ভূঞাপুরে পশুর হাটে নেই ক্রেতা, দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা
টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী গরুর হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু বিক্রেতা থাকলেও দেখা মিলছে না গরু বেপারী ক্রেতাদের। বিক্রি কম থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় বিক্রেতারা। লোকসানের আশঙ্কা করছেন হাটের ইজারাদার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে পর্যাপ্ত উঠলেও নেই ক্রেতা-বেপারী। এছাড়া এলাকাভিত্তিক ক্রেতাদের দেখা গেলেও তুলনামূলক কম।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও মানছেন না হাটে থাকা লোকজন। তবে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে বলে দাবি প্রাণী সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
প্রতি বছর কোরবানী ঈদের পূর্বে এই সময়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গরুর হাটে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত বেপারী হাটে গরু কিনতে আসলেও করোনার কারণে এবছর তাদের দেখা মিলছে না। ফলে গবিন্দাসী গরুর হাট অনেকটাই ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে স্থানীয় কৃষক, খামারি ও মৌসুমি গরু ব্যাবসায়ীরা। দুই চারজন বেপারী হাটে গরু কিনতে আসলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না বলায় অনেকটাই হতাশায় গরু বিক্রেতারা।
অন্যদিকে ভয়াবহ বন্যা এবং গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি থাকায় নানা সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও মৌসুমি ব্যাবসায়ীরা।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর ঈদের এই সময় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণ বেপারীরা এসে শত শত ট্রাক গরু কিনলেও এবছর মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তারা হাটে আসেননি। ফলে গরুর চাহিদা কমে গেছে।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাটে গরু কিনতে আসা কয়েকজন জানান, এবছর দেশে মহামারি কারণে অর্থনৈতিক মন্দা থাকায় গরুর চাহিদা কমে গেছে। সেই কারণে অন্য বছরের মতো গরু বিক্রি করা যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণী সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা টিএম মহিবুর রহমান বলেন, ‘হাটে গরু অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে আমরা ব্যাবস্থা নিয়েছি। একই সাথে সাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
গোবিন্দাসী গরুর হাটের কর্তৃপক্ষ মো. লোটন মিয়া, হাটে ক্রেতা শূন্য। অন্যান্য বছর ঈদের এ সময় যে পরিমাণ ক্রেতা-বিক্রেতা এবং বেপারীদের আনাগোনা থাকে তার অর্ধেকও হাটে আসেনি। এবছর হাটের ইজারা নিয়ে ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে। যে টাকা দিয়ে হাট ইজারা দেয়া হয়েছে তার অর্ধেক ইজারাও হবে না।’