ফরিদপুরে সাড়া ফেলেছে যুবলীগের ভ্রাম্যমাণ বাজার

  • রেজাউল করিম বিপুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুর যুবলীগের ভ্রাম্যমাণ বাজার।

ফরিদপুর যুবলীগের ভ্রাম্যমাণ বাজার।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চলমান লকডাউনে ফরিদপুর শহরে কমমূল্যে ঘরে ঘরে বাজার পৌঁছে দিচ্ছে দেড়শতাধিক যুবলীগ নেতাকর্মী। আর যুবলীগের এই ভ্রাম্যমাণ বাজার এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এমন কর্মকাণ্ডে খুশি স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল ১০টি ট্রাকযোগে শহরের বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় ঘুরে ঘুরে খাদ্য পণ্য স্বল্প মূল্যে বিক্রি শুরু হয়। এরপর পণ্যের মূল্য কম থাকার কারণে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় ২০টি দোকান বসানো হয়। প্রথমে এসব দোকানে ৮টি পণ্য বিক্রি করা হতো। এখন পণ্যের সংখ্যা ৭৫টি।

রোজাদারদের সুবিধার্থে এসব দোকানে এখন খেজুর, তরমুজ, বেল, কতবেল, কলাসহ বিভিন্ন দেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া ক্রেতাদের সুবিধার্থে ওই সব দোকান থেকে হটলাইনেও পণ্য ক্রয়ের সুবিধা রয়েছে। কোনো প্রকার সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সাধারণ ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত পণ্য।

এসব যানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পণ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

এ কর্মসূচির উদ্যোক্তা ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এএইচএম ফোয়াদ বলেন,‘সরকার গত ২৫ মার্চ থেকে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর ফরিদপুর সদর আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনায় এই কর্মসূচি চালু করা হয়। এই কর্মসূচিতে আমরা জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ফরিদপুর শহরের প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের মানুষ এই ভ্রাম্যমাণ বাজারের সুবিধা নিয়েছেন। আমরা এখন হটলাইনে সেবা চালু করেছি। আমাদের কর্মীরা চাহিদা মোতাবেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। এ জন্য কোনো চার্জ নেয়া হচ্ছে না।’

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব যতোদিন থাকবে, ততোদিন এই কার্যক্রম চলবে বলেও জানান ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এএইচএম ফোয়াদ।

শহরের অনাথের মোড়ে যুবলীগের পক্ষ থেকে দেয়া দোকানে পণ্য কিনতে আসেন সাইফুর রহমান নামে এক ক্রেতা। তিনি জানান, বাজারে বেশি দাম রাখা হয়। কিন্তু এই দোকানে প্রতিটি পণ্যের দাম কম।

ভ্রাম্যমাণ এই নিত্যপণ্য বিক্রি কর্মসূচির তত্ত্বাবধায়ক ফরিদপুর শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম নাসিম জানান, গত এক মাসে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডিম বিক্রিসহ প্রায় ৮০ টন চাল, ২৫ টন চিনি, ২০ টন করে ডাল, পেঁয়াজ ও তেল, ১৫ টন করে ছোলা ও আলু, ২ টন খেজুর ও ৪ টন লবণ বিক্রি হয়েছে। খাবার ও গৃহস্থালির যাবতীয় নিত্য পণ্যই এখানে পাওয়া যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন