পুলিশ পরিচয়ে আটক, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি
নীলফামারী'র সৈয়দপুরে পুলিশ পরিচয়ে আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তিকে জোর পূর্বক আটক করেছে প্রতারক চক্র। পরে চাপ সৃষ্টি করে ওই চক্রের এক নারী সদস্যের সাথে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এই ঘটনায় একজন নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন, সৈয়দপুর পৌর শহরের আতিয়ার কলোনি এলাকার আবু বিন আজাদ ওরফে শাওন (৩৫), নীলফামারী সদর উপজেলার বাবরীঝাড় চৌপথি বাজারের লিমন হোসেন (২৫) ও তার স্ত্রী আকতারা বেগম (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৬ জুন) সৈয়দপুরে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পাইকান হাজীপাড়ার মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহিম (৫০)। আনুমানিক সকাল ১০টার সময় সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের তিন সদস্য নিজেদের পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করে। ইয়াবা কারবারি এমন অভিযোগ এনে আব্দুর রহিমকে থানায় নেয়ার ভয়ভীতি দেখায় চক্রটি। পরে কৌশলে পৌর শহরের খেজুরবাগ মুন্সিপাড়াস্থ আবু বিন আজাদ ওরফে শাওনের বাসায় নিয়ে যায়।
পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবস্ত্র করে ওই চক্রের সদস্য আকতারা বেগমকে দিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হয়। ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দেখিয়ে আব্দুর রহিমের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চক্রের সদস্যরা।
জীবন ও সম্মানের ভয়ে আব্দুর রহিম ১ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় এবং বিকাশের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে তাৎক্ষনিক ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। বাকী টাকা দেয়ার শর্তে সন্ধ্যায় দিকে তাকে ছেড়ে দিলে আব্দুর রহিম সৈয়দপুর থানায় এসে ঘটনাটি অবগত করেন। বিষয়টি জানার পর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় আব্দুর রহিম নিজে বাদী হয়ে আটক তিন ব্যক্তিসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, রংপুর বাস টার্মিনালের শ্যামল রায় (৪০) ও তার স্ত্রী বীনা রানী (৩৫), ঘাঘটপাড়ার নাজির (২২) ও সেনপাড়ার আরমান (২৮)।
এবিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বার্তা২৪.কমকে জানান, 'প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে'।
উল্লেখ্য, আবু বিন আজাদ ওরফে শাওনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে উত্যক্ত করার মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।