রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারের প্রস্তুতি ইতিবাচক
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের কিছু প্রস্তুতিকে ইতিবাচক ভাবে দেখছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক সোমবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবার আগে এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শনিবার ( ১১ আগস্ট) নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলেন । এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সচিব শহিদুল হক।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রাখাইনে মিয়ানমারের করা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র আমরা দেখেছি। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বল্প পরিসরে হলেও তাদের এ পদক্ষেপ ইতিবাচক। তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত। তবে এটি কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ যারা তাদের বাড়ীঘর জমি, ফসল ফেলে এসেছে তারা চাইবে আসলে সেখানেই ফিরে যেতে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে হট লাইন চালু করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) মিয়ানমারের রাজধানী নেপোডি-র থিনগাহা হোটেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বৈঠকে দুই দেশ ৮ টি পয়েন্টে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এদিকে, রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য গত বছরের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার-বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এ পর্যন্ত দুইটি বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বৈঠকটি গত ১৭ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৯ অক্টোবর ২০১৬ এবং ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালের পর যে সকল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে ফেরত নিবে মিয়ানমার। চুক্তি স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ছিল।