বন্যায় হাঁসের খামার তলিয়ে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি
ড়িগ্রামে তিন যুবক লেখাপড়া শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে যৌথ উদ্যোগে গত পাঁচ মাস আগে ৩ হাজার হাঁসের বাঁচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। ভেবেছিলেন হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হবেন। পরবর্তীতে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও দু’দফা বন্যা আর বৃষ্টিতে তাদের খামারটি পানিতে তলিয়ে দুই হাজার হাঁস মারা যায়। এতে করে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
বলছিলাম মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. ইমদাদুল হোক ও মো. সাবু মিয়ার কথা। এই ৩ যুবকের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদম তলা গ্রামে।
বুধবার (২২ জুলাই) সরেজমিনে তাদের হাঁসের খামার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
হাঁস খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই তিন যুবক তিন হাজার হাঁসের বাচ্চা কিনে আনেন। যার মুল্য ৯০ হাজার টাকা। খামারে ঘর বাবদ ব্যায় করেন দেড় লাখ টাকা। গত পাঁচ মাসে হাঁসের খাবার ও ওষুধ বাবদ সবমিলে ব্যায় হয় সাড়ে ৭-৮ লাখ টাকা।
কিন্তু চলমান দ্বিতীয় দফার বন্যায় খামারটি তলিয়ে যায়। ঠিক মতো শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করতে না পারায় ২ হাজার হাঁস মারা যায়। হাঁসগুলোর আনুমানিক মূল্য ছিল ৫ লাখ টাকা। তাদের খামারে এখন হাঁস রয়েছে মাত্র ১ হাজারটি। হাঁসগুলোর আনুমানিক মূল্য আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। এ হাঁসগুলো বিক্রি করলেও যে টাকা ব্যয় হয়েছে তার অর্ধেক টাকাও উঠে আসবে না। দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই এই ৩ উদ্যোক্তার।
তবে কুড়িগ্রামে অনেকে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হলেও বন্যা ও করোনায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই নতুন উদ্যোক্তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত হাঁস খামারি মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. এমদাদুল হক ও মো. সাবু মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সরকারিভাবে যদি সহযোগিতা না পাই তাহলে আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।’
কুড়িগ্রাম প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই সরকার বার্তা২৪.কম-কে জানান, সত্যি যদি তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘুরে দাঁড়নোর জন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিপিবদ্ধ করলে সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে তাদেরকে দেয়া হবে।’