এবার চামড়ার সরবরাহ কম সাভারের ট্যানারি পল্লীতে



মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
সাভারের ট্যানারি পল্লী

সাভারের ট্যানারি পল্লী

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন। আর এই ঈদেই দেশে সবচেয়ে বেশি পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতি ঈদুল আজহায় চামড়া ক্রয়-বিক্রয় জমজমাট হলেও গত বছরসহ চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন ঈদে ভাটা পড়েছে এই খাতে। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও সাভারের ট্যানারি শিল্প এলাকায় জমে ওঠেনি চামড়া কেনা-বেচা। সরবরাহ কমেছে প্রায় দ্বিগুণ।

সাভারের এই চামড়া শিল্প নগরী ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট অনুমোদন দেয় সরকার। পরে সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ২০০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে দেশের বৃহৎ চামড়া শিল্প নগরী। ১৭ একর জায়গা জুড়ে শিল্পনগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) স্থাপনের কাজ শুরু হলেও এর কাজ এখনো চলমান রয়েছে। এই নগরীতে এখন পর্যন্ত ১৫৫টি ট্যানারি গড়ে উঠেছে। যারা প্রতি বছরেই দেশের সব ধরনের চামড়া ক্রয় করে প্রক্রিয়াজাত করেন।

রোববার (২ জুলাই) বিকেলে সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরী ঘুরে দেখা যায়, নগরীর ১৫৫টি ট্যানারি কারখানার মধ্যে খোলা রয়েছে প্রায় ১৩৫টি ট্যানারি । যারা এখন পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় প্রায় ২ গুণ কম চামড়া ক্রয় করেছেন। এতে করে কমেছে লবণ মাখানো শ্রমিকের সংখ্যাসহ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। চলমান বন্যা ও করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানুষ এবার অনেক কম পশু কোরবানি করায় চামড়ার সরবরাহ কমেছে লক্ষণীয়ভাবে।

চামড়ায় লবণ মাখাচ্ছেন শ্রমিকরা

প্রিন্স লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ এর ম্যানেজার সানাউল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গত ঈদের তুলনায় এবার চামড়ার সরবরাহ অনেক কমেছে। গত ঈদে আমরা গরুর চামড়া কিনেছিলাম সাড়ে ৩ হাজার আর ছাগলের চামড়া কিনেছিলাম ৬ হাজার। এবার শুধু ১ হাজার ১৬৮ পিস গরুর চামড়া ক্রয় করেছি। আর তেমন চামড়া আসার সম্ভাবনাও নাই। তবে এবার বেশি দামে চামড়া ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিটি চামড়ার দাম সাইজ অনুযায়ী ৪৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। আর বিদেশি ক্রেতারা না আসায় চামড়া শিল্পের মালিকরা পড়েছেন টানাপোড়েনে। আগের চামড়া প্যাকেটজাত করেও বায়াররা নেয়নি। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ করোনায় লোকসানের মুখে পড়েছে কারখানা।

কালু লেদার ট্যানারির সুপারভাইজার আবু সায়েদ জানান, গত বছরে আমরা ২৫ হাজার চামড়ায় লবণ দিয়ে প্রক্রিয়া করেছি। এবার ৫ হাজার চামড়ায় লবণ দিয়ে প্রক্রিয়া করেছি। চামড়ার সরবরাহ আগের তুলনায় এবার খুবই কম। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া সংগ্রহ করছেন বলে জানান তিনি।

কুমিল্লার একটি মাদরাসা থেকে চামড়া বিক্রি করতে এসেছেন কামরুল। তিনি বলেন, আমরা গতকাল রাত ১১টায় চামড়া বোঝাই ট্রাক নিয়ে এসেছি। চামড়া ক্রয়ে অনীহা ক্রেতাদের। পরে আজ (২ আগস্ট) সকাল ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রতিটি চামড়া সাইজ অনুযায়ী ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। চামড়ার আশানুরূপ দাম পেলাম না।

মৌসুমি ব্যবসায়ী রতনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চামড়ার দাম কমিয়ে নির্ধারণ করায় লোকসানের আশঙ্কায় কম চামড়া সংগ্রহ করেছি। প্রতিটি চামড়া ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় কিনেছি। আর বিক্রি করেছি সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকায়। তেমন লাভ করতে পারিনি। তবে লোকসানের হাত থেকে বেঁচে গেছি। এই শিল্পের সম্ভাবনা না বাড়লে আর চামড়া সংগ্রহ করবো না। শুধু পরিশ্রমই হয়, লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না দীর্ঘদিন।

লবণ মাখানো চামড়ার স্তূপ

এবার ঈদে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে কোরবানি দিয়েছেন লিটন। তিনি বলেন, চামড়া ক্রেতাই খুুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে মাত্র ১৫০ টাকায় চামড়া বিক্রি করেছি। চামড়ার দাম হঠাৎ করেই অনেক কমে গেছে। আসলে চামড়ার টাকা গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হয়। গরিবের ভাগ্য খারাপ তাই তারা এবারও কম টাকা পেলো।

অন্যদিকে চামড়া কম পরিমাণে আসায় লবণ শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। শ্রমিক সর্দার জীবন বলেন, চামড়ার সরবরাহ অনুযায়ী শ্রমিকের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শ্রমের মূল্যও কমে গেছে। আগে প্রতি চামড়ায় লবণ লাগাতেন ৬০ টাকায়, এবার তা নেমে এসেছে ২০ টাকায়। গত ঈদে ৩ হাজার চামড়ায় লবণ লাগিয়েছিলাম আর এবার মাত্র সাড়ে ৩০০। আমার আগে শ্রমিক ছিল ২২ জন বর্তমানে শ্রমিকের সংখ্যা ১০ জনে নেমে এসেছে। কাজ না থাকায় এই শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকের অনেকেই পেশা ত্যাগ করেছেন।

এব্যাপারে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, আমরা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিলাম ১ কোটি। কিন্তু করোনাভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে কম পশু কোরবানি হয়েছে। এ কারণেই এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ৭০ লাখের কম চামড়া ক্রয় করা সম্ভব হবে। এছাড়া ইটিপিই এর কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বিদেশি ক্রেতারা আসছে না। চায়না, হংকংয়ে কম মূল্যে চামড়া রপ্তানি করা হচ্ছে। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশি মূল্যে চামড়া রপ্তানি করতে পারলেই চামড়ার বাজার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি।

   

সকাল হতেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকা, নামলো ঝুম বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোর থেকেই শুরু হয় মেঘের গর্জন। কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকার আকাশ। এরপরই নামলো ঝুম বৃষ্টি। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকায় বৃষ্টি নামে। চলতি মাসের শুরু থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।

তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে গরম আবার বাড়তে পারে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও সকালের হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে শ্রমজীবী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের। অনেককেই ভিজে ভিজে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই বের হতে পারেননি ঘর থেকে।

এর আগে, রাতেই দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। 

;

ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার ঘোপাল গ্রামের বতুল্লার ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদ (৩৮) ও ডালিম (৩০), একই থানার বাঘারপাড় গ্রামের আলী আমজদ।

রেজা রুবেল সিলেটের স্থানীয় নিউজ পোর্টাল সিলেট প্রতিদিন২৪ডটকম'র স্টাফ ফটো সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক।

গত বুধবার (০৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচনের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহের সময় ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তার উপর হামলা চালানো হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে এক যুবককে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তখন তিনি কেন্দ্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদের নেতৃত্বে ডালিম ও আলী আমজদসহ অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। সাবাজ ও ডালিম তার তাকে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। আলী আমজদ এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে কিলঘুঁষি ও লাথি মারতে থাকে।

শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। রেজা রুবেলের গলায় ঝুলানো প্রায় দেড় লাখ টাকা দামের ক্যামেরা ও ৬০ হাজার টাকা দামের লেন্স এবং প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে নিয়ে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।

এদিকে অভিযোগ সংক্রান্ত ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি থানায় নয়, বাইরে। থানায় গিয়ে দেখবো এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার সংস্কৃতি: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমাদের পৃথিবীতে এখন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি যখন দুঃসময় পার করছিল তখন সংস্কৃতি শক্তভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পাশে ছিল, আশা করি আগামীতেও থাকবে। অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে সংস্কৃতি।

শুক্রবার (১০ মে) নগরীর চকবাজারস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে সঙ্গীত ভবনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বনবীতি সেনগুপ্তার ৩৩তম মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনে শিক্ষাগুরুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বনবীতি সেনগুপ্তার কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করে আজকে অনেকে বড় শিল্পী হয়ে উঠেছেন। সঙ্গীত ভবন থেকে শুরু করে সঙ্গীতের জন্য বনবীথি সেনগুপ্তার অবদান অপরিসীম। তিনি আমাদের কাছে সবসময় স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন। 

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ভবনের সভাপতি ড. সেকান্দার চৌধুুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও অনেক গুণী শিল্পী ও সঙ্গীততজ্ঞ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 

;

হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন। 

শুক্রবার (১০ মে) রাতে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই বামপন্থী নেতা।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো গুরুতর অসুস্থাবস্থায় গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (০৭ মে) এই তথ্য জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেনিন চৌধুরী লেখেন, ‘রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বাড়ছে। তাকে এইচডিইউতে রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার অবস্থা এখনো অস্থিতিশীল।’ ওই সময় চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বজন-শুভার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ করেন ডা. লেনিন চৌধুরী

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো তার জীবদ্দশায় একাধিক বই লিখে গেছেন। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে সিপিবিতে যোগ দেন হায়দার আকবর খান। ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন তিনি।

;