ভুয়া কোম্পানির সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করতেন সাহেদ
ভুয়া কোম্পানি খুলে বিভিন্ন হাসপাতালে নিম্নমানের পিপিই ও সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করতেন রিজেন্টের সাহেদ।
শনিবার (১৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে প্রথম দিন রিমান্ড শেষে সাহেদ সম্পর্কে এ তথ্য দেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, সাহেদ সম্পর্কে আমরা এ সকল প্রতারণার কথা জেনেছি। এছাড়াও আরো নানাবিধ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত সাহেদ। করোনাকালের প্রথম দিকে যখন পিপিই ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী সংকট চলছিল, তখন ভুয়া কোম্পানি খুলে নিম্নমানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করত সাহেদ।
এদিকে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, সাহেদের প্রতারণার ক্ষেত্র কোনো একক বিষয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না। নানা কৌশলে তিনি প্রতারণা করতেন। এসব প্রতারণা করতে তিনি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করতেও নিয়েছেন নানা কৌশল।
রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা এবং করোনা রোগীদের সেবা নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি সামনে চলে আসছে- এমন আভাস পেয়েই তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধোঁকা দিতে নেন আরেক কৌশল। প্রথমে তিনি প্রচার করেন- তার হাসপাতালের নাম করে করোনার ভুয়া পরীক্ষা করছে প্রতারক চক্র। এটি প্রচারের পর তিনি পরিকল্পনা করছিলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনকে ‘চাকরীচ্যুত’ করার।
এক্ষেত্রেও সবার চোখকে ফাঁকি দেওয়ার এক অভিনব কৌশল নেন। এই চাকরিচ্যুতির ঘটনাটি একটি নাটকের মতো হবে। যাদের চাকরীচ্যুত করা হচ্ছে বলে প্রচার করা হবে, তাদের বেতন আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই র্যাব হাসপাতালে অভিযান চালায় এবং প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।