খানাখন্দে ভরা, মেরামত হয়নি এক যুগেও

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চন্দনবাইশা সড়ক। ছবি: বার্তা২৪.কম

চন্দনবাইশা সড়ক। ছবি: বার্তা২৪.কম

বগুড়া: সড়কটি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সড়কটির বিভিন্ন অংশে খানাখন্দে ভরা। তবে এলজিইডি এই সড়কটি সংস্কার ও মেরামত করছে না। এভাবে সময় পার হয়েছে একযুগ। অবশেষে এই নিয়ে গত দুই বছর ধরে চলছে চিঠি চালাচালি। গত এক যুগে সড়কটির আড়াই কিলোমিটার অংশে কোনো মেরামত বা সংস্কার না হওয়ায় হয়ে পড়েছে চলাচলের অযোগ্য। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী দুই লক্ষাধিক মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলার কড়িতলা পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কটির নাম চন্দনবাইশা সড়ক। পূর্ব বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও গাবতলী উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের শহরে আসার একমাত্র পথ এই সড়কটি। ২০০৬ সালে বগুড়া পৌরসভার এলাকা বর্ধিত করায় শহরের ২য় বাইপাস মহাসড়ক পর্যন্ত সড়কটির আড়াই কিলোমিটার অংশ পৌর এলাকার আওতায় চলে আসে। এরপর থেকে আড়াই কিলোমিটার অংশ সংস্কার ও মেরামতের কাজ বন্ধ করে দেয় এলজিইডি।

বিজ্ঞাপন

গত এক যুগ ধরে সংস্কারের অভাবে এই সড়কের আড়াই কিলোমিটার অংশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। মাঝে মধ্যে স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে ইট ও বালু দিয়ে কিছুটা মেরামত করলেও বৃষ্টিতে আবারো নতুন করে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/31/1535695169226.jpg

বিজ্ঞাপন

প্রতিদিন চলাচলকারী ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল, সামাদ, জহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, এই সড়কে প্রতিদিন দুই হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ১০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে থাকে। ব্যবসায়িক কারণে এই সড়কে তাদেরকে প্রতিদিন যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।

বগুড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আবু জাফর মো. রেজা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কয়েক বছর আগেই। এছাড়াও ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় সড়কটির দুই পার্শ্বে দুই ফুট করে প্রশস্ত করা প্রয়োজন। এ জন্য দরকার প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এতো টাকা পৌরসভার ফান্ড থেকে ব্যয় করার সুযোগ নেই। এছাড়াও সড়কটির মালিকানা যেহেতু এলজিইডি, এ কারণে পৌরসভা সেখানে কোনো অর্থ বরাদ্দ করবে না। শেষ পর্যন্ত এই সড়কের আড়াই কিলোমিটার অংশ পৌরসভা কোনো দিন দাবি করবে না মর্মে অনাপত্তি পত্র এলজিইডিকে দেয়।

এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল আলম জানান, বগুড়া-চন্দনবাইশা সড়কের পৌরসভা এলাকায় আড়াই কিলোমিটার অংশ মেরামত করার জন্য বরাদ্দ চেয়ে গত দুই বছরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ৫ বার চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু পৌর এলাকার মধ্যে নিজ অর্থায়নে সংস্কার ও মেরামত করবে মর্মে মন্ত্রণালয় থেকে বার বার জানিয়ে দেয়া হয়। সর্বশেষ স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে মন্ত্রণালয় ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। খুব শিগগিরই সড়কটিতে মেরামতের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।