৩৫ বছর ধরে বাড়ি-ঘর গিলে খাচ্ছে মেঘনা



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
মেঘনার তাণ্ডবে ভাঙছে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকা।

মেঘনার তাণ্ডবে ভাঙছে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকা।

  • Font increase
  • Font Decrease

মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। জেলা সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলাকে ঘিরে রেখেছে এ নদীটি। কিন্তু প্রায় ৩৫ বছর ধরে অব্যাহত ভাঙনে মেঘনা গিলে খাচ্ছে বাড়ি-ঘরসহ সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা।

চলতি বছরও নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করায় এই মুহূর্তে দ্রুত বড় বড় জিওব্যাগ ডাম্পিং জরুরি।

জানা গেছে, সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন থেকে কমলনগর হয়ে রামগতি পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার এলাকা মেঘনা উপকূল। ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও ফসলি জমিসহ পুরো এলাকারই বিস্তীর্ণ অঞ্চল নদী ভাঙনে তলিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী বাজার, বাড়ি ও পূর্বপুরুষের কবর। দিন দিন বেড়েই চলেছে নদী ভাঙনের তীব্রতা। নদীতে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উপকূলে আঁচড়ে পড়া মেঘনার প্রতিটি ঢেউ সর্বনাশ করছে।

এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের নাছিরগঞ্জ বাজারকে ভাঙন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় একদল যুবক জঙ্গলা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ২৬ জুন থেকে এ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার ফুট এলাকায় বাঁশের বেড়া, গাছ, কাঠ দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়েছে। তবে এ বাঁধটি শুধু কমলনগরকে বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনের খোরাক মাত্র।

কিন্তু মেঘনার তীব্রতায় যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে জঙ্গলা বাঁধটি। নদীর ভাঙন থেকে উপকূলকে বাঁচাতে প্রয়োজন স্থায়ী বাঁধের। জিও ব্যাগ ও ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি উপকূলবাসীর। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

 জঙ্গলা বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা।

সূত্র জানায়, স্থানীয় যুবকদের জঙ্গলা বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্যরা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান ২ লাখ টাকা সহায়তা করেছেন।

জানা গেছে, সদর উপজেলা থেকে রামগতি পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটারের মধ্যে ৫ কিলোমিটার এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধ রয়েছে। কিন্তু অরক্ষিত ৩২ কিলোমিটার এলাকা ধীরে ধীরে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনকালীন জনপ্রতিনিধিরা নদী শাসনে কাজ করার কথা বললেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। গেল ঈদুল ফিতরের দুইদিন আগে চরফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর আগে বিদ্যালয় ভবনটির অর্ধেক নদীতে ভেঙে পড়ে।

অন্যদিকে রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের বয়ারচরের টাংকি বাজার এলাকায় একটি বিশাল ঝাউ বাগান ছিল। ওই বাগানটি সবসময় পর্যটনমুখর ছিল।

স্থানীয়দের মতে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে পুরো ঝাউ বাগানটি মেঘনার বুকে বিলীন হয়ে যায়। ঝাউ বাগানটি কেবলই স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে মানুষের মনে। টাংকি বাজার মাছঘাটটি জেলার বৃহৎ একটি ইলিশের হাট হিসেবে পরিচিত। ঘাটটিতে দিনে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হয়। কিন্তু যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে ঘাটটি। ভাঙনে সদর উপজেলার বুড়ির খাল এলাকার অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন বলেন, জঙ্গলা বাঁধটি স্থায়ী সমাধান নয়। নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, তিনি যেন একনেকের মাধ্যমে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য বরাদ্দ দিয়ে কমলনগরকে রক্ষা করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে একনেক সভায় কমলনগর-রামগতি রক্ষায় ৩৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প পাস হয়। প্রথম পর্যায়ে রামগতিতে সাড়ে ৪ এবং কমলনগর উপজেলায় ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু রামগতি-কমলনগর রক্ষা প্রকল্পটি ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাতিল করা হয়েছে। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প জমা রয়েছে বলে জানা গেছে।

   

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;