শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিঘ্ন হলে দ্বিতীয় দফা করোনা ঝুঁকি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ছবি: সংগৃহীত

শ্রমিকদের কাজে ফেরার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে না পারলে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ (ঢেউ) আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই সতর্কতার কথা বলে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত বিবেচনার সময়েই এই সতর্কতার কথা উল্লেখ করল আইএলও। প্রয়োজনে নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে একসঙ্গে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করে তারা।

আইএল বিবৃতিতে বলে, শ্রমিকদের কাজে ফিরে আসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এটি না করা গেলে দেশগুলো দ্বিতীয় দফা ভাইরাস ওয়েভের ঝুঁকিতে পড়বে।

আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন বলেন, ‘যেহেতু কিছু কিছু শিল্প ধীরে ধীরে কার্যক্রম শুরু করছে, আইএলও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিরাপদে কাজে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে একটি তিন ধাপের কৌশল তৈরি করেছে। প্রথম পদক্ষেপ হলো নিয়োগকারী ও শ্রমিকের মধ্যে আলোচনার ওপর ভিত্তি করে কাজের জন্য বেশ কয়েকটি সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়া।’

শ্রমিকদের কাজে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে কিছু সুপারিশ করেছে আইএলও। সেগুলো হলো

১. সব কাজের ক্ষেত্রে বিপদ নির্ধারণ করা। সংক্রমণের ঝুঁকিগুলো নির্ধারণ করা এবং কাজে ফিরে আসার পরও সেগুলো নির্ধারণ অব্যাহত রাখা।

২. প্রতিটি খাত ও প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টতার সঙ্গে অভিযোজিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে: শ্রমিক, ঠিকাদার, গ্রাহকের মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার রাখা ও শ্রমিকদের জন্য হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা।

৩. প্রয়োজনে বিনামূল্যে কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) নিশ্চিত করতে হবে।

৪. কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে আলাদা করে দেওয়া এবং তার সঙ্গে যারা সংস্পর্শে এসেছে তাদের খুঁজে বের করা এবং খতিয়ে দেখা।

৫. কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান।

৬. সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে পিপিইর ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও তথ্য উপাদান সরবরাহ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন