ভালো নেই পলাশের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ভালো নেই পলাশের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা

ভালো নেই পলাশের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালো নেই আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারীরা। বৃষ্টি নামলে পোলাপাইন নিয়ে ঘরের এক কোণায় ঘাপটি মেরে বসে থাকি কখন বৃষ্টি থামবে? বৃষ্টি না থামলে কখনো কখনো সারা রাতও না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে হয়। খাওয়া-দাওয়া ও গোসল করার জন্য যেই টিউবওয়েল দিয়ে ছিলো ওইগুলোও অধিকাংশ নষ্ট। বাথরুমের সমস্যার কথা আর কি বলবো? বাথরুম ধরলে খোলা মাঠে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এমনই পোড়া কপাল নিয়ে জন্ম নিছি, রোদে পুড়ি আবার বৃষ্টিতেও ভিজি, তারপরও আমাদের খবর নেয় না কেউ। এভাবেই নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলের টেক সান্তান পাড়া গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পে কষ্ট করে বসবাসের কথা জানান ওই প্রকল্পে বসবাসকারীরা।

পরিবার-পরিজন নিয়ে এভাবে এখানে বসবাস করা যে কত কষ্টের তা যারা বসবাস করছে তারা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। ২০০৪ সালে ওই গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পটি নির্মাণ করে ভূমিহীন ১৩০টি পরিবারকে বসবাস করতে দেওয়া হয়। এরপর একবার সামান্য কয়েকটি টিন দিয়ে দু-তিনটি ঘর মেরামত করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও শেষ আশ্রয়স্থল এ আশ্রয়নেই থাকতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৮শ মানুষ বসবাস করছেন।

টিনে মরিচা ধরে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র হয়ে গেছে

সরেজমিনে আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, প্রকল্পের ঘরগুলোর খুঁটি (পিলার) মরিচা ধরে খসে পড়ছে। সামনে থেকে ঘরগুলোর অবস্থা মোটামুটি ভালো দেখা গেলেও ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় মাথার উপরের টিনে মরিচা ধরে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। ঘরের দরজা, জানালা ও বেড়া ভাঙা। সামান্য বৃষ্টি হলে চালের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে। ঘরে থাকা চাল, ডাল, শুকনো খাবারসহ জামা কাপড় ভিজে যায়। বর্ষাকালে রাতে বৃষ্টি হলে সারা রাত জেগে চৌকির (খাটের) উপর পলিথিন দিয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোনো মতে বসে থাকেন তারা। অভাবের সংসারে পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়ে। এরপর ভাঙা ঘর মেরামত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।

এ অবস্থাতেই রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে আশ্রয়ন প্রকল্পের অসহায় মানুষগুলো অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে কোনো রকমে জীবন কাটাচ্ছে। ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারী সদস্য শাহাবুদ্দিন, হাবিবুর ও রোপা বেগমসহ অনেকের সাথেই কথা বললে তারা জানান, আমরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই। সরকার আমাদের আশ্রয়ন প্রকল্পে আশ্রয় দিছেন। এখানে হয়েছে দুর্ভোগের আরেক নাম। আমাদের বাথরুমগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। বাথরুমগুলোর ময়লা যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাথরুমগুলো থেকে যেই দুর্গন্ধ আসে আমরা ঘরে থাকতে পারি না। এই আশ্রয়ন প্রকল্প যখন নির্মাণ করা হয়, তখন এখানে আমাদের খাওয়ার পানি ও গোসল করার জন্য ১৩টি টিউবওয়েল এবং একটি পুকুর করে দেওয়া হয়েছিল। ওই পুকুর বেশির ভাগ সময় শুকনা থাকে আর ১৩টি টিউবওয়েল থেকে এখন ১০টি টিউবওয়েল সব সময় নষ্ট থাকে এবং যাও তিনটা টিউবওয়েল আছে তা থেকেও ভালোভাবে পানি আসে না। ভোটের সময় হলে আমাদের এখানে প্রার্থীরা ছুটে আসেন। ভোট শেষ হলে আমাদেরকে সবাই ভুলে যান। নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা আমাদের দুর্ভোগের কথা শুনে সমাধান করার আশ্বাস দিলেও পরে আর কোনো খবর নেয় না।

পলাশের আশ্রয়ন প্রকল্প

ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাবের উল হাই জানান, এই আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী মানুষদের পানি সংকট সমাধানের জন্য পরিষদের অর্থায়নে সামা টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। ঘরগুলো নতুন টিন দিয়ে মেরামত করা, বাথরুমের সমস্যাগুলো ও পানির সংকটের বিষয়গুলো উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আবেদন করেছি। আশা করি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।

   

বাসাবোতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর পর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

নিহত শ্রমিকরা হলেন- আলতাবুর, অন্তর ও মফিজুল। সর্বশেষ মুক্তা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মফিজুল।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, বাসাবো একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা পবন থেকে পড়ে আলতাবুর ও অন্তর সকালে মারা যান। এ ঘটনায় শ্রমিক মফিজুল গুরুতর আহত হলে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এখানে তিনি দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মফিজুলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলতাবুর ও অন্তরের মরদেহ আগেই দাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টা দিকে বাসাবোর ৭ নম্বর মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০ তলা ভবনের উপর থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

;

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের অজ্ঞাত থাকা আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার গলা ও কানে পরিধেয় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে খুন করে পূর্ব পরিচিত বিবেকানন্দ ত্রিপুরা। প্রথমে কিল-ঘুষি মারার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর মরদেহ গুম করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বুধবার (১৫ মে) মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ধরা পড়ে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তানভীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি এবং স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি আর্থিক দায়গ্রস্ত থাকায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু ঈশ্বরী ত্রিপুরা বিষয়টি জানিয়ে দিবেন বলায় ভয়ে তাকে হত্যা করে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন ঈশ্বরী ত্রিপুরা। নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের কলাবন নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

;

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সিলগালা করা গোল্ডস্টার সিগারেট ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চিহ্নিত ২জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে সহযোগী করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিথুন রায়।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা অসি মিয়া ও ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্প এলাকার হোসেন আলী অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ মিলে গত ১৫ই মে গভীর রাতে ফ্যাক্টরির পিছনের দেয়াল টপকে ১৯টি মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ চুরি করে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বাসিন্দা হালিম, জামিল ও হানিফ মিয়া তাদের আটক করে। এতে ওই চোরেরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে তাদেরকেই মারধর করে ৮ টি যন্ত্রাংশ ফেলে বাকি ১১টি দামি যন্ত্রাংশ নিয়ে চলে যায়। ওই ফেলে যাওয়া চুরির মালামাল নৈশপ্রহরী জব্দ করে ফ্যাক্টরীতে রাখে। পরবর্তীতে ওই চোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ফেলে রেখে যাওয়া চুরির মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতর্কিত ভাবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী হাসনা হেনা বেগমকে মারধর করে এবং খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী বলেন, তারা প্রায় রাতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ে, আমার পরিবারের সদস্যদের অকারনে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন চুরি করা মালামাল ছিনিয়ে নিতে এসে তারা বেধরক ভাবে আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে মারডাং করে এবং যে ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিথুন রায় বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা হওয়ার পর থেকে চোরদের উৎপাতে অরক্ষিত হয়ে উঠেছে ফ্যাক্টরীটি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশলে তারা চুরি করে যন্ত্রাংশ। এভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।

এর আগেও তারা কয়েকবার চুরি করতে এসেছিল। একারনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের কাছে হতে হয় লাঞ্চিত। সম্প্রতি চুরি ও সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।

এবিষয়ে আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসের বিল্লাহ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

;

আরসার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে: র‌্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার বিরুদ্ধে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। কোন প্রকার তথ্য পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এক প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটা আতঙ্কের নাম আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই আরসা গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হত্যাকানণ্ড অপহরণসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত। এর আগে আমরা নানা ধরনের অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ১১০ জন আরসা সদস্যকে গ্রেফতার করেছি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরঞ্জামাদী উদ্ধার করেছি।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাবের অব্যাহত নজরদারি, গোয়েন্দা তাৎপরতা অভিযানের প্রেক্ষিতে আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। পাশের দেশ থেকে অস্ত্র আসছে এমন গোয়েন্দা তথ্য থেকে আমরা গতকাল অভিযান চালিয়ে দুইজন কে গ্রেফতার করেছি।

আরাফাত বলেন, আরসার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিষ্ক্রিয় রাখতে আমরা স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি। আমরা তাদের ট্র্যাকিং করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা যখনই কোন তথ্য পাচ্ছি আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

গত বুধবার ভোর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার গহিন পাহাড়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এ অভিযানের সময় আরসা কমান্ডার মাস্টার সলিমুল্লাহ (৩৮) এবং তার সহযোগী মো. রিয়াজকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

;