ড. ওয়াজেদ মিয়ার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা
বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার (সুধা মিয়া) জন্মস্থান রংপুরে ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হচ্ছে তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
শনিবার (৯ মে) দিবসটি উপলক্ষে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেপুরে পারিবারিক কবরে শায়িত ওয়াজেদ মিয়ার সমাধি চত্বরে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন স্তরের মানুষজন।
সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত রংপুর জেলা ও পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ, ড. ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মরহুমের সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে।
পরে সমাধি চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধাঞ্জলিসহ ফাতেহা পাঠ, জিয়ারত ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে এ বছর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিভিন্ন স্থানে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হবে জানিয়েছে প্রয়াত বিজ্ঞানীর ভাতিজা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন পীরগঞ্জের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল।
তিনি জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধাঞ্জলিসহ ফাতেহা পাঠ ও সমাধি জিয়ারতে কাউকে বাধা দেওয়া হবে না। তবে প্রতি বছরের মতো এবার বড় পরিসরে কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে।
সুধা মিয়া নামে পরিচিত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। অসাধারণ মেধার অধিকারী ওয়াজেদ মিয়া শৈশব থেকেই শিক্ষানুরাগী ছিলেন। ২০০৯ সালের এই দিনে পরলোকগমন করেন স্বনামধন্য এই বিজ্ঞানী।
দেশে আণবিক গবেষণার অগ্রপথিক বলা হয় ওয়াজেদ মিয়াকে। সারা জীবন তিনি পরমাণু গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। তার গবেষণা কর্মের পরিধি যেমন ব্যাপক ছিল তেমনি বিস্তৃত। ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
তিনি পরমাণু গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।