পীরগাছার ৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী, ভাঙছে জমি-বসতবাড়ি
উজানের ঢল ও অবিরাম বর্ষণে রংপুরের পীরগাছায় তৃতীয় দফায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে নদী অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ছাওলা ইউনিয়নের গাবুড়া, জুয়ান, রামশিং, শিবদেব ও হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের মানুষ।
শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের নেমে আসা ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা রয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে রয়েছে তীব্র স্রোত। স্রোতে ভাঙছে পাড়, জমি ও বসতবাড়ি। অনেকে শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বন্যা ও ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব পরিবারগুলোর অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে। চলতি মাসে নদী তীরবর্তী উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের প্রায় শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।
হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের আজাহার উদ্দিন জানান, বন্যার পানি কমা-বাড়ার কারণে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাগুরিয়া হাশিম গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনের শিকার নবাব উদ্দিন বলেন, ‘বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা মিলছে না। পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শিবদেব চরের কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে পানি প্রবাহ বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান জানান, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকা তলিয়ে গেছে। তবে দুদিনের মধ্যে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।