গাইবান্ধায় বন্যায় মৎস্যচাষিদের আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ভেসে গেছে পুকুরের মাছ/ছবি: বার্তা২৪.কম

ভেসে গেছে পুকুরের মাছ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা জেলার ৪টি উপজেলায় বন্যায় সোয়া লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৬৩৩টি পুকুর। এতে প্রায় ১৬৪ মেট্রিক টন মাছ ও সাড়ে ৮ লাখ পিস পোনা পানিতে ভেসে গেছে। মৎস্য চাষিদের ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গাইবান্ধার সদর সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার কামারজানি হলদিয়া, গজারিয়া ও তারাপুরসহ ২৬টি ইউনিয়নের মৎস্য চাষিরা লাভের আশায় ওইসব পুকুরে মাছ চাষ করেছিলেন। চলমান বন্যায় প্রায় ১১৪ হেক্টর আয়তনের পুকুরগুলো ডুবে যায়। এ কারণে মাছ ও পোনা ও অবকাঠামোসহ ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

স্থানীয় গজারিয়া এলাকার মৎস্য চাষি একরামুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, এনজিও সংস্থায় ঋণ করে এ বছরে দেড় একর আয়তনের পুকুরে মাছ চাষ করেছিলেন। বন্যার পানিতে তার পুকুর ভেসে গেছে। এতে তার প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাছ চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বন্যায় করণীয় শীর্ষক লিফলেট মাছ চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া যেসব পুকুর এখনো ডুবেনি তাদেরকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

   

দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলতি বছর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি খাদ্যগুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে সংসদে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (০৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সংসদে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৯ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৪ মেট্রিক টন গম আছে। তারমধ্যে বর্তমানে ধানের কোনো মজুত নাই। চলতি মাস থেকে ধান সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে, বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ পুরোধমে শুরু হলে মজুতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

বিভাগ অনুযায়ী খাদ্য মজুতের তথ্য অনুযায়ী দেশে চট্টগ্রাম বিভাগের খাদ্য গুদামে বেশি খাদ্য মজুত রয়েছে। মন্ত্রণায়লে হিসেব মতে, চট্টগ্রাম বিভাগে খাদ্য মজুত রয়েছে-দুই লাখ ৫৮ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন। ঢাকা বিভাগে রয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৭ মেট্রিক টন, ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ৬৮ হাজার ৬৭০ মেট্রিকটন, রাজশাহী বিভাগে রয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ৮৮ মেট্রিকটন, রংপুর বিভাগে রয়েছে দুই লাখ সাত ৯৩৫ মেট্রিক টন, সিলেট ৫০ হাজার ৬২১ মেট্রিকটন, খুলনায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৭ মেট্রিকটন ও বরিশাল বিভাগে মজুত রয়েছে ৪১ হাজার ৪৭৪ মেট্রিকটন।

;

বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ২০ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অন্তত ৭০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ২০ ট্রলার ডুবি

বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ২০ ট্রলার ডুবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে সাঙ্গু নদীর মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত ২০টি লবণবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত আরও ৭০ জন।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে এসব ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারগুলো কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামে বাঁশখালী থেকে লবণবোঝাই করে চট্টগ্রামে আসছিল।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূলে সাঙ্গু নদীর মোহনায় কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে লবণ নিয়ে আসার সময় ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে অন্তত ২০টি ট্রলার ডুবে যায়। নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে। ডুবে যাওয়া প্রত্যেকটি ট্রলারে ৫-৬ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন। সে হিসেবে ২০টিতে আনুমানিক ১০০ জন ছিল। সব মিলিয়ে এখনো অন্তত ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করতে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের অভিযান চলমান রয়েছে।

;

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতেও সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সকল প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। তবে, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে এ সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের মূল বাজেটে ওএমএস খাতে ৪ লাখ মেট্রিক টন চালের সংস্থান রয়েছে। চাল ও আটার বাজারমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বর্তমানে ওএমএস কর্মসূচিতে সারাদেশে সর্বমোট ৮৭১টি কেন্দ্রে দৈনিক মোট ৮৬৯ মেট্রিক টন চাল এবং ১ হাজার ১০১ মেট্রিক টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ওএমএস (সাধারণ) খাতে প্রায় ১.৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ২.১৩ লাখ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া, টিসিবি'র মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে ১ কোটি পরিবারকে ৫ কেজি করে প্রতিমাসে মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় চালের পাশাপাশি সাশ্রয়ীমূল্যে ২ কেজি ডাল এবং ২ কেজি সয়াবিন তেলও বিতরণ করা হচ্ছে।

সরকার প্রধান জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিটি পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করে নিয়মিতভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরগুলোতে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএস চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ ও বিতরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে খাদ্য শস্য সংগ্রহের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২.১৯ লাখ মেট্রিক টন।

এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কৃষিখাতে প্রদত্ত ভর্তুকি ও প্রণোদনা কৃষকের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে পরোক্ষভাবে কৃষিজাত পণ্যের মূল্য নিম্নমুখী রাখতে সহায়ক হয়েছে। ডাল, তেল, মসলা, ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনের জন্য সুদ ভর্তুকির আওতায় বিদ্যমান ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ দেওয়া হচ্ছে।

তাছাড়া, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ২৯ শতাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনয়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা মোট বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন শুল্কছাড় প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজারদর স্থিতিশীল রাখা ও অবৈধ মজুতদারী কঠোরভাবে দমনের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতি (রেপো) সুদহার দফায় দফায় বাড়িয়ে মে ২০২২ এর ৪.৭৫ শতাংশ হতে সর্বশেষ ৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি (এসডিএফ বা রিভার্স রেপো রেট) বৃদ্ধি করে ৬.৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেয়া হয়েছে। নীতি সুদহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি করায় বাজারভিত্তিক গড় সুদ হারে দৃশ্যমান ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন এসেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে শীঘ্রই ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোর ভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

;

গণমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে 'তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন সরকার নিশ্চিত করতে চায়। এই আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাশ করা হয়। সরকার নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এই আইন করেছে। তবে যেকোনো একটি আইন সমাজে তৈরি হলে, সে আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। এই আইনে যারা তথ্য নেবেন বা যারা তথ্য দেবেন দুই পক্ষেরই কিছু বোঝাপড়ার অভাব থাকতে পারে। এ আইন শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিন্তু সে অস্ত্রের ব্যবহার না অপব্যবহার হবে সেটা বোঝা এবং এ আইনে যাদের কাছে তথ্য চাওয়া হবে তাদের মধ্যে একটি সংস্কৃতিগত রূপান্তর দরকার। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় জড়তা থাকে। যেগুলো জনসম্পৃক্ত তথ্য, জনগণের যেটা অধিকার সে তথ্য দেওয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। সাংবাদিকদেরও তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার অ্যাপ্রোচ থাকা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইনের অধীন যে তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে সে বিষয় নিয়ে অনেক সময় যারা তথ্য চাইবেন তাদের পক্ষ থেকেও কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকে। কোন তথ্য সর্বসাধারণের জন্য এবং কোন তথ্য গোপন তথ্য সেটার পার্থক্য করতে পারা জরুরি। কিছু তথ্য আছে স্পর্শকাতর যেগুলো গোপন আইনের অধীন রক্ষিত আছে, এগুলো সর্বসাধারণের জন্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ এ ধরণের অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এসব কৌশল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অনেক সময় গোপন রাখতে হয়। এগুলো প্রকাশ করলে অনেক সময় বৃহত্তর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং স্পর্শকাতর তথ্য এসবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য করতে হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া সকল পক্ষের করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে। তবে সর্বসাধারণের জন্য তথ্য এবং জাতীয় স্বার্থে যেগুলো পৃথিবীর সকল দেশে স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য হিসেবে ধরা হয় সেগুলোর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনকে আমরা আরো প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই, সাংবাদিকরা যেনো এই আইন ব্যবহার করে আরও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন, এই আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন এবং তার উপযোগিতা আমরা সমাজে পাই। একইসাথে এই আইনের আমরা দায়িত্বশীল ব্যবহার দেখতে চাই। যাদের এই আইনের অধীনে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যেন তথ্য চাওয়া হলে সেটি দেওয়া হয়। জনগণের পক্ষ থেকে যখন গণমাধ্যম তথ্য চাইবে, সে তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, ততো গুজব বা অপপ্রচার হওয়ার সুযোগ কম হবে।

কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের অর্থনীতি বিটের ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

;