আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ধূম্রজাল



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাসিকে গ্যাসের নতুন সংযোগ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক অনুমতি পাওয়া গেছে।’

অন্যদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একটি জাতীয় দৈনিককে বলেছেন, ‘আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

অথচ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাতে একটি জাতীয় দৈনিকে লেখা হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ফাইল জমা আছে। তার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই বিতরণ কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু হবে। কিভাবে সংযোগ দেওয়া হবে তাও বাতলে দেন। তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে অবশ্যই প্রি-পেইড মিটার হবে। আমরা দেখেছি প্রি-পেইড মিটারে খরচ কম হয় ভোক্তার। আবার মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় কম হয়।’

কয়েক দিনের ব্যবধানে মন্ত্রণালয়ের দুই শীর্ষ কর্তার এমন বিপরীতমুখী বক্তব্যে গ্যাস সেক্টর ও জ্বালানি খাতের সাংবাদিকদের মধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম ধরেই মিডিয়াকে বলার কয়েকদিন পর কেন এমন হলো এ নিয়ে নানান রকম গুঞ্জন চলছে।

অনেকেই মনে করছেন এলপিজি সিন্ডিকেটের কারণে এমনটি হতে পারে। এলপিজি ব্যবসায়ীরা কোনভাবেই চাইবেন না নতুন করে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হোক। এতে তাদের সিলিন্ডার ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বড় বড় রাঘোব বোয়ালরা এই সেক্টরে বিনিয়োগ করেছে।

গ্যাস সংকটের কথা বলে ২০১০ সালে আবাসিকে (বাসায় রান্নায়) নতুন সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। দশম সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন আগে ২০১৩ সালের মে মাসে আবাসিক খাতে নতুন সংযোগ দেয়া চালু হয়। ওই সময় সিটি নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহীতেও বেশ কিছু আবাসিক সংযোগ দেয়া হয়। তবে ভোটের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের এপ্রিলে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ চালু করার ইঙ্গিত দেয়া হয়। কিছু লোক সেই সুযোগ কাজে লাগালেও বঞ্চিত হন অধিকাংশ সংযোগ প্রত্যাশী।

নয় বছরের বেশি (টানা সাড়ে ৬ বছর) সময় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় রাজধানীসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয়ার মহোৎসব চলছে। যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। গ্যাস বিতরণ কোম্পানি অভিযান চালিয়ে মাঝে-মধ্যে লাইন কাটলেও কয়েকদিনের মধ্যেই অবৈধ সংযোগ আবার চালু হয়ে যায়।

পাইপলাইনের মাধ্যমে আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার কারণ হিসেবে গত এক দশক যাবত জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্ট একটি অংশ বলছে, বিশ্বের কোন দেশে পাইপলাইনে আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেয়া হয় না। বাংলাদেশে বাসায় রান্নার কাজে পাইপলাইনে গ্যাস দিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গঠিত এক কমিটির ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত, সিঙ্গাপুর, জাপানে আবাসিক খাতে বাসা-বাড়িতে রান্নায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ চলমান আছে এবং এর আওতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। জাপান ও সিঙ্গাপুরে নাগরিক সেবায় পাইপলাইনে গ্যাসের পাশাপাশি এলপিজি ও বিদ্যুৎ দিয়ে রান্নার সুযোগও উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ।

জ্বালানি খাতের একাধিক বিশ্লেষকের মতে, দেশে এলপিজির (তরল পেট্রলিয়াম গ্যাস) একচেটিয়া বাজার সৃষ্টি করতে, জ্বালানি বিভাগের সুবিধাভোগী একটি অংশের অপতৎপরতায় পাইপলাইনের গ্যাস বন্ধ করা হয়েছে। আবাসিকে শুধু এলপিজি চালু করা জনগণকে জিম্মি করার শামিল বলেও মনে করেন তারা। এলপিজির বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। বোতলের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখার সরকারি নির্দেশও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ওজনে কম দেয়া এবং টুইনিং (বোতলে পানি-হাওয়া ইত্যাদি ভরা) করার বিষয়টি মনিটরিং হচ্ছে না। প্রান্তিকে ঠকছেন গ্রাহকরা। লাভবান হচ্ছে উৎপাদক ও মধ্যস্বত্বভোগীরা।

বিশ্লেষক মনে করছেন বাসা-বাড়িতে রান্নায় পাইপলাইন গ্যাস, এলপিজি এবং বিদ্যুৎ সব সুযোগই থাকা উচিত। যাতে মূল্য ও সুবিধাভেদে গ্রাহক তার পছন্দসই জ্বালানি বেছে নিতে পারেন। পাইপলাইনে প্রি-পেইড মিটার দেয়াটা জরুরি উল্লেখ করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রি-পেইড মিটার হলে একজন গ্রাহক যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করবেন, ততটুকু গ্যাসেরই বিল দেবেন। এতে সবার স্বার্থ রক্ষা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি করা হয় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা দরে। জনস্বার্থে আবাসিক খাতের গ্রাহকদের কাছে একই পরিমাণ (প্রতি ঘনমিটার) গ্যাস বিক্রি করা হয় ১২ টাকা ৬০ পয়সা দরে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, ‘বিইআরসি একটি হিসেবে করে দেখিয়েছে এলএনজি এনে বাসা-বাড়িতে দেওয়া হলেও এলপিজির চেয়ে অনেক কমমূল্য পড়ে। বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ না দেওয়ার পেছনে এলপিজি ওয়ালাদের কারসাজি থাকতে পারে। এলপিজি ওয়ালাদের মুনাফা দেওয়ার জন্য এতদিন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়নি, মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে। এর জন্য বিচারের দাবী উঠা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, এলপিজি পুরোপুরি ক্লিন ফুয়েল বলা যায় না। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এর ব্যবহার উৎসাহিত করা যায় না। যেখানে পাইপলাইন নেই, বা অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনা সেখানে এলপিজি থাকতে পারে। তবে এর মুনাফা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।

আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার সময় দেশে গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল ১৭শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ)। দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের গড় উৎপাদন প্রায় আড়াই হাজার এমএমসিএফ। তবে চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়ে গেছে। গ্যাসের বিকল্প হিসেবে আমদানিকৃত এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আসছে দৈনিক সাড়ে ৫শ’ এমএমসিএফ। দৈনিক উৎপাদিত ও আমদানিকৃত মোট গ্যাসের এক হাজার ২শ’ এমএমসিএফ বিদ্যুৎ উৎপাদনে, প্রায় ৫শ’ এমএমসিএফ আবাসিক খাতে, একশ ত্রিশ এমএমসিএফ সার কারখানায়, শিল্প কারখানা, বাণিজ্যিক খাত, চা বাগানসহ অন্যান্য খাতে অবশিষ্ট গ্যাস বিতরণ করা হয়।

রাষ্ট্রীয় ৬টি কোম্পানি তিতাস, কর্ণফুলী, পশ্চিমাঞ্চল, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ করে আসছে। সারাদেশে বৈধ আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন ৩৮ লাখ। সবচেয়ে বড় বিতরণ কোম্পানি তিতাসের আবাসিক গ্রাহক ২৮ লাখ ৪৬ হাজার। এরমধ্যে প্রি-পেইড গ্রাহক প্রায় দেড় লাখ। রাজধানীসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় গ্যাস বিতরণ করে তিতাস। তবে ধারণা করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এসব সংযোগ বৈধ না হওয়ার সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানির লোকজন কেউ কেউ মাসোয়ারা নিয়ে আসছেন।

রাষ্ট্রীয় ৩টি কোম্পানি ১৮টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ৭০টি কূপের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে পৌনে ৯শ এমএমসিএফ গ্যাস উৎপাদন করছে। বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন একাই তিনটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ৩৮টি কূপের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে এক হাজার ৫শ’ ৪০ এমএমসিএফ, তাল্লো একটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ৫টি কূপের মাধ্যমে গড়ে একশ’ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করছে।

   

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে সোমবার (৬ মে) সকাল সোয়া ৮টার দিকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে রাস্তাঘাটে পড়েছে। এছাড়াও ঘর-বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল সোয়া ৮টার দিকে হঠাৎ করে পুরো আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসে। মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়।

জানা যায়, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মদা গ্রামে কালবৈশখী ঝড়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর বড় একটি গাছ ভেঙে পড়ে।

এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে । শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এবিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

;

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক আনসার সদস্য গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। 

রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের পাশেই একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় চৌধুরি।

নিহত আরিফুল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে সিপাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি বলেন, আনসার সদস্য আরিফুল ইসলাম সপরিবার নিয়ে সদর দফতরের পাশেই একটা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি ছুটিতে সপরিবার বাড়িতে যান। ছুটি শেষে রোববার একাই ভাড়া বাসায় ফেরেন তিনি। আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, পারিবারিকভাবে কলহের জেরে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, স্ত্রীর সাথে অভিমান করে এক আনসার সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাবুল চিশতা (৪৫) ও অপরজনের নাম কবির হোসেন। তার বয়স আনুমানিক (৫০) বছর।

রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম জানান, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাত পৌনে ২টার দিকে একটি পিকআপ ভ্যান ইউটার্ন নিচ্ছিল। তুহিন পরিবহনের একটি বাস তখন পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা পিকআপ ভ্যানের ভেতর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে বের করে রাস্তায় রাখেন। তখন তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আারও জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই বাসটিতেও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তবে তারা সামান্য আহত হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যে যার বাসায় চলে গেছেন। নিহত বাবুল চিশতি পিকআপ ভ্যানটির চালক। মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত বাবুল চিশতির স্ত্রী নার্গিস আক্তার জানান, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তশা গ্রামে বাবুলের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুর রশিদ আকন। পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকেন। ভাড়ায় পিকআপ ভ্যান চালাতেন তিনি। সোমরাত রাত ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। বের হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাবেন। সেখান থেকে পিকআপ ভ্যানে করে মাছ নিয়ে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল তার।

;

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি. বেগে বৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) সকালে দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রংপুর এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আগামী ৬ এবং ৭ মে এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

;