ইভিএম নিয়ে ইসিতে মতবিরোধ



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে খোদ নির্বাচন কমিশনাররা মতবিরোধে জড়িয়েছেন। জানা গেছে, নির্বাচনে ইভিএম ব্যহরের জন্য ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার নতুন যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে ৫ কমিশনারের মধ্যে তিনজন জানেন না। এর মধ্যে এক কমিশনার সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য যে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ‘নোট আব ডিসেন্ট' দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন,  সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার  নতুন যে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আপনাদের কাছে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে আরপিও সংশোধনের  জন্য ৩০  আগস্ট মিটিং আছে সেখানে বিষয়টি জানতে চাইব।  আমি এর আগে জানতাম সংসদ নির্বাচনে অল্প কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কিছুই জানি না।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ইভিএমের প্রকল্পের বিষয়ে কিছু জানি না। সচিব এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানেন। যখন এগুলো ব্যবহার করার জন্য কমিশন সভায় আলোচনা হবে তখন বলব। এর আগে বিষয়টি নিয়ে বলার কিছু নেই, আমি বলতেও চাইনা।

কমিশনার কবিতা খানম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে তা আরপিওতে সংযুক্ত করতে হবে। তার পর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে কিনা। ব্যবহার করলেও তা কতটুকু পরিসরে ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারেও ৩০ আগস্ট সিদ্ধান্ত নিবে। ইভিএম কেনার নতুন প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে আরপিও সংশোধন করা হচ্ছে সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে একজন কমিশনার নোট আব ডিসেন্ট দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার নোটে বলেছেন, বিগত ২৬ আগস্ট আরপিও সংশোধনের জন্য কমিশন সভায় তিন ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সেদিন দুটি প্রস্তাব বাদ দিয়ে কেবল একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কমিশনসভা মুলতবি করা হয়। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ইতোমধ্যে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে । এতে রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কশিমনার প্রথম থেকে বলে আসছেন রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানালেও বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ থেকে বিরোধীতা করা হয়েছে। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, এর আগে ৫০ কোটি টাকার ইভিএম ক্রয়ের নথিতে আমি ভিন্নমত প্রকাশ করেছিলাম। সম্প্রতি ইভিএমের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে তাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধীতার মুখে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ক্রয় করা কতটা যৌক্তিক।

ইসি সূত্র জানায়, ইসি যে চাহিদাপত্র দিয়েছে তাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে ইভিএম প্রয়োজন ২ লাখ ৬৪ হাজার। ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে গেলে ইভিএম প্রয়োজন ২৩ হাজার। একইভাবে দেশের ১১ সিটিতে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে গেলে ইভিএম লাগবে ৩৫ হাজার। ৩২৩ পৌরসভায় এ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করতে হলে ইভিএম লাগবে ৩৫ হাজার।

ইসির তথ্য অনুসারে, দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৫৫টি। এসব ইউপিতে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে ইভিএম লাগবে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫০০টি। তবে এ ক্ষেত্রে ইসি ভিন্ন পরিকল্পনা করেছে।

পর্যালোচনাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ইউপি নির্বাচন কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। ইতোপূর্বে প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ ৭৫০টির মতো ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একেক ধাপে ইভিএম প্রয়োজন ৫২ হাজার ৫শ।

এদিকে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাবটি সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ণ কমিটি (পিইসি) মতামত দিয়েছে। গত ১৯ আগস্ট পিইসির সভায় এ মতামত দেয়া হয়। সম্প্রতি ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই একাশদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯ আগস্টের সভাটি বিশেষ কিছু কারণে মূলতবি করা হয়েছে। পিইসির সভায় প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মর্মে মতামত এসেছে।

প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে আলোচনার তাগিদ দিয়েছে পিইসি। প্রকল্পে ২০৪ জন পরামর্শকের প্রয়োজনীয়তা জানতে চেয়েছে পিইসি। এক্ষেত্রে পরামর্শকের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিধি ডিপিপিতে উল্লেখের জন্য বলা হয়েছে। প্রকল্পে ৩১১০ জনের প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ থাকলেও তারা কারা সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া ৩০জনকে বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা বলা হলেও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। প্রকল্পে বিজ্ঞাপন প্রচার, পরিবহন, মোটরযানবাহন ক্রয়, কম্পিউটার সফটওয়্যার, আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইসির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে।

   

শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা বাজেট চান শাজাহান খান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা করে বাজেট তৈরি করার পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, শ্রমিকদের বাজেট যেন একটা সুনির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে না হয়।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে 'আসন্ন জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ উপলক্ষে শ্রমিকদের জন্য কেমন বাজেট চাই' শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।

ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে কথা বলার কারণে অনেকের আক্রোশে পড়তে হয়েছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ২০১৩ সালে যখন ব্যাপক আকারে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছিল তখন প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর দায়িত্ব দিয়েছিল এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে। তখন মালিকরা বলছিল ট্রেড ইউনিয়নের কারণে সমস্যা হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা গিয়ে নাকি গার্মেন্টস বন্ধ করাসহ আরও অনেক কিছু করে। আর শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল মালিকরা তাদের জুট ব্যবসাসহ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু গুন্ডাবাহিনী পালতো। শ্রমিক ও মালিক দুই সত্তাকে রক্ষা করে চলতে পারলে শিল্পের সম্ভাবনা বাড়বে বলে জানান তিনি।

গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আসছে বাজেটে শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে শ্রমিক বাজেট খাত তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে যে প্রস্তাবগুলো করেছে তা যেন এবারের বাজেটে বাস্তবায়ন করা হয়। শ্রম মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দ যেন না কমানো হয়।

আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো নাসির উদ্দিন, সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম, বিলস নির্বাহী পরিচালক সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

;

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে ‘হারিকেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের অন্ধকার নিবারণের একমাত্র অবলম্বন ছিল হারিকেনের আলো। কালের বিবর্তন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে ‘হারিকেন’। গ্রামবাংলার অতি প্রয়োজনীয় এই হারিকেন এখন সোনালি অতীত।

একসময় গ্রামে সন্ধ্যা গড়িয়ে এলে হারিকেন কিংবা কুপিবাতি ছাড়া কল্পনা করাই ছিল ভার। বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানেও মিটি মিটি করে জ্বলা আলোর রশ্মি চোখে পড়তো। দোকানদারেরা বেচাকেনাও করতেন হারিকেনের আলোতে। এমনকি ছোট্ট শিশুরা হারিকেন জ্বালিয়ে বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের বারান্দায় পড়াশোনা করত।

এখন আর চোখে পড়ে না হারিকেনের আলোর ফুলকি। তখন হারিকেন ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের। এরমধ্যে টিন, লোহা, কাঁচ ও পিতলের নকশা করার চাহিদা ছিল বেশ। কেরোসিন ব্যবহার করে সুতার বেনীবুননে আলো ছড়াতো হারিকেন।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিকেন এখন বিলীন হয়েছে৷ প্রযুক্তির আশীর্বাদে নিত্য নতুন বাহারি লাইটের আবির্ভাব ঘটেছে। বাহারি লাইটের ভিড়ে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন। এতে অন্ধকারাচ্ছন্ন দূর হয়ে রাতের আঁধার কাটিয়ে উজ্জ্বল আলোতে মানুষের সুবিধা হয়েছে। অনেকেই আগামী প্রজন্মের জন্য গ্রামীণ নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণ করে রেখেছে হারিকেন। অদূর ভবিষ্যতে হারিকেন শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে।

;

সম্মাননা পেলেন পদকপ্রাপ্ত ১২ ব্যক্তি ১ প্রতিষ্ঠান 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশের ১২ গুণিজন ও এক প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)'র মাল্টিপারপাস হলরুমে ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা জেলা সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী, গুণিজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

যাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা শিশু বিশেষজ্ঞ ও সমাজ সেবক জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান, দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গিতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ধান বিজ্ঞানী ড. মো. আব্দুল মজিদ। একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার শেখ লুৎফর রহমান, প্রথিতযশা চিত্রকর সৈয়দ জাহাঙ্গীর, কবি, সঙ্গীত রচিয়তা, নাট্যকর ও সাংবাদিক সিকান্দার আবু জাফর, বরেণ্য ণ্ঠশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিন, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক তোয়াব খান, কবি ও সাংবাদিক কাজী রোজী, অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রশিল্পী এবং বিজ্ঞাপিন নির্মাতা আফজাল হোসেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জল ঘোষাল এবং অভিনেতা ও আবৃতিকর জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে সমাজসেবায় উল্লেখ্য অবদানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এএফএম গোলাম শরফুদ্দিন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক তোয়াব খানের পক্ষে মরোনত্তর সম্মননা গ্রহণ করেন শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ লুৎফর রহমানের পক্ষে সম্মননা গ্রহণ করেন কন্যা লতা রহমান, সিকান্দার আবু জাফর এবং সৈয়দ জাহাঙ্গীরের পক্ষে সম্মননা গ্রহণ করেন সাবেক সচিব ও সতক্ষীরা জেলা সমিতির উপদেষ্টা শেখ শাফি আহমেদ, কাজী রোজির পক্ষে মরোনত্তর সম্মননা গ্রহণ করেন কাজী মাহবুবা ও আফজাল হোসেনের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন মাত্রার প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা খন্দকার আলমগীর।

এসময় অনুভূতি প্রকাশ করেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ধান বিজ্ঞানী ড. মো. আব্দুল মজিদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জল ঘোষাল এবং অভিনেতা ও আবৃতিকর জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাসুদ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিথ ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, উপদেষ্টা মো. ফখরউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহসহ সাতক্ষীরা আরোও অনেক গুণি ব্যক্তিবর্গ।

;

টাঙ্গাইলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

টাঙ্গাইলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মেহেদী হাসান মিশু (১৮) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া নামক এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন মিশু।

নিহত মেহেদী হাসান মিশু উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার।

জানা যায়, মেহেদী হাসান শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে গোবিন্দাসী এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কষ্টাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায় মেহেদী। এসময় আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে অবস্থা আরও অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর খবর জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

;