বন্যায় প্রকৌশলীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ
দেশের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের সকল প্রকৌশলীদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে জুম প্ল্যাটফর্মে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বন্যা মোকাবিলায় করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত সকলকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সব জায়গায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি, নজরদারি এবং জিও ব্যাগ নিয়ে প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে। বাঁধ যাতে না ভাঙে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখতে হবে। অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক খবর রাখতে হবে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা জানিয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী। মাঠ পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা আগামীতে সকল জেলাকেই স্থায়ী বাঁধপ্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবো। ইতিমধ্যে নেয়া সব নতুন প্রকল্পই স্থায়ী বাঁধের আদলে ডিজাইন করা। মানবতার সেবায় আমরা সবাই কর্মীর মতই কাজ করে যাবো।
নিজেদের সুরক্ষায় সতর্ক করে উপমন্ত্রী শামীম আরও বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কাজ করবেন এবং কেউ করোনাক্রান্ত হলে মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।
সভায় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জনাব মাহমুদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জনাব রোকনুদ্দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবীবুর রহমান, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা, বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাইফুল ইসলাম (আইডব্লিউএফএম), বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর (ডব্লিউআরই) ড. মো: মোস্তফা আলী, জেলা পর্যায়ের প্রকৌশলীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে সিইজিআইএস এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা জানান, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও তা ৮৮ মতো হবে না। বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে তাই সব প্রস্তুতি রাখা সমীচীন হবে।
এদিকে প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা বাঁধ মেরামতের চেয়ে কেন বাঁধ ভাঙে তা পর্যালোচনার জন্য বলেন এবং আবহাওয়া পূর্বাভাসকে আরো শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী করার পরামর্শ দেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আজকে সকাল পর্যন্ত বিপদৎসীমার ওপরে নদীর সংখ্যা ১৬। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে যমুনা এবং বুধবারের মধ্যে পদ্মার পানি সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে তা অব্যাহতভাবে হ্রাস পেতে থাকবে।