এনএসআই এবং র্যাবের যৌথ অভিযান, পলিথিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও র্যাবের যৌথ অভিযানে সাড়ে ৫৬ মেট্রিক টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব পলিথিনের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬৭ লাখ টাকা। পলিথিন সংরক্ষণ ও বাজারজাত করার দায়ে ভ্রমমাণ আদালত তিন ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা এনএসআই ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের শহীদ জহুরুল হক ও শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের তিন ব্যবসায়ীর গোডাউন ও দোকান থেকে ওইসব পলিথিন উদ্ধার করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উদ্ধার করা নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে এগুলো সংরক্ষণ ও বাজারজাত করার দায়ে ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ, ইমরান ও সাবদার আলীকে এক লাখ টাকা করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় ব্যবসায়ী সাবদারের তিনটি গোডাউন থেকে সাড়ে ২৫ মেট্রিক টন, আব্দুর রশীদের গোডাউন থেকে ৩০ টন এবং ইমরানের দোকান থেকে ১ টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে এনএসআই উপ-পরিচালক খালিদ হাসান এবং র্যাব–১৩ (সিপিসি-২) এর অধিনায়ক সহকারি পুলিশ সুপার মো. ইমরান খান, এনএসআই সহকারি পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুরের পরিদর্শক কাজী মো. সাইফুদ্দিন, এনএসআই নীলফামারী ও র্যাবের অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।
এনএসআই সহকারি পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ বার্তা২৪.কমকে জানান, 'সৈয়দপুরের অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মজুদ ও বাজারজাত করার বিষয়ে তাদের কাছে খবর ছিল। পরে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতার ভিত্তিতে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এনএসআই ও র্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। ভবিষ্যৎকালে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে'।
অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভিযানে নেতৃত্ব দেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ও জায়ইদ ইমরুল মোজাক্কীর।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই সৈয়দপুর পৌর শহরের চাঁদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা আবিষ্কার এবং ওই কারখানা থেকে প্রায় ৪ টন পলিথিন উদ্ধার করে র্যাব। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ফ্যাক্টরি মালিক তারিক ইকবালের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।