মার্বেল খেলার দ্বন্দ্বেই খুন হয় মাদরাসা ছাত্র নাজিম
মার্বেল খেলার দ্বন্দ্বেই বন্ধুরা খুন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাদ্রাসা ছাত্র নাজিম উদ্দীনকে (১৫)। আটকের পর এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে ঘাতক অপর বন্ধু আকবর আলী। এদিকে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর ঘাতক তুষার কেও আটক করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবু আবদুল্লাহ জাহিদ।
এসআই আবু আবদুল্লাহ জাহিদ জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে যায় তার নের্তৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীসহ নিহত নাজিম উদ্দীনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা। জানতে পারেন প্রায় ১৫ দিন আগে একই এলাকার আম বাগানে মার্বেল খেলা নিয়ে নাজিম উদ্দীন, আকবর ও তুষারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এই সূত্র ধরে সাবেক লাভাঙা গ্রামের সাইদুলের ছেলে আকবরকে মরদেহ উদ্ধারের আধা ঘণ্টার মধ্যেই নিজ বাড়ির সামনে হতে আটক করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার পথে গাড়িতেই তিনি নাজিম উদ্দীনকে হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার অপর বন্ধু একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে তুষারের নাম বলেন। এরপর তুষারকেও আটক করা হয় তার বাড়ির সামনে থেকে।
ঘাতকদের বরাত দিয়ে এসআই আবু আবদুল্লাহ জাহিদ জানায়, ১১ মে রাতে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি হতে বের হয় নাজিম উদ্দীন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আকবর ও তার বন্ধু তুষার কৌশলে নাজিমকে ডেকে নিয়ে যায় আম বাগানে। সেখানে গল্প করার ফাঁকে নাজিম উদ্দীনকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেয় তারা। এসময় নাজিমের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও সিম এবং হত্যার পরে মাটিচাপা দেয়া কোদাল নিয়ে রাখে আকবার তার বাড়িতে।
নিখোঁজের চারদিন পর শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের ঘোড়ামারা মাঠের একটি আম বাগান থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নাজিম উদ্দীন লাভাঙা গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে এবং লাভাঙা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র।