মেহেরপুরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট এখনও কাটেনি। রমজান মাসে তেল সংকট এবং ডাল ও চালের দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে বেড়েছে অসন্তোষ।
বুধবার (৫ মার্চ) মেহেরপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো তাদের প্রতিশ্রুতিমতো তেল সরবরাহ করছে না। চাহিদার বিপরীতে খুব সামান্য সরবরাহ থাকায় সংকট বেড়েই চলেছে। কিছু কিছু দোকানে সামান্য পরিমাণ বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও তা কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে।
অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে আরও চড়া দামে। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার উপরে। একই সাথে রমজানের শুরু থেকে বাজারে চাল, ডাল ও চিনির দাম বেড়েই চলেছে। চিকন চাল প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা, চিনি প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা এবং সব ধরনের ডাল কেজি প্রতি বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত।
মেহেরপুর তহ বাজারের বাহার গ্রোসারি স্টোরের মালিক বলেন, গেল দুই মাস থেকেই তো কোম্পানির প্রতিনিধিরা আমাদের সাথে মসকরা করছে। চাহিদার এক ভাগ তেলও তারা সরবরাহ করছে না। বোতলজাত সয়াবিন তেলের ক্রেতাদের তো আমরা ধরে রাখতে পারছি না। এছাড়াও রমজানের শুরু থেকে চাল, ডাল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের জায়গায় অন্য তেলের বোতল সাজিয়ে রেখেছেন দোকানদাররা। মেহেরপুর তহ বাজারে বুধবার দুপুরে বাজার করার সময় মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনারুর ইসলাম বলেন, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও শাকসবজিতে আমরা বেশ শান্তিতে আছি। শসা ও লেবুর দাম বেড়ে গেলেও আজকে শসার দাম কমেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেল, চিনি, চাল, ডালসহ বিভিন্ন প্রকার মুদি পণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে। এসব পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানান তিনি।
বাজার দর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির প্রধান এনডিসি সাজেদুর রহমান বলেন, বাড়তি দর ও কৃত্রিম সংকট কেউ সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের টিম প্রতিদিনই মনিটরিং করছে।