মনোহরগঞ্জে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে লিপি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার কৈয়ারপাড়া গ্রাম থেকে ওই দুই সন্তানের জননীর লিপি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই গৃহবধূ পাশের নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল পদুয়াপাড় গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে লিপির সঙ্গে বিয়ে হয় মনোহরগঞ্জ উপজেলার কৈয়ারপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির খুরশিদ আলমের ছেলে মুদি দোকানি দেলোয়ার হোসেনের। লিপির এক বাচ্চার বয়স তিন বছর ও আরেকটির বয়স দশ মাস। লিপির পরিবারের অভিযোগ, স্বামী আর শ্বশুর মিলে লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
ওই গৃহবধূর বড় ভাই মো. সাদ্দাম জানান, এবারের ঈদে লিপি শ্বশুর বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো। সোমবার সকালে লিপি জানায় তার স্বামী তাকে যেতে দিচ্ছেন না। সকালে সে এইসব কথা বলার পর বিকেলে তার স্বামী আমাদেরকে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে বলেন লিপি স্ট্রোক করেছে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কাউকে না জানিয়ে পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি বোনকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা মুখ দেখতে গিয়ে স্থানীয় মানুষজনের কথা শুনে কাপড় সরিয়ে গলায় দাগ দেখতে পাই। তখন তার শ্বশুর ও স্বামী জানায় লিপি আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে বোনের শ্বশুর এবং স্বামী আমাদেরকে মারধর করে। পরে আমরা পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ আমাদেরকে এবং আমার বোনের মরদেহ নাথারপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।
নাথারপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. নূরুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর গলায় ওড়না ও রশি পেঁচানোর দাগ রয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।