বগুড়ায় সাবেক এএসপিসহ আটক ৫ জনকে খালাস
বগুড়ার সোনাতলা থানায় অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আটক হওয়া সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ (এএসপি) পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের উপনির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনার জন্য ঘুরছিলেন। কিন্তু এ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়া হয়।
সোমবার (১৩ জুলাই) এ বিষয়ে সোনাতলা ডাক বাংলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আর তা পরিচালনা করেন ওই নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ভ্রাম্যমাণ্য আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিস্কৃতি হাগিতক।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তেজারের বাবা সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইন্তেজার রহমান, তার কর্মী রোহান ফয়সাল, ফারদিন বিন রশিদ, মিকানুল ওরফে সেক্সপিয়ার এবং মাইক্রোবাস চালক জামাল উদ্দিন।
জানা গেছে, গত রোববার (১২ জুলাই) গভীর রাতে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে দেখা করতে গেলে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। ওই সময় তাদের হেফাজত থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা, নির্বাচনী পোস্টার ও হ্যান্ডবিল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়।
পুলিশের দাবি ছিল- নির্বাচনী এলাকায় টাকা দিয়ে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করছে তারা। পরে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেড আটককৃতদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনাতলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, সোমবার বিকেলে আটককৃতদেরকে নির্বাচনী ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক দীর্ঘ সময় উভয় পক্ষকে জেরা করেন। কিন্তু আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রাত ১০টায় তাদের খালাস দেয়া হয়। একই সঙ্গে জব্দ করা ৭ লাখ টাকা ও মাইক্রোবাস ফেরত দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। পরে রাতেই তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়।