চলে গেলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বনানীর বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সংগঠক এবং বনানী নবারুণ সংঘ ও বনানী বিদ্যানিকেতনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (২৫ জুলাই) তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি লিভারের অসুস্থতা ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাকরি শেষে তিনি অবসর জীবন-যাপন করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে এক বোন ও অসংখ্য আত্মীয় পরিজন রেখে গেছেন।

কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক সৈকত রুশদী ও প্রবাসী ব্যবসায়ী আসাদ মামুন তার বোনের ছেলে।

বনানীর বিশিষ্ট সমাজসেবী মরহুম ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ও মরহুমা শামসুন্নাহার বেগমের আট সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ১৯৪৯ সালে চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকার ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজ (বর্তমানে বিজ্ঞান কলেজ) থেকে এসএসসি ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএসসি পাশের পর তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে প্রকৌশল বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এমএডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ১৯৬৮ সালে বনানীর প্রথম সামাজিক সংগঠন বনানী নবারুণ সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে বনানীর একটি পরিত্যক্ত ভবনে বনানীর প্রথম বিদ্যালয় বনানী বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এই বিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতাও করেন। তিনি বনানী নাগরিক সমিতিরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

জানাজা ও দাফন

শনিবার বাদ আসর বনানী কেন্দ্রীয় মসজিদেমরহুম মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে দাফন করা হবে।