শনাক্ত হওয়ার দু’দিনের মাথায় মারা যান দুই পুলিশ সদস্য
করোনাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করলেন আরও দুই সম্মুখযোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য এএসআই মো. আবদুল খালেক (৩৬) এবং কনস্টেবল মোঃ আশেক মাহমুদ (৪৩)।
পুলিশ সদরদফতরের তথ্য বলছে, করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার দুই দিনের মাথায় মারা যান এই দুই পুলিশ সদস্য।
এএসআই মো. আবদুল খালেক ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ঝোপখালি গ্রামে।
কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত ছিলেন। জ্বর থাকায় ২৬ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরের দিন করোনা পরীক্ষায় তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ আসায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ২৯ এপ্রিল ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল রাত সাড়ে দশটায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ইন্দ্রাবাড়ি গ্রামে। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
এসআই আবদুল খালেক এবং কনস্টবল আশেক মাহমুদের জানাজা বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর বারোটায় রাজারবাগে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তাদের মরদেহ নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মরদেহ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৩ সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু