দিনের বেলা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ মেয়র তাপসের
দিনের বেলায় উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য না ফেলার জন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে নগর ভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এই অনুরোধ জানান।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ঢেলে সাজাচ্ছি। এখন থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সকল কার্যক্রম সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে সম্পাদন করা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, সকাল ৬টার পরে ঢাকাবাসীকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়া।
ঢাকাবাসীর পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকান মালিকদের অনুরোধ জানিয়ে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, আপনারা দিনের বেলায় রাস্তায় কিংবা উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না। আমাদের বর্জ্য সংগ্রহকারীরা আপনাদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত কন্টেইনার বা অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) নিয়ে যাবেন। তাই দিনের বেলায় আপনাদের কোনো ধরনের বর্জ্য জমা হলে তা রাস্তায় বা উন্মুক্ত স্থানে ফেলবেন না। সেজন্য শিগগিরই আমরা নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু করব।
নতুন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএসসিসির মেয়র আরও বলেন, নতুন কর্মপরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার আওতায় আমরা ডিএসসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৭৫ জন প্রাইমারি বর্জ্য সংগ্রহ সেবাদানকারী (পিসিএসপি) নিয়োগ করব। সুনির্দিষ্ট শর্তাবলী উল্লেখপূর্বক তাদেরকে নিবন্ধিত করা হবে এবং শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন ও ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামানসহ ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে পিসিএসপির সংগ্রহকারীরা বাসা-বাড়ি ও গৃহস্থালি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত কন্টেইনার বা এসটিএস এ নিয়ে যাবেন। সেখান থেকে ভোর ৬টার মধ্যে মাতুয়াইলের ল্যান্ডফিল নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি রাত ৯টা হতে সকাল ৫টার মধ্যে ঢাকা শহরের মূল সড়কগুলোতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করবে এবং প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে মূল সড়কগুলোতে পানি ছিটানো হবে।