'কমিউনিটি অন্তর্ভুক্তকরণ ছাড়া লকডাউন সম্ভব নয়'
জোন ভিত্তিক লকডাউন বিশেষ করে রেড জোনে লকডাউন কার্যকর করতে কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সেই সাথে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য জরুরী সেবাসমূহ নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন তিনি।
বুধবার (১৭ই জুন) রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে চলমান লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
লকডাউনকৃত এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবা চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জরুরী সেবা দেয়ার জন্য এসব এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, লকডাউনকৃত এলাকায় গরীব দুঃস্থ, খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আর সামর্থ্যবানদের কাছে খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী আরো বলেন, এখানে পরীক্ষামূলক ভাবে লকডাউন করা হয়েছে এবং এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ দেশের যেখানে লকডাউন প্রয়োজন সেখানে তা গ্রহণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপসহ যেসব দেশে করানো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে তারাও সবকিছু চালু করছে। কারণ মানুষকে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে এর বিকল্প নেই।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব।
এসময়, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ, লকডাউন কার্যক্রমে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।