‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠান

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে দেশের গণমাধ্যমের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ পরিশ্রমী, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও নির্মাতাদের ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক’ প্রদানের ব্যবস্থা করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর- যা সত্যিই অনন্য।

মঙ্গলবার ( ২৮ জুলাই) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেমিনার কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

স্পিকার বলেন, দৈনিক সংবাদের আমৃত্যু সম্পাদক বজলুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নামে বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য তার স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের করতে ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক’ প্রচলনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যথার্থ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশেষ কাজের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ২০১৯ সালের সেরা প্রতিবেদক নির্মাতা হিসেবে পদক পেয়েছেন দৈনিক মুক্ত সংবাদ, গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার এজাজ আহমেদ মিলন এবং চ্যানেল-২৪ এর অপরাধ ও অনুসন্ধান বিভাগের বিশেষ প্রতিনিধি জি এম ফয়সাল আলম। এজন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় যারা কাজ করছেন তারা জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

করোনাকালীন সংকটময় সময়েও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সক্রিয় থাকায় এবং ২০১৯ সালের পদক প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরকে তিনি অভিনন্দন জানান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট এবং জুরিবোর্ডের সদস্যবৃন্দ, দেশবরেণ্য সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

   

লোকসানে শিল্পমন্ত্রণালয়ের ২৮ প্রতিষ্ঠান: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তিন সংস্থার ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি প্রতিষ্ঠান লোকসান বা ভতুর্কিতে পরিচালিত হচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শিল্পমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে ৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান লোকসানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, টঙ্গী, গাজীপুর, বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড, টঙ্গী, গাজীপুর, ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড, তেজগাঁও, ঢাকা ও ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড, টঙ্গী, গাজীপুর।

এই লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারকে আলাদা করে ভর্তুকি দিতে হয় না। বিএসইসির অন্য প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে লোকসানি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয় বলে সংসদে জানান মন্ত্রী।

বিএসইসির মত লোকসানে চলে শিল্পমন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ১৫টি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১১৮০ কোটি ভর্তুকি দিয়েছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।

পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ৯টি প্রতিষ্ঠানের সব কয়টি প্রতিষ্ঠান লোকসানে রয়েছে। লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (এসএফসিএল), আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল), যমুনা ফার্টিলাজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল), চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসি (জিপিএফপিএলসি), ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল), কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএমএল), বাংলাদেশ ইন্সুলেটর এন্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিআইএসএফএল), উসমানিয়া গ্লাসশিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউজিএসএফএল)।

লোকসানের কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী জানান, ইউরিয়া সার কারখানা সমূহের প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক গ্যাসের অপ্রতুলতায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় কারখানাসমূহ লোকসানে আছে।

;

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় ৩টি একে-২২ রাইফেল, একটি শটগানসহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) জেলার কেওক্রাডং পাহাড় সংলগ্ন দুর্গম দার্জিলিং পাড়ায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিস্তারিত আসছে...

;

ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু আবারও ঢাকা সফরে আসছেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটি মার্কিন সহকারী মন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে গত জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর লুর এই সফরকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে কূটনৈতিক অঙ্গনে।

নানা কারণে সাউথ এশিয়ায় আলোচিত ডোনাল্ড লু'র ঢাকায় এটি হবে ৪র্থ সফর। একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণাসহ নানামুখি তৎপরতার পার্ট হিসেবে গত জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন তিনি। ভোটপূর্ব রাজনৈতিক মাঠের বাড়তি উত্তাপের কারণে উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু'র  যুগল সফরটি দেশ ও দেশের বাইরে বেশ আলোচনায় ছিলো। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু সেদিন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন।

;

কটিয়াদীতে ব্রিটিশ আমলের ‘শিশু বাজার’ এখনো চলছে



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নে বৃটিশ আমলের প্রাচীন শিশু বাজারটি কালের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। নামে শিশু বাজার হলেও এটি মূলত দুধের বাজার। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের এই দুধের হাটটি অত্র অঞ্চলে দুধের চাহিদা মিটাচ্ছে।

প্রতিদিন ভোরে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্রেতাদের হয় মিলন মেলা গরুর দুধের হাট। এখানে খামারিরা প্রতিদিন বিক্রি করেন প্রায় ৬-৭ হাজার লিটার দুধ। দুধ বিক্রি করে নগদ টাকা পান, তা নিয়ে খুশি খামারিরা।

স্থানীয় প্রবীন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃটিশ আমলে আচমিতা এলাকায় বৃটিশদের আনাগোনা ছিলো৷ হোসেনপুর ও কটিয়াদীর জালালপুরে ছিলো নীল কুঠির৷ এরমধ্যে জালালপুর ছিলো এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ চুল্লী। যা আজো টিকে আছে। ভৌগোলিক সুবিধা বিবেচনায় বর্তমান আচমিতা নামক এলাকায় তখন বৃটিশরা কয়েকটি প্রাসাদ স্থাপন করে বসবাস শুরু করেন। তাদের ছোট শিশুদের খাবারের জন্য দুধের প্রয়োজনীয়তায় দুধের জন্য শিশু হাট বসান বলে জনশ্রুতি আছে ৷ কালক্রমে আসে জমিদারি যুগ৷ তখন তারাও ভোরে দুধ নিতেন এই হাট থেকে৷ কাক ডাকা ভোর থেকেই এই হাট শুরু হতো৷ যা যুগের পর যুগ ধরে এখনো চলমান৷ আজো আচমিতার মানুষের কাছে শিশু হাট হিসেবে এটি পরিচিত৷


হাটে আগত খামারিরা জানায়, ইউনিয়নের প্রায় হাজারের মতো খামারি দুধেল গরু পালন করেন। তারা উৎপাদন করেন প্রায় ৭-৮ হাজার লিটার দুধ। মাঝারি ও ক্ষুদ্র খামারিরা আচমিতা বাজারে এনে খুচরা ও পাইকারদের কাছে দুধ বিক্রি করেন। এখানে ৮-১০ জন পাইকার দুধ সংগ্রহ করেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাইকেল, রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে খামারিরা তরতাজা দুধ নিয়ে আসছেন। কারো হাতে বোতল, কলশি,জগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন৷ কেউ দুই লিটার, কেউ ১০ লিটার,কেউবা আরো বেশি দুধ এনেছেন। ৭০-৮০ টাকা লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে। আবার পাইকাররা দুধ কিনে ড্রামে ঢেলে রাখছেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে দুধের মিষ্টি ঘ্রাণ। খামারিরা দাম পেয়েছেন প্রতি লিটার ৬০-৭০ টাকা দরে। হাটের অধিকাংশ ক্রেতা মিষ্টির দোকানী। দুধ সংগ্রহ করে মিষ্টি তৈরির কাজে ব্যাবহার করেন৷

দুধ বিক্রেতা আচমিতা গ্রামের জমির উদ্দিন (৭৫) বলেন, 'আমাদের বাপ দাদারা এখানে দুধ বিক্রি করতেন৷ ছোট থেকেই দেখে আসছি৷ এই হাটের বয়স কতো আমিও জানিনা৷ তিন লিটার দুধ নিয়ে আসছি। বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে ভালো লাগছে।'


বাজিতপুর থেকে আসা ক্রেতা মদন গোপাল বলেন, '৩০ বছর ধরে এই হাট থেকে ভোরে দুধ সংগ্রহ করি৷ পূর্বপুরুষরাও এখান থেকে নিতেন। ৭০ লিটার দুধ নিলাম মিষ্টির দোকানের জন্য৷'

কটিয়াদী-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশেই আচমিতা বাজারে ভোর থেকে শুরু হয়ে সকাল ৯ টা পর্যন্ত চলে এই হাট৷

;