প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল যে ম্যানগ্রোভ



রফিকুল ইসলাম মন্টু
কুকরি মুকরি ম্যানগ্রোভ বনের অভ্যন্তরীণ চিত্র/ ছবি: র. ই. মন্টু

কুকরি মুকরি ম্যানগ্রোভ বনের অভ্যন্তরীণ চিত্র/ ছবি: র. ই. মন্টু

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এই বনই তো আমাগো বাঁচাইয়া রাখছে। বনটা না থাকলে আরও কয়বার যে ভাসতে হইতো! কে জানে।’ সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ের মুখে সব হারানো ক’জন প্রবীণ মানুষ এভাবেই ম্যানগ্রোভ বনের সুরক্ষা দেয়ালের কথা তুলে ধরছিলেন। বললেন, এই বন তো আমাদের আগলে রাখে। বড় বড় ঝড়ঝাপটা আমাগো গায়ে লাগার আগে বনের গায়ে লাগে। কথাগুলো বলতে গিয়ে চোখ মুছতে থাকেন নব্বই পেরোনো আবদুল কাদের মাল। সেদিনের ছবি যেন তার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছিল। কথা বলতে গিয়ে সেদিনের দৃশ্যপট এঁকেছিলেন চোখের সামনে।

ছবি
সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ে সর্বস্ব হারানো আবদুল কাদের মাল/ ছবি: র. ই. মন্টু

বয়সের ভারে ন্যূয়ে পড়েছেন আবদুল কাদের মাল। সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ের সময় তখন চল্লিশের টগবগে যুবক তিনি। অল্পদিন আগেই বিয়ে করেছিলেন। ঘরে এসেছিল এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান। সত্তরের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে সব গিয়েছে এলোমেলো হয়ে। গাছের ডালপালা ধরে প্রবল বাতাস আর তুফানের সঙ্গে লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পারেননি স্ত্রী-সন্তানকে বাঁচাতে। তবে রক্ষা পেয়েছে নিজের জীবন। সেই মহাপ্রলয় থেমে যাওয়ার পর জীবন শুরু হয় আবার নতুন করে; একদম শুন্য থেকে। গ্রামের মেঠো পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখা তার সাথে। রাস্তার মোড়ের দোকানের সামনে আলাপ নানান বিষয়ে। উদোম শরীর; কোমড়ে বাঁধা নীল চেক গামছা। কথা বলার সময় দু’হাতে ঘটনার তীব্রতা বোঝানোর চেষ্টা করলেন।

বাড়ি তার উত্তর চর মানিকা গ্রামে। এটি দ্বীপ জেলা ভোলার দক্ষিণে চরফ্যাসন উপজেলার একটি গ্রাম। গ্রামের রাস্তার মোড়ে কয়েকটি দোকান। আলাপের সময় জড়ো হলেন আরও কয়েকজন। রাস্তার ত্রিমোহিনীতে আবদুর রশিদ ঢ়ারি’র দোকানে আড্ডায় আরও ক’জন বয়সী মানুষ। মফিদুল ইসলাম (৫৪), আরেকজন ফজলে করিম (৬৬), সাহাবুদ্দিন মিয়া (৬২)। তারা আরও কিছু ঘটনা যোগ করে কাদের মাল’র আলাপে সাহায্য করেন। দোকানদার রশিদ ঢ়ারিও বললেন কিছু ঘটনা। এদের প্রত্যেকের জীবনেই রয়েছে সেদিনের প্রলয়ের চিহ্ন। সেই ভয়াল ছবি আর মনে করতে চান না তারা।

ছবি
সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির শিকার আবদুর রশিদ ঢ়ারি/ ছবি: র. ই. মন্টু

সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ে এত ক্ষতি হওয়ার কারণ কী ছিল? প্রশ্ন ছুঁড়তেই এদের মধ্য থেকে একজন বলে উঠলেন, বেড়িবাঁধ ছিল না; গাছপালা ছিল না। বাড়িঘর ছিল অরক্ষিত। অতিমাত্রার উঁচু জলোচ্ছ্বাসে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। কেউই তো হারানো সম্পদ আর ফিরে পায়নি। পারেনি ঘাটতি পূরণ করতে। একজন আক্ষেপ করে বললেন, এখন যে বন আছে; এমন বন আগে থাকলে সেদিন কিছুই হারাতে হতো না। এখন কীভাবে নিরাপদে আছেন? প্রশ্নের উত্তরে রশিদ ঢ়ারি বললেন, সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ের পর অনেক স্থানে ম্যানগ্রোভ বন করা হয়। পঞ্চাশ বছরে সে গাছপালা অনেক বড় হয়েছে। এসব বন এখন আমাদের ঢাল। বনের কারণে ঝড়-ঝাপটা আমরা টের পাই না। কাদের মাল বলেন, তখন বন থাকলে আমার বউটা, পোলাটা বাইচ্যা থাকতো।

কোন বনের কথা বলছেন? কোন বন বাঁচিয়ে রাখছে এই এলাকার মানুষদের? প্রশ্ন করতে একজন বলে ওঠেন- কুকরি মুকরি বন। এই ছবিটা শুধু উত্তর চর মানিকা গ্রামের নয়। ঠিক একই কথা বলেছেন আশাপাশের অন্যান্য গ্রামের মানুষেরাও। চর মানিকা, আইচা, দক্ষিণ আইচা, কচ্ছপিয়া, শশীভূষণ, চর কলমী, বাবুরহাট, ঘোষের হাট, আনজুরহাটসহ গোটা চরফ্যাসন উপজেলা; এমনকি ভোলা জেলাকেও আগলে রাখে কুকরি মুকরির ম্যানগ্রোভ। সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ে এ অঞ্চল যেভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল; ঠিক তেমনি এখন এই অঞ্চলের গ্রামের পর গ্রাম বাঁচিয়ে রাখছে বন। বন থাকায় মানুষের মনে সাহস বেড়েছে। গত কয়েক বছরের বড় ঝড় ঝাপটাগুলো তাদের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। তাই এই এলাকার মানুষ সিগন্যালকে এখন আর ততটা ভয় পায় না। মানুষজন বুঝতে পারছে বনের প্রয়োজনীয়তা। তাই তারা নিজেরাও বাড়িতে লাগাচ্ছে প্রচুর পাছপালা।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বিগত প্রায় ৫০ বছরে কুকরি মুকরি ম্যানগ্রোভ বন প্রাকৃতিক ঢাল হিসাবে গড়ে উঠেছে। বনের বৈচিত্র্য আর পরিধি বিবেচনায় এটাকে এ বন ‘দ্বিতীয় সুন্দরবন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আট হাজার ২৪৯ হেক্টর এলাকা নিয়ে গঠিত কুকরি মুকরি ইউনিয়নের গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে বনাঞ্চল। যে কোন দিক দিয়ে এ দ্বীপে যেতে হলে আঁকাবাঁকা সরু খালের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। বছরের প্রায় সারা মৌসুমই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য এখানে বহু মানুষ বেড়াতে আসেন। কুকরি মুকরির দশ সহস্রাধিক মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে এ বন প্রভাবিত এলাকার বহু মানুষ এবং সম্পদের সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুগের পর যুগ। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ ম্যানগ্রোভ না থাকলে ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতো। এখন ঝড়ের ঝাপটা কম লাগে। মানুষ নিরাপদে আছে।

ছবি
কুকরি মুকরি ম্যানগ্রোভ বন/ ছবি: র. ই. মন্টু

সূত্র বলছে, ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গিয়েছিলেন কুকরি মুকরি দ্বীপে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাপক বনায়নের তাগিদ দেন। সেই থেকে বন বিভাগ এখানে বনায়ন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। বন বিভাগ ও স্থানীয় জনসাধারণের যৌথ চেষ্টায় দিনে দিনে বনের পরিধি বাড়তে থাকে। এখন এখানে বনের আয়তন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর। কেওড়া, ছৈলা, গেওয়া, গড়ান, সিংড়া, সুন্দরী, বাইন, খলসে, গোলাপাতাসহ নানান জাতের গাছপালা রয়েছে এখানে। বন জুড়ে হরিণ, বানর, ভোদর, শিয়াল আর নানান জাতের পাখিদের রাজত্ব। যতদূর জানা যায়, আশির দশকের আগে এ বনে দস্যুদের রাজত্ব ছিল। তখন বন সুরক্ষায় অনেক সমস্যা ছিল। পরবর্তীদের দস্যুরা পালায়, বনের ব্যবস্থাপনায় আসে আমূল পরিবর্তন। বন এলাকার বাইরেও কুকরি মুকরি দ্বীপের চারিদিকে নির্মিত বেড়িবাঁধের দু’ধারে গাছ লাগিয়েছে বন বিভাগ। ফলে গোটা দ্বীপটি সবুজে ভরে উঠেছে।

উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় যখন বন ধ্বংসের হিড়িক; তখন কুকরি মুকরির বন কীভাবে ধ্বংস না হয়ে বরং আরও প্রসারিত হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বন বিভাগের কুকরি মুকরি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এক সময় বন সুরক্ষার ক্ষেত্রে এখানে অনেক ধরণের সমস্যা ছিল। দস্যুদের উৎপাত ছিল। জেলেরা বনের গাছপালা কেটে মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করতো। খুটা জালের জন্য অনেক গাছ কাটা হতো। সেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। বন সুরক্ষার জন্য এখানে বেশ কয়েকটি কৌশল নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বন বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার, মানে ইউনিয়ন পরিষদ যৌথভাবে কাজ করায় বন সুরক্ষা সহজ হয়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর এর দু’ধারে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্থানীয় জনসাধারণের দিক থেকে প্রতিরোধ আসে। কোনভাবেই তারা রাজি হচ্ছিল না। পরে ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা নিয়ে গাছ লাগানো হয়েছে।

কুকরি মুকরির বন কীভাবে প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল হয়ে উঠল? প্রশ্নের উত্তরে কুকরি মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, এই বন সৃজনের আগে মধ্য উপকূলীয় অঞ্চল ব্যাপক ঝুঁকিতে ছিল। কিন্তু এখন এ বন এতদঅঞ্চলে প্রাকৃতিক ঢাল হিসাবে কাজ করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এই বনটি না থাকলে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হতো। এখন তো ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের সিগন্যাল আসে। ফলে জনজীবনের জন্য এ বন বেশি উপকারী। বন সুরক্ষার প্রধান ম্যাজিকটা হলো, মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও বন বিভাগ থেকে ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছিল। বনের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসাধারণকে বোঝানো হয়েছে। বনের ক্ষতি সাধিত হয়, এমন কোন কর্মকান্ড এখানে নিষিদ্ধ। বনের খালে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ আছে। পাখি সংরক্ষণ, অতিথি পাখিদের অবাধে বিচরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। এখানে পর্যটক এলেও বনের যাতে ক্ষতি করতে না পারে; সে বিষয়ে আমরা নজর রাখি। এসবের মধ্যদিয়েই সুরক্ষিত রয়েছে কুকরি মুকরি ম্যানগ্রোভ।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কুকরি মুকরির বন সুরক্ষার এই দৃষ্টান্ত উপকূলের সর্বত্র প্রয়োগ করতে পারলে উপকূল জুড়েই প্রাকৃতিক দেয়াল গড়ে উঠতে পারে। এজন্য জনসচেতনতার সঙ্গে নিতে হবে কিছু কৌশল। এর মধ্যদিয়ে মানুষ ও সম্পদ নিরাপদ থাকতে পারবে; সুরক্ষিত থাকবে উপকূল।

রফিকুল ইসলাম মন্টু, উপকূল-অনুসন্ধানী সাংবাদিক

   

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;