ঝুপরি ঘরে দিন কাটছে অসহায় সখিনার, ভাগ্যে জোটেনি কোনো ভাতা



মো. জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
ঝুপরি ঘরে দিন কাটছে বৃদ্ধা সখিনার, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝুপরি ঘরে দিন কাটছে বৃদ্ধা সখিনার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঁশের কয়েকটি খুঁটির উপর দাঁড় করানো ছোট্ট একটি ঝুপরি ঘর। পুরনো ঢেউটিন আর পলিথিন দিয়ে মোড়ানো নড়বড়ে এ ঘরটিতে মানবেতর দিন কাটছে বৃদ্ধা সখিনা বেগমের।

প্রায় ৮০ বছর বয়সী এ বৃদ্ধা স্বামী-সন্তানসহ সব হারিয়ে বর্তমানে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাত পেতে কোনো রকম জীবনের ঘানি টেনে যাচ্ছেন।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের চকসাদক (কোনাপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা সখিনার ভাগ্যে এখনো পর্যন্ত জোটেনি বয়স্ক, বিধবা অথবা সরকারি কোনো ভাতা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে সখিনা বেগমের সাথে কথা বলে জানা গেছে তার জীবনের দুর্বিষহ কষ্টের ইতিহাস। তিনি জানান, প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী জনব আলী মারা যান। হতদরিদ্র স্বামী সখিনার জন্য শুধুমাত্র বসত ভিটেটুকু ছাড়া অন্য কোনো সহায়-সম্পদ রেখে যাননি। স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সেলিমকে নিয়ে কোনো রকম চলছিল তার জীবন। কিন্তু ১০-১২ বছর পূর্বে সেই ছেলে একদিন কাজের সন্ধানে সিলেটে চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানকার এক নারীকে বিয়ে করেন। সিলেটে রিকশা চালালেও সেলিম অসহায় মা সখিনার খোঁজ-খবর নিতেন নিয়মিত।

বৃদ্ধা সখিনা, ছবি: বার্তা২৪.কম

কিন্তু গত দুই বছর ধরে সেলিমের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না সখিনা। একপর্যায়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে তার ছেলে একটি খুনের মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে সিলেটের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। একমাত্র ছেলে সেলিমই সখিনা বেগমের শেষ সম্বল। সেই ছেলে বন্দি হওয়ায় পৃথিবীতে তার খোঁজ নেওয়ার আর কেউই নেই।

বৃদ্ধ সখিনা কোনো কাজই এখন আর করতে পারেন না। তাই কোনো উপায় না দেখে বর্তমানে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে জীবন চালাচ্ছেন।

সখিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পৃথিবীতে আমার কেউ নাই। ঘর নাই। খাবার নাই। আমাকে দেখার মতো কেউ নাই। সরকারি কোনো কার্ডও নাই।

তাই সরকার যেন একটি ঘর তৈরি করে দিয়ে এবং একটি বয়স্ক অথবা বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়ে শেষ জীবনের নিরাপত্তা দেয় সে জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।

বৃদ্ধা সখিনার ঝুপরি ঘর, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ নিয়ে সখিনার প্রতিবেশী যুবক মনিরুল ইসলাম ভুট্টোর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সখিনা বেগম সত্যি চরম অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। যে ঝুপরি ঘরটিতে সখিনা বাস করছেন যে কোনো সময় ঝড়-তুফানে সে ঘরটিকে উড়ে যেতে পারে। এ অসহায় বৃদ্ধা কোনো সরকারি ত্রাণ বা কোনো বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার আওতায়ও আসেননি। আমরা সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি, তাকে দ্রুত সরকারি ভাতার একটি কার্ড এবং নিরাপদভাবে থাকার মতো সরকারি একটি ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সখিনা কোনোদিন আমার কাছে আসেননি। তবে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে তাকে আমরা বিভিন্ন সময় সহযোগিতা দিয়ে আসছি। অসহায় এ বৃদ্ধাকে একটি বয়স্ক অথবা বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়া হবে এবং ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তাকে একটি ঘর করে দেয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।

 

   

দেশের সকল অফিসে পেপারলেস স্মার্ট অফিস স্থাপনের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশের সকল অফিসে পেপারলেস স্মার্ট অফিস স্থাপনের তাগিদ

দেশের সকল অফিসে পেপারলেস স্মার্ট অফিস স্থাপনের তাগিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আইটি সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে হাইটেক পার্কের কার্যকারিতাকে আরও গতিশীল করার জন্য পেপারলেস স্মার্ট অফিস স্থাপনের লক্ষে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সোমবার (২০ মে) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক এই সুপারিশ করে কমিটি।

বৈঠকে কমিটি সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এর সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য ‘ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বি, এম কবিরুল হক, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, তারানা হালিম এবং মো. সিদ্দিকুল আলম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

সংসদীয় কমিটি বৈঠকে বিগত বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করে। সেইসাথে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম উপস্থাপন; টেলিটক, বিটিসিএল, টেশিস এবং ডাক বিভাগ এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত কমিটির সকল সদস্যগণের সম্মতিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সকল আইন, বিধি-নির্দেশিকা সংশোধন ও নতুন আইন প্রণয়ন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি (১নং) সাব-কমিটি গঠন করা হয়। একই সাথে টেলিটক, বিটিসিএল, টেশিস এবং ডাক বিভাগ-কে লোকসানের হাত থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে সুপারিশ প্রদানের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি (২নং) সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশে আইটি সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে হাইটেক পার্কের কার্যকারিতাকে আরও গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি পেপারলেস স্মার্ট অফিস স্থাপনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ভিত্তিক কোম্পানি বিভিন্ন চ্যানেলকে সার্ভিস দিয়ে আয়ের উৎস সৃষ্টি করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রণালয়ের সচিবদ্বয়, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানসহ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

আশুলিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মারার পর স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করছে ।

সোমবার (২০ মে) বিকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইউসুফ মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় ২ মাস ধরে তারা এই ভাড়া বাসায় বসবাস করছে।

মৃতরা হলেন, পটুয়াখালী লোহালিয়া ইউনিয়নের হাকিম আলী হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং বরিশালের আমতলী থানার সোবহান মৃধার মেয়ে মনি। রুহুল আমিন পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী এবং মনি গৃহিণী।

বাড়ির মালিক রেহানা আক্তার জানান, সকাল থেকে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে দুপুরে ঘরে ঢুকে দেখতে পান বিছানায় মনির মরদেহ পড়ে আছে এবং সিলিং এর সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে রুহুল আমিন।

নিহত মনির ভাগিনা মো. রিফাত জানান, ৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। ঈদের পরে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়ে ছিল। তখন আমার খালা (নিহত মনি) সংসার করবে নাহ বলে জানান। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা পরবর্তীতে তদন্ত করে জানা যাবে।

;

বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ বছরের বইপড়া কর্মসূচির উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ বছরের বইপড়া কর্মসূচির উদ্বোধন

বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ বছরের বইপড়া কর্মসূচির উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে বরিশালের ৯টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হলো এ বছরের বই পড়া কার্যক্রম।

সোমবার (২০ মে) বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুনসহ অন্যান্যরা।

এর মধ্য দিয়ে, বরিশালের ব্যাপ্টিষ্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলেকান্দা রুপাতলী সাগরদী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আছমত আলী খান ইনস্টিটিউশন, কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শহীদ আলতাফ স্মৃতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মমতাজ মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ইউসেপ সৈয়দ বাড়ি আলেকান্দা টেকনিক্যাল স্কুলে সম্প্রসারিত হলো বইপড়া কর্মসূচি।

এর আগে, মিলনায়তনে স্কুলগুলোর প্রায় ৪৫০ জন ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৪০ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে যাতে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পায়, সে উদ্দেশ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে গত এক দশক ধরে বই পড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছে বিকাশ। এর আওতায়, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখেরও বেশি বই দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে। এবছর এ কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া বইয়ের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৬০টি।

উল্লেখ্য, বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই পড়াকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা আয়োজনে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করছে বিকাশ। এছাড়া, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলে প্রতি বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে ২০১৯ সাল থেকে যশোরের বিশেষায়িত স্কুল প্রয়াস এর শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাদান খরচও বহন করে আসছে বিকাশ।

;

ভারতে পাচার হওয়া ৮ বাংলাদেশি নারী বেনাপোলে হস্তান্তর



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ভারতে পাচার হওয়া ৮ বাংলাদেশি নারী বেনাপোলে হস্তান্তর

ভারতে পাচার হওয়া ৮ বাংলাদেশি নারী বেনাপোলে হস্তান্তর

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচারের শিকার ৮ বাংলাদেশি নারীকে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা ৮ নারীর বাড়ি, যশোর, নরসিংদী, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, ভারতে পাচার হাওয়া বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের আইনি সহায়তা দিয়ে জাস্টিস এন্ড কেয়ার ও রাইট যশোর নামে দুইটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে।

মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারে সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার মুহিত হোসেন জানায়, ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে এরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।

;