খুলনায় ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর
খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী এলাকার আটরা গিলাতলা ইস্টার্ণ গেটে ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম।
এর আগে সকালে খানজাহান আলী থানার ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৩ আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এর মধ্যে আসামি জাফরিনকে ৮ দিন, আরমান ও জাহাঙ্গীরকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে বাড়িতে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয় শেখ মোঃ জাকারিয়া, তার ভাই জাফরীন হাসান ও মিল্টন। এ সকল বিষয়ে গ্রামবাসী মিলে জাকারিয়ার বাড়িতে কথা বলতে যায়। কথা বলার একপর্যায়ে দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতে শেখ মোঃ জাকারিয়া, জাফরীন হাসান, কবির ও মিল্টন গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। এসময় গুলিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুল নিহত হন। পরে খুলনা মেডিকেলে সাইফুল ইসলাম নামে আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এঘটনায় খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্লাহ শেখের ছেলে আফসার শেখ (৬৫), রজব আলী শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (২৬), নজরুল শেখের ছেলে জুয়েল শেখ (৩৫), মৃত আলকাস শেখের ছেলে রানা শেখ (২২), আফসার শেখের ছেলে রবি শেখ (৪০), আকরাম শেখের ছেলে শামীম শেখ (২৫), সহ আরো কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া ওই রাতেই গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হন মূল অভিযুক্ত জাকারিয়ার সহযোগী জাহিদ। এছাড়াও মূল অভিযুক্তদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে গ্রামবাসী। এরপর শুক্র ও শনিবার মূল অভিযুক্ত ৩ জন শেখ মোঃ জাকারিয়া, মিল্টন, জাফরীন হাসানের মধ্যে ১ জন আটক হয়। এছাড়া জাকারিয়ার শ্বশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও সহযোগী জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশ। ত্রিপল মার্ডারের ২ দিন পর শনিবার রাতে নিহত সাইফুল ইসলামের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেই ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়াও মূল অভিযুক্তদের আরো দুইজন শেখ মোঃ জাকারিয়া ও মিল্টনকে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।