউন করা হয়েছে বলেও জানান জেলা সিভিল সার্জন।