প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের বাবা মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। সোমবার (১ জুন) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নিজ বাসভবন তারাগঞ্জ গ্রামে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
মৃত্যুকালে দুই ছেলে দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, আশরাফুল আলম খোকনের পিতা মো. আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
খাগড়াছড়িতে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময়ের স্থবিরতা কাটিয়ে আজ থেকে পর্যটকদের জন্য খোলা হয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে সাজেক যেতে খাগড়াছড়ি শহরের কাউন্টার এলাকা পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখরিত।
গত ৮ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের খাগড়াছড়িতে ভ্রমণে বিরত থাকার পর আজ আবার চালু হওয়ায় খুশি ঘুরতে আসা পর্যটকরা। প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগে অনেকে এসেছেন বন্ধু বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে শুক্রবার ও শনিবারের জন্য আগাম বুকিং হচ্ছে সাজেক ও খাগড়াছড়ির হোটেল, কটেজ গুলো।
সাজেকের পাশাপাশি খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণাসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের পদাচরণায় মুখর হবে বলে আশাবাদী এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্তরা।
বগুড়া থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক রানা বলেন, বাইকে করে সাজেকে আসার শখ ছিল অনেক দিন ধরে। আজ সুযোগ হয়েছে, আমরা বন্ধুরা খুব খুশি। আশা করি ভালো ভাবে ঘুরে আসতে পারব।
সাজেক পরিবহন কাউন্টারের লাইনম্যান আরিফ খান বলেন, দীর্ঘ দেড় মাস পর আজ থেকে স্বাভাবিকভাবে সাজেক সড়কে পরিবহন চলাচল করছে। প্রথম দিনে ২৫ টির মতো পিকআপ ও জিপ সাজেকের উদ্দেশে গেছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পর্যটকরা যেন নিরাপদে সাজেকসহ জেলায় ভ্রমণ করতে পারেন সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। আশা করি আসন্ন পর্যটন মৌসুমে খাগড়াছড়ি জেলায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংস ঘটনার জেরে পর্যটকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
ইসলামি মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশেপাশের প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে শুধুই আলেম-ওলামাদের সম্মিলন ঘটেছে। যেখানে সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আসতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে যোগ দিতে ভোর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম-ওলামাদের সম্মেলনস্থলে আসতে দেখা যায়। এ সম্মেলন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ, নীলক্ষেত, ঢাকা মেডিকেল, সচিবালয় ও হাইকোর্টের সামনের দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দীর সামনে দিয়ে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিক যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে আসা বিপুল পরিমাণ জনতার ঢলে রাজধানী জুড়ে দেখা দিয়েছে যানজট। গুলিস্তান, কাকরাইল, শাহবাগ, নীলক্ষেত সহ সোহরাওয়ার্দীর দিকে আসা প্রতিটি রাস্তায় ছিলো বিপুল ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতি।
মিরপুর থেকে আসা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি ইউনুস আদনান বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা তাকে দেশে এনে মুসলমানদের মধ্যে একটি বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের ইসলামী দাওয়াতের কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদসহ টঙ্গী ইজতেমায় বিভক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে অথচ দেশের অধিকাংশ আলেম-ওলামা সহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান তার বিপক্ষে। এমতাবস্থায় যদি তাকে দেশে আনার পায়তারা করা হয় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবার আশঙ্কা থেকেই আমাদের আজকের এই সম্মেলন।
এসময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাকে করে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা মানুষের মাঝে বিভিন্ন খাবার সামগ্রী ও পানি বিতরণ করতে দেখা যায়।
তেমনই একজন মিজান মিয়া। তিনি কামরাঙ্গিরচর থেকে এসেছেন সমাবেশে যোগ দিতে। আসার সময় নিজেরাই কয়েকজন মিলে টাকা উঠিয়ে দুই হাজার পিস পানির বোতল নিয়ে এসেছেন। এগুলো সম্মেলনে আসা মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করছেন।
মিজান মিয়া বলেন, অনেকেই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন এখানে। অনেকের হাতে হয়তো টাকা নেই, হেটে চলে আসছেন। এই গরমের মধ্যে তাদের সামান্য সাহায্য করার জন্যই এই চেষ্টা।
এর আগে, কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও সাধারণ জনগণকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নেন, এবং দ্বিতীয় পর্বে অন্য পক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তবে এবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করছেন, তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চান। এই দাবি নিয়ে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা বিরোধিতা জানান এবং তাদের পক্ষ থেকে ইসলামি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলন যোগ দিতে ভোর থেকেই উপচে পড়া ভিড়। সম্মেলন কে কেন্দ্র করে পায়ে হেটে, নিজস্ব পরিবহন, বাস ও মেট্রোরেলে এদিন সম্মেলনস্থলে আসতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই জমায়েত হতে থাকা এ সম্মেলনটি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। যেখানে দাওয়াত ও তাবলিগ, কওমি মাদরাসা এবং দীনের হেফাজতের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
ইসলামি মহাসম্মেলন কে কেন্দ্র করে এদিন দেশের বিভিন্ন স্থানের আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভোর থেকেই সম্মেলনস্থলে আসতে দেখা যায়। বিপুল মানুষের ঢাকায় প্রবেশে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
এমতাবস্থায় সাইনবোর্ড, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, গাবতলি থেকে গণপরিবহন না পেয়ে পায়ে হেটেও সম্মেলনে যোগ দিতে আসতে দেখা যায়।
উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় বাস ও মেট্রোরেলেও। এদিন মিরপুর শেওড়াপাড়ায় অনেককেই বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে বাস না পেয়ে মেট্রোরেলে সম্মেলনে যেতে দেখা যায়। ফলে মেট্রোরেলেও ছিলো উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাই ছিলো না মেট্রোরেলে।
এর, আগে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও সাধারণ জনগণকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নেন, এবং দ্বিতীয় পর্বে অন্য পক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তবে এবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করছেন, তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চান। এই দাবি নিয়ে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা বিরোধিতা জানান এবং তাদের পক্ষ থেকে ইসলামি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আপাতত রাজবাড়ী রেলস্টেশন হয়ে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমি রাজবাড়ী জেলায় যোগদান করার পরই জানতে পেরেছি এ জেলার মানুষ সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং রাজবাড়ী স্টেশন হয়ে চলাচলের দাবিতে আন্দোলন করছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীর সঙ্গে কথা বলেছি।
এখানকার রাজনৈতিক অবস্থা ও মানুষের চাহিদার কথা আমি তার কাছে তুলে ধরেছি। আমি বলেছি, যেহেতু এই ট্রেন সুবিধা এই রুটে চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনের সুবিধায় মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেছে, মানুষ এই সুবিধাকে উপভোগ করছে। একই ধরনের বিকল্প সুবিধার ব্যবস্থা না করে এই ট্রেন কিভাবে বন্ধ করা হচ্ছে।
তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন যে, আপাতত তারা এই ট্রেন দুটি বন্ধ করবেন না। অবশ্যই বিকল্প সুবিধার ব্যবস্থা করে তারা ট্রেনের রুট পরিবর্তনের পরিকল্পনা করবেন।
২০২৩ সালের নভেম্বরে রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় রাজবাড়ীসহ আশেপাশের কয়েক জেলার মানুষের।