তরমুজ ও বাঙ্গি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
করোনাভাইরাসের কারণে পুরো গোপালগঞ্জ লকডাউন রয়েছে। এতে তরমুজ ও বাঙ্গির বাম্পার ফলন হলেও তা বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলার কোটালীপাড়ার কৃষকরা। পাইকাররা আসতে না পারায় বিক্রি হচ্ছে না তাদের উৎপাদিত ফসল।
তবে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিক্রির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে তরমুজ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হলেও এবার লাভের স্বপ্ন দেখেছিল কোটালীপাড়ার প্রায় ২৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক। কিন্তু করোনার কারণে এ বছরও তাদের সেই স্বপ্ন নষ্ট হতে বসেছে।
কোটালীপাড়ার চকপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক রমেন বিশ্বাস জানান, ঋণ করে তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুরো গোপালগঞ্জ জেলা লকডাউন থাকায় পাইকাররা আসতে পারছে না। এ কারণে জমিতে বসেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ ও বাঙ্গি। এতে তার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এখন ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রমেন বিশ্বাস।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় জানান, এ বছর কোটালীপাড়ায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে পাইকাররা জেলায় আসতে পারছে না। এতে কিছুটা বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। তাই আশপাশের বাজারে তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রিসহ পাইকাররা যাতে আসতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, তরমুজ বাজার নামে একটি অ্যাপস চালু করেছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এর মাধ্যমে অনলাইনে পাইকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি করতে পারবে কৃষকরা।