তাঁতপল্লীর কর্মহীন শ্রমিকদের ঈদ উপহার দিচ্ছে তামাই ক্লাব



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাঁতপল্লীর কর্মহীন শ্রমিকদের ঈদ উপহার দিচ্ছে তামাই ক্লাব

তাঁতপল্লীর কর্মহীন শ্রমিকদের ঈদ উপহার দিচ্ছে তামাই ক্লাব

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লীর শ্রমিকরা। যাদের হাতের বুননে তৈরি হতো শত শত সুন্দর লুঙ্গী। লুঙ্গী বুননের সঙ্গে তাদের পরিবারের আহার জড়িত ছিল। সেই শ্রমিকরা করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কাজ নেই তো আয় নেই। এমন কয়েক হাজার শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছে তামাই ক্লাব লিমিটেড।

ক্লাবের একদল যুবক নিজেদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে শুরু করে এই যাত্রা। এরপর তাদের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার বিত্তবানরা অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়ান। রাতের অন্ধকারে ওই যুবকরা অসহায় কর্মহীন শ্রমিকের বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে প্রায় ১২০০ পরিবারে কাছে তারা পৌঁছে দিচ্ছেন ঈদ উপহার। এর আগে দুই ধাপে একবার ১৬০০ পরিবার আরেক ১৭০০ পরিবারের খাদ্যসামগ্রি দেয় তামাই ক্লাব লিমিটেড।

তামাই ক্লাবের সদস্য রিশাদ মোর্শেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘তাঁতপল্লীতে অনেক শ্রমিক আছে যাদের কাজ থাকলে সংসার চলে, না থাকলে কোনো উপর্জন থাকে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমরা কয়েকজন মিলে যতটুক পারি সহযোগিতার হাত বাড়াই। এরপর অনেকেই সাহায্য সহযোগিতা করছেন। ঈদে যেন পরিবারগুলো খাদ্য অভাবে না থাকে সে চিন্তা থেকে এটি করা। আমরা চাই আমাদের মতো অন্যরা এগিয়ে আসুক।’

তামাই ক্লাব তাদের এই কার্যক্রমকে কোনো দান নয় বরং উপহার বলতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করে, কেননা যেসব পরিবারকে উপহার পাঠানো হচ্ছে তাদের প্রত্যেক পরিবারের লোকজনই কাজ করে খায়। বর্তমানে কাজ বন্ধ থাকার কারণে তাদের ঘরে খাবার নেই। আসলে কাজ করে যারা খায় তারা কিন্তু দান গ্রহণ করে না। তারা এখন পরিস্থিতির স্বীকার।

তামাই ক্লাবের সদস্যরা বলেন, আমাদের গ্রামে বা গ্রামের বাইরের কেউ তামাই ক্লাবের ফান্ডে যদি কিছু ডোনেট করতে চান আপনি করতে পারেন।

   

সেই অঙ্কিতা পেলো নতুন বই-জামা-টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসার ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে বসে কেঁদেই চলেছিল অঙ্কিতা দাশ। হাতে আধ পোড়া বই-কোনোটি অর্থনীতি, কোনোটি আবার ব্যবস্থাপনা। আর কদিন পরেই তার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। তার আগে আগুনে সব বই হারিয়ে চোখে যেন শর্ষে ফুল দেখছিল ১৭ বছরের মেয়েটি। তাই তো তার চোখে এত কান্না, এত জল।

অঙ্কিতার সেই কান্নার ছবি আর দুঃখের গল্প তুলে ধরেছিল বার্তা২৪.কম। সেই প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়ার পর অঙ্কিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। কেউ দিয়েছেন নতুন বই, কেউবা নতুন জামা। আবার কেউ দিয়েছেন পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য টাকাও।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের টেক পাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ সময় তিনি অঙ্কিতার হাতে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এর আগে তাকে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সবগুলো বই কিনে দিয়েছেন কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব। আগুনের খবরে এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল অঙ্কিতা। সেজন্য তাকে কেউ কেউ কিনে দিয়েছেন নতুন জামাও।

নতুন বই ও ফরম পূরণের টাকা পেয়ে খুশিতে কেঁদে দেয় অঙ্কিতা দাশ। তিনি বলেন, ‘এত অল্প সময়ে আমার বই ও ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় হয়ে যাবে কল্পনাতেও ভাবিনি। আগুন লাগার পর আমার পরিবার নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর আমার পরিবারের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কখনোই ভুলবার নয়। আমি এবং আমার পরিবার সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

;

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল। গত সাত দিনে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১২২ জন নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৯৫ জন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরের কানাইপুরে ও ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। শোকবার্তায় তিনি সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমাগত বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এই কথা বলেন।

এসময়ন তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় তিনি আরও বলেছেন, প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোন প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেনো স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপণায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। 

 

;

সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়: পিটার হাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর এক হোটেলে ইউএসএআইডি এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডমের অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সেখানে পিটার হাস তার বক্তব্যে জানান, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করছে। কিন্তু মূল সমস্যাগুলো এড়িয়ে না গিয়ে, সক্রিয়ভাবে স্বীকার করে তা মোকাবিলা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২ বছর ধরে প্রায় সবগুলো সূচকে অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের। এ বছর ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১ তম।

সমৃদ্ধি সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯ তম, যা মধ্যম আয়ের দেশ ও সরকারের রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বিরাট বাঁধা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিঙ্ক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।

;

ঈদ-বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছিল কক্সবাজারে। ছুটি শেষ হলেও শেষ হয়নি পর্যটক সমাগম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতগুলো এখনও পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে কি পরিমাণ পর্যটক এসেছিল এবং এর ফলে কি পরিমাণ ব্যবসা হয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই কারও কাছে। তবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বলছে টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আনুমানিক ৩ লক্ষ পর্যটক সমাগম হয়েছে। যেখানে পরিবহন থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল রেস্তোরাঁসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি। টানা ৫ দিন ছুটি থাকলেও ঈদের পরদিন থেকে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ পর্যটক এসেছেন। তখন পর্যটন খাতে দেড়শো থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মুর্শেদ চৌধুরী খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদুল ফিতরের সাঙ্গে বৈশাখের ছুটি যুক্ত হয়ে একাকার হওয়ায় এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে কক্সবাজারে। যদিও কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কি পরিমাণ পর্যটক এলো এবং এর ফলে কেমন ব্যবসা হলো এর কোনো হিসেব রাখেনি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারলাম ৩ লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। এরমধ্যে অনেকেই দিনে এসে দিনে চলে গেছেন আবার অনেকেই রাত্রিযাপন করেছেন। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে ঝিনুকশামুক ব্যবসা থেকে সব সেক্টর মিলিয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে পর্যটকের ঢল শুরু হয়েছে যা এখনো কমেনি। আমরা সবাই ভালো ব্যবসা করতে পেরেছি। আমাদের নির্দেশনা ছিল বেশি দাম নিয়ে বা কোনোভাবে পর্যটকদের হয়রানি করা যাবে না। টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আড়াই-৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। এসময় পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে দেড় থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এই দুই ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, কক্সবাজারে এবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই লাখ লাখ পর্যটক নিরাপদে ভ্রমণ করতে পেরেছেন। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

বর্ষা মৌসুমের আগে পর্যন্ত এরকম পর্যটক সমাগম থাকলে ভালো ব্যবসার সুবাতাস বইবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

;