বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন মাস্টার বাশার
বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি অভিযুক্ত ময়ূর-২ এর মাস্টার আবুল বাশারকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার এড়াতে দুর্ঘটনা ঘটনার পর থেকে আবুল বাশার গ্রামের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে আসছিল। রোববার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান, র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটনার পর থেকে আবুল বাশার রাজধানীতে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রেফতারের ভয় তাকে পেয়ে বসে। পরে ঘটনার দিন রাতেই সে মাগুরাতে নিজ গ্রামের বাড়ি চলে যায়। সেখানে ২ দিন অবস্থানের পর পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে আরেকজনের বাড়িতে অবস্থান করে। এরপর ফরিদপুরের বোয়ালমারীসহ বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে সেখানেও জানাজানি হলে গেলে স্থান পরিবর্তনের জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলে তাকে আটক করে র্যাব।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেককে রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নৌ পুলিশ। তার আগে গ্রেফতার হয় ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুস সালাম।
গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চের ৩৪ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, স্টাফসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়।