ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা দান করল ত্রাণ তহবিলে
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা ত্রাণ তহবিলে উপবৃত্তির টাকা দান করেছে অপ্সরা দেব পড়শী নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৮জুন) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের হাতে উপবৃত্তির বারোশত টাকা তুলে দেয় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এ শিক্ষার্থী।
অপ্সরা দেব পড়শী শ্রীমঙ্গল কাঁচা বাজারের ডিম বিক্রেতা পরিতোষ দেবের মেয়ে। শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী।
টাকা হস্তান্তর শেষে অপ্সরা দেব পড়শী বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আমাদের শ্রীমঙ্গলেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই মুহূর্তে অসহায় মানুষদের সহায়তা করাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে অনেক দরিদ্র মানুষ না খেয়ে দিন পার করছেন। সরকার তাদের সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়েছে, আমার উপবৃত্তির টাকাগুলো সদ্ব্যবহারের এখনই সময়। সে জন্য টাকাগুলো উপজেলা উপজেলা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি।
অপ্সরা দেব পড়শীর বাবা পরিতোষ দেব বলেন, আমার মেয়ে বৃত্তির টাকা পেয়েই সরকারি তহবিলে দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানায়। আমরাও তাকে উৎসাহ দিয়েছি। মেয়ের এমন চিন্তা-ভাবনায় আমার খুব ভালো লাগছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা দূর্গত মানুষদের সহায়তা করার জন্য অপ্সরা দেব পড়শী তার উপবৃত্তির টাকা উপজেলা ত্রাণ তহবিলে প্রদান করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে অসহায়দের কথা চিন্তা করে বৃত্তির টাকা নিয়ে এ শিক্ষার্থী যেভাবে এগিয়ে এসেছে, বিষয়টি সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। শিক্ষার্থী অপ্সরা দেব পড়শীর অনুদান অসহায়দের সাহায্যার্থে সমাজের বিত্তবানদের জন্য বার্তা।
তিনি আরও বলেন, এই করোনাকালে নিত্যদিন অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে দিনাতিপাত করছি। দায়িত্ব পালনকালীন হৃদয়ে নাড়া দেওয়া গুটিকয়েক আশাব্যঞ্জক ঘটনার মধ্যে এটি নিশ্চিতভাবেই অন্যতম হয়ে থাকবে। একজন অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসা, পাশে দাঁড়ানো, সহমর্মিতা প্রকাশ করা, নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।