আশা নিরাশার দোলাচলে জীবন



রফিকুল ইসলাম মন্টু
নতুন চর আবদুল্লাহ’য় উঠছে বসতি/ ছবি: র. ই. মন্টু, ছবি: বার্তা২৪.কম

নতুন চর আবদুল্লাহ’য় উঠছে বসতি/ ছবি: র. ই. মন্টু, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের ভিটেয় পড়েছে নতুন মাটি। খড়ের চালা লাগানো হয়েছে মাত্র। এখনও বেড়া দেওয়া হয়নি। ঘরের মালামাল গোছানো, ভিটের মাটি সমান করা, আরো অনেক কাজ। স্ত্রী সাহিদা সেই কাজগুলোই করছিলেন সকাল থেকে। বড় সাইজের একটি কাঠের টুকরো দিয়ে ভিটের মাটি সমান করছেন। এরমধ্যেই দেখতে পেলেন স্বামী আবুল হোসেন মাঝি নদীর ঘাটে থেকে বোঝা মাথায় এগিয়ে আসছেন। খানিক দূর এগিয়ে তার মাথার বোঝাটা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন সাহিদা এগিয়ে নিয়ে এলেন ঘর পর্যন্ত। আবারো তার মনোযোগ ঘরের কাজে।

এমন ঘর গোছানো সাহিদার কাছে নতুন নয়। জীবনে যে কতবার নতুন ঘর করতে হয়েছে, তা বলতে হয় হিসেব করে। রামগতির আলেকজান্ডার ঘাট থেকে ট্রলারে ওঠার সময় আবুল হোসেন মাঝি গুনে গুনে বলছিলেন- পুরানো চর আবদুল্লাহ’র মাটিতে বাড়ি বদল করতে হয়েছে পাঁচবার। সেখান থেকে ষষ্ঠবার সেবাগ্রামে বাড়ি করেন। এরপর সপ্তম বারে যান চর গজারিয়ায়, অষ্টম বার বয়ারচরে, নবম বার চরগাজী এবং দশম বারে ঘুরেফিরে আবার নতুন জেগে ওঠার দ্বীপ চর আবদুল্লাহ।
কথাগুলো বলার সময়ই আবুল হোসেন মাঝি ২-৩ বার স্মরণ করে দিয়েছিলেন তার স্ত্রী বিবি সাহিদার নামটা লিখেছি তো! নিশ্চিত হওয়ার জন্য উঁকি দিয়ে নোটের দিকে তাকান। নদীর ওপারে নোটবদ্ধ বিবি সাহিদার সঙ্গে দেখা এপারে তার নতুন বাড়িতে। কেমন আছেন? জিজ্ঞেস করতেই একগাল হেসে সামনে এগিয়ে এসে বললেন- ভালো আছি। তবে এই ‘ভালো আছি’ শব্দ দু’টোর ভেতরে মন্দ থাকারও বেশ ইঙ্গিত পাওয়া গেল। যে জীবনে দশ বার বাড়ি বদল করতে হয়েছে সেটা কতটা ভালো আছে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

নতুন চর আবদুল্লাহ’র আরও অনেক গল্প আছে। তবে সে গল্পের আগে দ্বীপটির পরিচয়টা জেনে নেই। বহুবার এই এলাকায় ঘুরে একটি বিষয় পরিষ্কার হলো- একদা লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় চর আবদুল্লাহ নামে যে ইউনিয়নটি ছিল, সেটি অন্তত কুড়ি-পঁচিশ বছর আগে পানির তলায় চলে গেছে। ইউনিয়নের আওতাধীন আশপাশের চর গজারিয়া, তেলির চরে মানুষজন স্থানান্তরিত হয়। ফলে ওই চরগুলোই চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন বলে পরিচিতি পায়। তবে বেশ কয়েক বছর আগে থেকে সাবেক চর আবদুল্লাহ’র হারিয়ে যাওয়া স্থানে মেঘনার বুকে জেগেছে ভূমি। স্বপ্ন জেগেছে মানুষের মনে। সেখানেই উঠছে নতুন ঘরবাড়ি। অনেকে এটাকে বলেন নতুন চর আবদুল্লাহ।

নতুন ঘরের সামনে বিবি সাহিদা/ ছবি: র. ই. মন্টু

চর আবদুল্লাহ নামটি কীভাবে এসেছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে সাংবাদিক-গবেষক সানা উল্লাহ সানু রচিত ইতিহাস গ্রন্থ ‘লক্ষ্মীপুর ডায়েরি’ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ১৮৫৪ সনে দেশের বৃহত্তম নদী মেঘনার বুক থেকে জেগে ওঠা অসংখ্য চরের একটি এটি। কয়েক বছর পর সে চরেও জরিপ পরিচালনা করে ব্রিটিশ সরকার। এ জরিপ পরিচালনাকারীদের অন্যতম ছিলেন আবদুল্লাহ নামক এক কর্মকর্তা। স্থানীয়দের দাবি ওই কর্মকর্তার নামানুসারে এ চরের নামকরণ করা হয় চর আবদুল্লাহ। কারো কারো মতে, এ চর ও চরগজারিয়ার এক সময়ের প্রভাবশালী বসতি স্থাপনকারী কৃষক আবদুল্লাহ’র নামানুসারে চরের নাম রাখা হয়। কিন্তু সেই চর আবদুল্লাহ ভেঙে চুরমার।

ট্রলার থেকে নেমে খানিক দূরে বসতি এলাকা। হাঁটছি উড়ি ঘাস মাড়িয়ে। স্লিপার জোড়া ট্রলারে রেখে আসায় খালি পায়ে হাঁটা কঠিন। আমার সঙ্গী তিনজন। একজনের নাম আগেই বলেছি; আবুল হোসেন মাঝি। আরেকজন শফিউল্লাহ’র ছেলে কিশোর রাফি; দ্বীপে এসেছে বাবার কৃষি কাজে সাহায্য করতে। আরেকজন কিশোর উজ্জল দ্বীপের বাথান, মহিষ চড়ায়। ওরা হাঁটছে দ্রুত পায়ে। উজ্জলের পায়ের প্লাস্টিকের চটি আমাকে সাহায্য করল। দ্বীপের বসতিতে প্রথমেই সামনে পড়ল আবুল হোসেন মাঝির নতুন ঘরটি। এখানে খুব বেশি বাড়িঘর নেই। ছড়ানো ছিটানো কিছু ঘর। লোকজন কেবল আসতে শুরু করেছে মাত্র বছর পাঁচেক আগে থেকে। দ্বীপের প্রথম বাসিন্দা হাজী আলী হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন এখানে বাড়ি করেন পাঁচ বছর আগে। একে একে আসেন অন্যান্যরা। কেউ কেউ আবার এখনও বসবাসের জন্য ঘর তোলেননি। কৃষিকাজের প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

ঝুপড়ি ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে শাহনাজ বেগম/ ছবি: র. ই. মন্টু

এখানে এসে কীভাবে ঘর করেছেন? এ জমি কার? প্রশ্ন করতেই আবুল হোসেনের উত্তর- এটা আমাদের ভিটে। বাপদাদার জমি এখানেই হারিয়েছি কুড়ি-পঁচিশ বছর আগে। অনুমান করে এসে সেই জমিতে ঘর করেছি। এখানে আমাদের অধিকার আছে। 

তিনি জানালেন, এখানে যারা এসেছে সকলের একই অবস্থা। এরা সবাই বেশ কয়েকবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে। সবাই সাবেক চর আবদুল্লাহ’র বাসিন্দা। চরের খোলা মাঠ পড়ে আছে। এখানে বসবাসে আমাদের অনেক কষ্ট। তবুও আমরা আসতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। কথা বলতে বলতে যেন পুরানো স্মৃতিগুলোই ভেসে ওঠে আবুল হোসেন মাঝির মনে। চোখ ছলছল। বলতে থাকেন- প্রত্যেকবার ঘর বদলাতে ৫০-৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা খরচ হয়। কোথায় পাই আমরা এত টাকা! সরকার তো কিছুই দেয়নি। আয়-রোজগারের একটি মাত্র অবলম্বন মাছধরা নৌকা। দুই ছেলে মাছ ধরে।

আবুল হোসেন মাঝির ঘরটা পেছনে রেখে খানিক সামনে এগোতেই শফিউল্লাহ’র মুখোমুখি। দ্রুত পায়ে হেঁটে এসেছেন অনেক দূর থেকে। ট্রলার চালক মোকাম্মেল হোসেন তাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন, দ্বীপে সাংবাদিক এসেছে। তাই তিনি এসেছেন কিছু বলতে। মোকাম্মেলের ট্রলার যাবে চরের শেষপ্রান্ত পর্যন্ত। তার খুবই তাড়া। চর থেকে মহিষের দুধ নিয়ে ওপারে ফিরতে হবে ঘণ্টা দুয়ের মধ্যে। ট্রলার থেকে আমাকে চরের এ প্রান্তে নামিয়ে দেওয়ার সময় তিনি বার বার সেই তাগাদাই দিয়েছেন। দ্বীপে যে কয়জন মানুষ আছেন, তাদের মধ্যে শফিউল্লাহ মোটামুটি লেখাপড়া জানা। এখানে কৃষি আবাদের জন্য আসেন। স্থায়ীভাবে থাকেন না। চরের উর্বর জমিতে কৃষি খামার করেছেন। সেখানে রয়েছে ছোট্ট একটি বাসা। দু’দিন আগে এসেছিলেন স্ত্রী পারভীন আক্তারকে নিয়ে। শফিউল্লাহ জানালেন, এখানকার জমি উর্বর। এখানে মানুষের বসবাসের জন্য উপযোগী জায়গা রয়েছে। কিন্তু একদিকে মহিষের তাণ্ডব, অন্যদিকে দস্যুদের ভয়। নাগরিক সেবার তো কোনোটাই নেই। এই দুর্গম জনপদে সে সুযোগ থাকার কথা ভাবাও যায় না।

স্কুল ছুট কিশোরী জামেলা/ ছবি: র. ই. মন্টু

খানিক এগোতেই একস্থানে কয়েকটি ঘর। ঠিক ঘর বলা যায় না, ঝুপড়ি। খড়ের ছাওয়া দুটি চালা একত্রিত করে পাতার বেড়া দিয়ে রাত কাটানো মাত্র। ঘরের বাইরে মাটি খুঁড়ে বানানো চুলোয় রান্না হয়। মানুষগুলোর অনেকে সকালের কাজ কর্ম সেরেছেন মাত্র। খাওয়া দাওয়া তখনও হয়নি। বাচ্চাদের কারো আড়মোড়া ভেঙেছে কেবলই। বাইরে অনেক লোকজনের কথা শুনে শিশুরা বেরিয়ে এলো ঘর থেকে। আশপাশের সকলে এসে জড়ো হয়ে প্যান্ট পড়া ক্যামেরাওয়ালা লোকটাকে দেখছে। বুঝতে চাইছে তার তার আসার উদ্দেশ্য। শহুরে প্যান্ট পড়া লোক দেখে দ্বীপের মানুষগুলো অনেকটা বিস্মিত হয়ে গেল। দূর থেকে অনেকে দ্রুত পায়ে ছুটে এলেন। কারো মনে কিছুটা ভয়ও। এ যেন তাদের কাছে এক অবাক করা সকাল। গলায় ক্যামেরা ঝুলতে দেখে আগ্রহের মাত্রা আরেকটু বেড়ে যায়। যেখানে কখনোই শহুরে লোকজন দেখেনি তারা, সেখানে এই সকালে এ আবার কে? চোখে মুখে যেন এমনই প্রশ্ন সকলের। প্রশ্ন না পেলেও আমি ব্যাখ্যা করি পরিচয় এবং আসার কারণ।

জড়ো হওয়া মানুষগুলোর মধ্যে একজন শাহনাজ বেগম। স্বামী আবুল কালাম। ঝুপড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে হেলান দিয়ে বললেন, ঘর নাই। দুয়ার নাই। মরুভূমিতে থাকি। জমি নদীতে ভেঙে গেছে। থাকার কোনো জায়গা নেই। নিরুপায় হয়ে এখানে এসেছি।

শাহনাজের পাশে দাঁড়ানো বিবি নূরজাহান বললেন, আমরা নদীভাঙ্গা। জায়গা জমি নাই। কই যামু। বিপদে পইড়া চরে আইছি। আমাগো জমি তো এইখানেই ছিল। নদীতে হারাইয়া গেছিল। আবার জাইগা উঠছে। হলদে চেক শাড়ির ঘোমটাটা আরও খানিকটা সামনের দিকে টানতে টানতে সাহেব আলীর বিধবা স্ত্রী বিবি আমিরজান বললেন, স্বামী হারানোর পর খুবই বিপদে আছি। স্বামীও নাই, জমিজমাও নাই। দুটো ছেলে আছে। তারা ছোট। চেয়ে চিন্তে খাই। ধানের মৌসুম এলে ধান কুড়াই। বাইরের কাজকর্ম করি। এভাবেই চলি।

এতোগুলো মানুষের ভিড়ে দর্শকের ভূমিকায় আছে কয়েকটি শিশু। বড়দের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুটা বোঝার চেষ্টা করছে। ওরা জানে এখানে ওদের কোনো ভূমিকাই নেই। কেউ কেউ কাছে এসে ক্যামেরার লেন্সটা একটু ছুঁয়ে দেখতে চায়, ক্যামেরাটা ধরতে চায়। কেউবা দ্বীপে আসা নতুন মানুষটাকেই দেখে। একজনকে জিজ্ঞেস করি- নাম কী? উত্তর- জামেলা। স্কুলে যাও? উত্তর- না। ওর পাশে দাঁড়িয়ে রাকিব, আরিফ, লাকী, সাকিবসহ আরও কয়েকজন। শেষের উত্তরটা প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। না, ওরা কেউই স্কুলে যায় না। স্কুলে যাওয়া, না যাওয়ার প্রশ্নটাই এখানে অবান্তর। কেননা, এই দুর্গম দ্বীপে আপাতত স্কুল থাকার সুযোগ নেই।

খামার পরিচর্যায় মো. শফিউল্লাহ/ ছবি: র. ই. মন্টু

দ্বীপের পুরানো বাসিন্দাদের মধ্যে একজন আবদুল মতিন। বয়স ৬৫ ছাড়িয়েছে। ঘরের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। লোকজনের ভিড় দেখে এগিয়ে এলেন। সাবেক চর আবদুল্লাহ’র মাটিতে এক সময় বিপুল সম্পদশালী এই মানুষটা এখন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কাতারে। সত্তরের ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে উপকূলীয় জনপদের অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছেন। আমাকে দেখে কিছুটা বিস্মিত। হয়তো চেনা চেনা লাগছে। মনে করতে পারছিলেন না। খানিক বাদে মনে পড়তেই বললেন, স্যার, আপনাকে সেবছর তেলির চরে দেখেছি। অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছিলাম। আমার মনে পড়ে সে দৃশ্য। তার জীবনে লড়াই শুরু হয়েছে ছোটবেলা থেকে। হয়তো শেষ দিনটি পর্যন্তই লড়তে হবে। তার আতিথেয়তা, ঘরে বসার আমন্ত্রণ রাখার সুযোগ হলো না। খাওয়াতে চাইলেন অন্তত একটা ডিম ভাজা। বললাম, পরের বার এসে খাবো। বলতে বলতে শফিউল্লাহ’র সঙ্গে হাঁটছি খামারের দিকে। কিছুক্ষণ পর পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি দৌড়াতে দৌড়াতে ছুটে আসছেন মতিন। হাতে প্লেট। ডিম ভেজে নিয়ে এসেছেন। আমি দাঁড়াই। আমার চোখ ভিজে ওঠে। ভাবি, এমন দুর্গম দ্বীপে কষ্টে থাকা মানুষেরাও যে কতটা আন্তরিক হতে পারে আবদুল মতিন উদাহরণ।

খানিক দূরে শফিউল্লাহ’র কৃষি খামার। কুমড়ো ক্ষেত দেখাতে নিয়ে গেলেন। ফাঁকে ফাঁকে সারিবদ্ধ সূর্যমুখী বুনেছেন। চারিদিকে শক্ত করে দেওয়া হয়েছে কাঁটা তারের বেড়া। উর্বর জমি। ফলনও ভালো হয়। কিন্তু মহিষ আর দস্যুদের ভয় আছে। মহিষের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অনেক টাকা খরচ করে শক্ত বেড়া দিয়েছেন। ফলন ঘরে তুলতে পারলে লাভবান হবেন। তবে শেষ অবধি কী হয় জানেন না শফিউল্লাহ। দস্যু আর মহিষের সঙ্গে লবণ পানির ভয়ও আছে। শফিউল্লাহ’র কৃষি নিয়ে দু:শ্চিন্তা, কারো ভয় বসতি নিয়ে, কারও রোজগার নিয়ে। এভাবেই আশা-নিরাশার দোলাচলে এভাবেই বাঁচেন দ্বীপের পোড় খাওয়া মানুষেরা। ট্রলার চালক মোকাম্মেল হোসেনের ফোন আসে কয়েকবার। ঘাটে যাওয়ার তাড়া। সবুজ ঘাসের কার্পেট বিছানো পথে হাঁটি দ্রুত পায়ে।

রফিকুল ইসলাম মন্টু, উপকূল-অনুসন্ধানী সাংবাদিক

   

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;

ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ছেলের হাতে মজিবুর রহমান পান্না (৫৫) নামে এক শিক্ষক খুন হয়েছে। এ ঘটনা ছেলে মারুফ আহমেদ রাব্বীকে (১৮) আটক করছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত সরকারের ছেলে এবং সে একই এলাকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

ভালুকা মডেল থানা ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, নিহত মজিবুর রহমান পান্না পরিবারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি কারণে কিছুদিন পূর্বে তালাক দেন। এর পর থেকেই পরিবারে কলহ বাঁধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া মারুফ আহমেদ রাব্বির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবুর রহমান পান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে রাব্বীকে আটক করেন।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর ছেলে রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ।

;