কুড়িগ্রামে পানির নিচে ১৬৫ হেক্টর জমির ফসল
গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর, ফুলকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
ইতোমধ্যে বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ১৬৫ হেক্টর জমির ফসল এখন পানির নিচে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষক।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ-পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকায় চাষ করা পাট, পটল ও বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৭০ হেক্টর জমির পাট, ৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত, ২৫ হেক্টর বীজতলা ও ২০ হেক্টর জমির আউশ ধান পানিতে ডুবে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতোলা গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমার বিভিন্ন প্রকার সবজির ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে গাছ পচে যাবে। আজ অনেক কষ্ট করে কোমর পানিতে নেমে কিছু পটল, বেগুন তুলে বাজারে বিক্রি করেছি। তবে দাম খুবই কম।’
ওই গ্রামের জামান বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমির পটল সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। একদিকে করোনার কারণে বাজারে ভালো দাম পাইনি। অন্যদিকে বন্যায় ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে।