ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি নিম্নায়ের মানুষের
নিজাম উদ্দীন। বয়স ৩৫। একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। বাড়ির সবার সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বোন এবং ভাগ্নিকে নিয়ে পিকাপে করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকার রওনা দিয়েছেন। খোলা পিকাপে করে আসায় ভাগ্নি অসুস্থ হয়ে পড়লে সিরাজগঞ্জে যাওয়ার আগেই বাধ্য হন বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড়ে নেমে যেতে। নামার পর চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে কোনো যানবাহন না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন।
শুক্রবার (৩১ জুলাই ) দুপুর আড়াইটার দিকে এমনই চিত্র দেখা যায় বঙ্গবন্ধু সেতু গোল চত্বর এলাকায়।
নিজাম উদ্দীন বলেন, গার্মেন্টসে চাকরি করে যে বেতন পাই তাতে সংসার চালানোই দায়। এর মধ্যে ঈদে বাড়ি ফিরতে বাসে যেতে ভাড়া তিনগুণ বেশি দিতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে কম টাকায় পিকাপে যাচ্ছিলাম।
ঈদে ঘরে ফিরতে নিম্ন আয়ের মানুষজন স্বল্প খরচের জন্য পিকআপ ও ট্রাকে চেপে বাড়ি যাচ্ছে। ঢাকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ধীর গতিতে পরিবহন চলাচল করায় প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। শুক্রবার ভোর থেকে মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক ও পিকাপে যাতায়াতকারী মানুষজনের মধ্যে নেই সামাজিক দূরত্ব। ফলে করোনার ঝুঁকি নিয়ে ঈদে বাড়ি ফিরছেন তারা।