এখন তারা উদ্যোক্তা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নারী উদ্যোক্তা দিল আফরোজা মিতু ও হাসনা আবেদিন/ছবি: বার্তা২৪.কম

নারী উদ্যোক্তা দিল আফরোজা মিতু ও হাসনা আবেদিন/ছবি: বার্তা২৪.কম

পুরুষদের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নারীরা এখন অনেকটাই সফল। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে নারী উদ্যোক্তাই বেশি দেখা যায়, যেখানে ব্যবসা ক্ষেত্রে সুবিধা বেশি। কিন্তু এ ধারায় এখন মফস্বল শহরের নারীরাও উজ্জীবিত হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের দিল আফরোজা মিতু ও হাসনা আবেদিন দুই গৃহবধূ উদ্যোক্তার পাতায় নাম লিখিয়েছেন। নারীদের জন্য তারা অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান খুলে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা নেমেছেন।

মিতু সৌদি আরব প্রবাসী ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাঞ্চানগর এলাকায়। ব্যবসায়িক অংশীদার হাসনা হচ্ছে তার ভাই শরীফ হোসেনের স্ত্রী। হাসনা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে রসায়ন বিভাগে বিবিএ (অনার্স) পাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে- ডিভাস আউট ওয়্যার (Divas out wear)। যেখানে মেয়েদের থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, ফোর-পিস, শাড়ি পাওয়া যায়। তাদের অনলাইন বাজারে বাটিকের বিছানার চাদরও পাওয়া যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির জামা-বিছানার চাদর বিক্রিতে ভালোই চাহিদা রয়েছে।

এ ব্যাপারে হাসনা আবেদিন জানান, মিতুর অনুপ্রেরণায় তিনি অংশীদার হয়ে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করেন। শুরু থেকেই ভালো সাড়া মিলছে। তবে এখনো অন্যান্য পাইকারি দোকান থেকে জামা-কাপড়গুলো কিনে এনে বিক্রি করছি। খুব শিগগিরই নিজেদের প্রতিষ্ঠান থেকেই এসব জামা কাপড় তৈরি করে বিক্রির আশা রয়েছে তাদের।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে প্রধান উদ্যোক্তা দিল আফরোজা মিতু জানান, খুব কম বয়সে তার বিয়ে হয়েছে। তার সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পরে তিনি এইচএসসি ও ডিগ্রি পাশ করেন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্স ও প্যারামেডিকেলে অধ্যয়নরত। বিয়ের পর থেকে পড়ালেখাসহ সকল কাজে তার স্বামী ইব্রাহিম খলিলের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, শুধু স্বামীর ওপর নির্ভরশীল থাকাটা উচিত নয়। দীর্ঘদিন থেকে তিনি চেয়েছেন যখন চেয়েছেন নিজের একটা পরিচয় হোক। সেই স্বপ্ন থেকেই আজকের এ ব্যবসা শুরু করেন। তবে অংশীদার হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন সবচেয়ে কাছের বন্ধু ও তার ভাবি হাসনা আবেদিনকে। এখন অন্যদের কাছ থেকে জামা-কাপড় কিনে এনে বিক্রি করলেও একদিন তাদের একটা ব্রান্ড হবে। তারাই জামা-কাপড় তৈরি করে বিক্রি করবেন বলে স্বপ্নের কথা জানান তিনি।