রংপুরে পশুর হাট পরিচালনায় আরপিএমপির সাত শর্ত
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রংপুর মহানগরের নয়টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। এসব হাটে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বেশকিছু শর্তজুড়ে দিয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। করোনার সংক্রমণ রোধসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শর্ত মেনে চলতে ইজারদার, পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শর্তগুলো হলো- সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে হাট পরিচালনা করা, সড়ক ও মহাসড়কের ওপর কোনোভাবেই হাট পরিচালনা না করা, সকাল হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হাটের সময় নির্ধারণ, প্রত্যেক হাটে পর্যাপ্ত ভলান্টিয়ার নিয়োগ ও ভলান্টিয়ারদের পোশাক সরবরাহ, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হয়রানি রোধে দালালদের দৌরাত্ম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, প্রত্যেক হাটে পর্যাপ্ত মাইক ব্যবহার করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান ও হাসিলের টাকা নিয়ে অনিয়ম রোধে প্রকাশ্য স্থানে হাসিলের টাকা উত্তোলন।
রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পশুর হাট সংক্রান্ত বিশেষ সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল হাটে এসব শর্ত পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অন্যথায় শর্তাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
সভায় আরপিএমপির বিশেষ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার আবু বকর সিদ্দীক, উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্য কর্মকর্তা ও হাট ইজারাদাররা উপস্থিত ছিলেন।