কচু শাকের কদর বেড়েছে দরিদ্র মানুষের কাছে



তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
কচু শাক তুলছেন ছকিনা বেওয়া, ছবি: বার্তা২৪.কম

কচু শাক তুলছেন ছকিনা বেওয়া, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার প্রভাবে গাইবান্ধার দিনমজুর পরিবারে দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী সবজি কিনতে পারছেন না। যার ফলে ঝোপঝাড়ে অযত্নে-অবহেলায় বেড়ে ওঠা বিভিন্ন জাতের ‘বুনো শাক-সবজি’র দিকে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। দরিদ্র মানুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি কদর বেড়েছে ‘বুনো কচু শাকের’।

বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে গাইবান্ধার জামালপুর ইউনিয়নের বুজরুক রসুলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার রকিব মিয়ার বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে আপন খেয়ালে কচু শাক তুলছেন ছকিনা বেওয়া (৭০) নামের এক বৃদ্ধা।

জানা যায়, করোনার প্রভাবে গাইবান্ধায় কয়েক লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে দিনমজুর পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। তারা খাদ্যের
সন্ধানে ছুটছেন এদিক-সেদিক। দু’বেলা অন্ন যোগাতে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরিদ্র জনগণ কিছু খেয়ে বাঁচার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। তারা কষ্ট করে সামান্য চাল যোগার করলেও, মিলছে না সবজি বা মাছ, মাংস। তরকারির চাহিদা মেটাতে তাই তারা ঝোপঝাড় বা বসতবাড়ির আশেপাশে অনাদরে-অবহেলায় বেড়ে ওঠে ঢেঁকি শাক, কলার থোর, কচু শাকসহ প্রভৃতিকেই বেছে নিয়েছেন। কারণ, এসব শাক-সবজি টাকা দিয়ে কিনতে হয় না তাদের।

অযত্নে বেড়ে ওঠা কচু শাক, ছবি: বার্তা২

ছকিনা বেওয়া নামের ওই বৃদ্ধা বলেন, শ্রম বিক্রি করে সংসার চালানো হচ্ছিল। সম্প্রতি করোনার প্রভাবে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিকভাবে দু’বেলা খাদ্য যোগাতে
পারছি না। একটু চাল সংগ্রহ করলেও তরকারি মিলছে না। তাই ঝোপে বেড়ে ওঠা কচু শাক তুলছি। এ দিয়ে ভর্তা ও ডাল বানিয়ে খাব।

দুদু মিয়া নামের এক প্রবীণ শিক্ষক জানান, প্রায় তিন দশক আগে মানুষের ঘরে অভাব-অনটন ছিল। সেই সময়েও বুনো সবজি খেতেন লোকজন। এখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত সবজি কিনেই খাওয়ার সামর্থ্য হয়েছে সবার। কিন্তু করোনার প্রভাবে দেশে আবার দেখা দিয়েছে এমন সংকট। তাই নিম্ন আয়ের জনগণ আবার বুনো সবজির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।

স্থানীয় চিকিৎসক ডা. নজরুল ইসলাম খুশি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বুনো কচু ও শাকের পুষ্টিগুণ অনেক। এটি সবার জন্য খাওয়া প্রযোজ্য।

   

শাহ আমানতে সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দর

শাহ আমানত বিমানবন্দর

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত সব ধরণের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও আজ সকালে, দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী আট ঘণ্টা উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছিল বিমানবন্দরটি।

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল।

তিনি বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এয়ারফিল্ডের স্থগিতাদেশ এবং এর রান-ওয়ে বন্ধের মেয়াদ আগামীকাল সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে কর্তৃপক্ষ।

যদিও সকালে বিমানবন্দরের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আবহাওয়া সংকেত ৬ থেকে মহাবিপদ সংকেত ৯ এ উন্নিত করার পর ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' মোকাবিলায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এয়ারফিল্ড ঘোষণা করেছে। বিমানবন্দরে রোববার দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ রক্ষা এবং এর জনশক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাত ৮টার আগে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিন্ধান্তের কথা জানানো হবে।

;

সফলভাবে সম্পন্ন হলো ‘ব্যাংকক হাসপাতাল হেলথ উইক’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘ব্যাংকক হাসপাতাল হেলথ উইক’ সফলভাবে সম্পন্ন

‘ব্যাংকক হাসপাতাল হেলথ উইক’ সফলভাবে সম্পন্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজমের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী “ব্যাংকক হাসপাতাল হেলথ উইক” সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা স্বাস্থ্য সেবা প্রাদন করেন।

শুক্রবার (২৪ মে) আকর্ষণীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই স্বাস্থ্য সপ্তাহের শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী আয়োজনে প্রথম দিন ২৪ মে কার্ডিওলজি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়। ওই দিন রোগী দেখেন ব্যাংকক হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ক্রিয়েংকাই হেংরুসামি, ডাঃ পারমাইউস এবং ডাঃ উইচাই ।

দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৫ মে) ব্যাংকক হাসপাতালের অরথোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ পংটরন সিরিথিয়ানচাই, ডাঃ পানুয়াত সিলাওয়াটশানানাই এবং ডাঃ চাইডেজ সম্বুন অরথোপেডি্কস রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেন। শেষ দিন রোববার (২৬ মে) নিউরোলজি বিভাগের ডাঃ ইয়ুদ্রাক প্রাসার্ট, ডাঃ চাঞ্জিরা সাতুকিৎচাই এবং ডাঃ চাইসাক রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেন।

চিকিৎসা সেবা শুরু করার আগে প্রতিদিনই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেন।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ইসহাক মিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেক রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান। এর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। আমরা এই “ব্যাংকক হাসপাতাল হেলথ উইক”এ ব্যাংকক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এখানে তারা ফ্রিতে চিকিৎসা সেবা দেন। যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার দরকার পড়বে তারা যেন থাইল্যান্ড গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন আমরা তাদের সহযোগিতা করব।’

প্রথমবারের মতো গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজম এবং থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান থাইমেডিকসের যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মানের এই হেলথ উইক অনুষ্ঠিত হয়। থাইল্যান্ড গিয়ে চিকিৎসা করার সর্বসাধারণের সহযোগিতা পেতে গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজমের অফিসে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় কক্সবাজার জেলায় ৬ হাজার ৩৩২ জন মানুষ ৬৩৮টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

রোববার (২৬ মে) বিকাল ৬টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। 

তিনি বলেন, 'আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে অনীহা জানাচ্ছে। এখনো অনেকেই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে।’

বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ১ নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, নাজিরারটেক ও ফদনার ডেইল এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে আসছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। অনেকেই গবাদিপশুও নিয়ে এসেছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারও কপালে খাবার জুটেনি।

নাজিরারটেক বাসিন্না পাড়া থেকে আসা এমনই একজন ষাটোর্ধ্ব জয়নাল আবেদীন ৪টি ছাগলসহ আশ্রয়ে এসেছেন। তিনি জানান, নাজিরারটেকে ঘরবাড়িতে পানি উঠায় ছাগলগুলোকে নিয়ে আশ্রয়ে এসেছেন। এছাড়াও আরও মানুষজন আশ্রয় নিতে আসতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি ছাড়াও বেলা ২টার সময় পৌরপ্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে আরও কয়েকটি পরিবার। সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক ও বাসিন্না পাড়া থেকে ৪ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পানি উঠে বাড়ি তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সালাউদ্দিন সেতু বলেন, 'কক্সবাজার পৌরসভা ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। সেখানে ৬ হাজার মানুষের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, 'সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাত ৮ টার পর বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।'

তিনি আরও বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে শুরু করেছে। তবে কক্সবাজারের তুলনায় এটি পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা উপকূলে আঘাত হানবে বেশি।'

;

রইল বাকি এক!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর দুদিন পরেই তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়ানো তিন প্রার্থীর দুজনেই পড়লেন ‘বিপদে’। তাঁদের মধ্যে শত কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হওয়ায় প্রার্থী জসিম উদ্দিনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত।

অন্যদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একই উপজেলার আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরী জুনুর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ‘টিকে’ আছেন প্রার্থী আহমেদ হোসেন ফকির।

জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুটি ব্যাংকের প্রায় ১১৮ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। একটি ব্যাংকের করা মামলায় এ ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সম্পদ জব্দ করা—এই তিনটি আদেশ রয়েছে আদালতের। এরপরও প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতারে চন্দনাইশ থানার ওসিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ মে) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

গত ১৩ মে চট্টগ্রাম নির্বাচনী কার্যালয়ে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় দলবল নিয়ে হাজির হয়ে নির্বাচনে ১০০ লাশ ফেলে জিতবেন বলে হুমকি দেন আবু আহমেদ চৌধুরী। তাঁর সেই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিষয়টি নজরে আসলে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শেষে কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান সচিব জাহাংগীর আলম।

জাহাংগীর আলম বলেন, দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলার চান্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরী (ঘোড়া প্রতীক) উপস্থিত হন। তিনি অভিযোগের দফা অনুযায়ী জবাব দিয়েছেন। কমিশনও তা শুনেছে। শেষে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।

চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গত ১২ মে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সম্পাদক মো. আবু হেনা ফারুকী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী খোকন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। নির্বাচনের দৌড়ে এরপর ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ চৌধুরী জুনু (ঘোড়া), জসিম উদ্দীন আহমদ (মোটর সাইকেল) এবং জোয়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন ফকির (আনারস)। কিন্তু দুদিন আগে একজনকে গ্রেফতারের নির্দেশ ও অন্যজনের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় মাঠে রইলেন কেবল আহমদ হোসেন ফকির। অবশ্য জুনুর সামনে হাইকোর্টে আপিলের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর গ্রেফতার হলেও নির্বাচন করতে বাঁধা নেই জসিমের সামনেও।

;