কুমেকে করোনার উপসর্গে আরও চারজনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কুমেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৯৭ জন।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হারুনুর রশিদ (৬০), বরুড়ার হালিমা (৭০), চৌদ্দগ্রামের তানজিবেন্নেচ্ছা এবং কুমিল্লা সদর উপজেলার গোলাম রহমান।

   

দুই জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার এবং সিলেটে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

;

পটুয়াখালীতে বালিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীতে বালির স্তুপ থেকে এক ৪০ বছর বয়সী অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ মে) রাত ৭ টায় সদর উপজেলার শিয়ালি এস এস ফিলিং স্টেশনের পাশে বালির স্তুপ থেকে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে দোকান খোলার পরে পচা দূর গন্ধে বসা যাচ্ছিলো না। পরে চৌকিদারকে কল দিলে চৌকিদার খোঁজ করতে করতে বালির স্তুপের ভিতরে থেকে একটি হাত দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। 

পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, বালির স্তুপ সরিয়ে অজ্ঞাত এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই দিন আগে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে বালিচাপা দেওয়া হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

শুধু মে দিবসই নয়, ঈদেও ছুটি মেলে না চাতাল শ্রমিকদের



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস কি জানে না জেলার চাতাল শ্রমিকরা। মে দিবসে সরকারিভাবে বন্ধ থাকলেও কাজ চালিয়ে যেতে হয় তাদের। জীবনের সাথে যুদ্ধ ও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে কোনোরকমে বেঁচে আছেন তারা। চাতাল শ্রমিকরা দিন রাত বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে ধান থেকে চাল উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষের চালের দাহিদার যোগান দেন। সেই চাতালের নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে যুগের পর যুগ বঞ্চিত হয়ে আসছেন। শুধু মে দিবসই নয় ঈদেও মেলেনা ছুটি।

সরেজমিনে জেলার চাতাল কলগুলোতে গিয়ে জানা যায়, ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে জেলার আশুগঞ্জে চাতাল কলের গোড়াপত্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথে যোগাযোগ সহজ ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার কারণে এখানে এ শিল্পের দ্রুত প্রসার ঘটে। এছাড়াও এখানে দেশের অন্যতম বৃহত্তম আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গ্যাসের সহজলভ্যতার কারনে চাতাল কল স্থাপন দিনে দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

দেশের পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তর ধান ও চাউলের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে প্রায় ৩’শতাধিক চাতালকল। আর এখানে নিয়োজিত আছে প্রায় ১০ সহস্রাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক। যারা দিনে রাতে কাজ করছেন ধান থেকে চাল উৎপাদন কাজে। এ চাতাল কলগুলো থেকে প্রতিদিন ৩০/৩৫ হাজার টন চাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এই চাতাল কলগুলোতে ধান সিদ্ধ করা থেকে শুরু করে চাউল বস্তাবন্দী করা পর্যন্ত সকল কাজ করতে হয় নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, সাতক্ষীরা, নওগাঁ ও ময়মনসিংহ সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস বা মে দিবস কি তারা জানেন না। এই দিনে সরকারিভাবে ছুটির কথা থাকলেও কাজ করতে হয় চাতাল শ্রমিকদের।

শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে যুগের পর যুগ বঞ্চিত হয়ে আসছেন

ভাই ভাই অটো রাইস মিলের শ্রমিক কালা মিয়া বলেন, প্রায় ৮ বছর যাবত চাতাল মিলে কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কোনদিন মে দিবসের ছুটি আমাদের মালিকরা দেন নাই। সরকারিভাবেও এমন নির্দেশনা আছে কিনা আমার জানা নাই।

খান মোহাম্মদ অটো রাইস মিলের চাতাল শ্রমিক মো. হানিফ মিয়া বলেন, মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের কথা কখনো শুনি নাই। এই দিনে আমরা কখনও কোনদিন কাজ বন্ধ রাখি নাই। কাজ না করলেতো পেটে খাবার মিলবে না। তাই কাজ করে যাই; ছুটির চিন্তা করি না।

চাতাল কন্যা মরিয়ম বেগম আক্ষেপ করে বলেন, মানুষের ঘুরাঘুড়ি করার অনেক ইচ্ছা থাকে। তারা তা করতেও পারে। আমাদেরও ইচ্ছা করে অন্য মানুষদের মত বিভিন্ন উৎসবে একটু বেড়ানোর। কিন্তু আমাদের দ্বারা তা আর সম্ভব হয় না।

আরেক চাতাল কন্যা রুমা বেগম  বার্তা২৪.কমকে বলেন, মানুষ যখন বিভিন্ন দিবসে ঘোরাঘুড়ি করে তখন আমার অনেক খারাপ লাগে। কারন প্রায় ৭ বছর যাবত আমি কাজের কারনে স্বশুর বাড়িতে যেতে পারি না। কোন ভাবেই কয়েকটা দিন বন্ধ করতে পারি না। ছুটি চাইলেও আমাদের ছুটি দেওয়া হয়না। আর আমাদের বেতন হয় উৎপাদন অনুযায়ী। তাই ইচ্ছা করলেই পেটের খাবার জোগার করার কথা চিন্তা করে যেতে পারি না।

এদিকে ভাই ভাই অটো রাইস মিলের মো. অলিউল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আসলে মালিকের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ও উৎপাদন অনুসারে তাদের কাজ হয়। তাই বন্ধ করা না করা এটা তাদের ব্যাপার। আর চাতাল শ্রমিকরা অনেককেই শিক্ষিত নয়। তাই তারা মে দিবস সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। তবে তারা যদি এই দিন কাজ না করতে চান এই ক্ষেত্রে মালিকের পক্ষ থেকে কোন বাধা নিষেধ নেই।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ এর আশুগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক তানশেন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি মালিক ও শ্রমিকদের বুঝানোর জন্য। রাইস মিল মালিক ও সরদারের জন্য আমরা পারি না। শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছি কিন্তু সরদার এই জিনিসটা তারা বুঝাতে দেয় না। মালিকরা তাদের দিয়ে কাজ করায়।

কাজ করে যান; ছুটির চিন্তা করেন না

বিভিন্ন সময়ে এসব দাবি নিয়ে আমরা মালিকেদের সাথে আলোচনা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো দাবিই তারা মানেনি। তাই মে দিবসে সরকারি বন্ধ পালনসহ চাতাল শ্রমিকদের নূন্যতম মাসিক মজুরি প্রদানের জন্য চাতাল মালিকদের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানাচ্ছি।

জেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. বাবুল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেশে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ অবহেলিত ও বঞ্চিত শ্রমিকদের পাশে তাদের কাউকেই দেখা যায়নি। জেলার রাইস মিল গুলোতে শ্রমিক দিবসে কোন বন্ধ থাকে না। সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নিলে আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নেব। অবশ্যই এই দিনে শ্রমিকদের বন্ধ থাকা দরকার।

এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেলার চাতালকলগুলোতে শ্রমিকদের মে দিবসে কোন বন্ধ থাকে না বিষয়টি আমার জানা নাই। যেহেতু জেনেছি তাদের যেন মে দিবসে কাজ বন্ধ থাকে সেই বিষয়ে চাতাল মালিকদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

;

হাসপাতালের এক্সরে মেশিন নষ্ট, ভোগান্তিতে রোগীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরের ১০০ শস্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে হাত এক্সরে করাতে এসে মমতা বেগম শুনেন, সরকারি হাসপাতালে এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। বাইরের হাসপাতালে এক্সরে করাতে বেশি টাকা লাগে যা বহন করা কষ্টসাধ্য।

হাসপাতালটিতে এক্সরে মেশিন টানা ২০ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় সেবা-বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েকশত মানুষ৷ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে করছেন রোগীরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২০০ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। একদিনে দুর্ঘটনাসহ হাত-পা ভাঙা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন গড়ে ২০-২৫ জন। গত ১৬ এপ্রিল হঠাৎ এক্সরে মেশিনের ইউপিএস নষ্ট হওয়ার কারণে অচল হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত মেশিনটি অচল হয়ে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্সরে করতে আসা রোগীরা মেশিন নষ্ট হওয়ায় ফেরত যাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রুমের দরজায় একটি চিরকুটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িক সময়ের জন্য এক্সরে বন্ধ আছে লিখে রেখেছেন। বিশেষ করে দূর থেকে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।  

চিকিৎসা নিতে আসা রোগী হালিম বলেন, আমার ছোট বাচ্চা অসুস্থ। বাসায় খেলার সময়ে পড়ে গিয়েছিলো খুব কান্নাকাটি করছে। হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শে এক্সরে করাতে আসলাম  এসে শুনি মেশিন নষ্ট এখন বাইরে বেশি টাকা দিয়ে এক্সরে করাতে হবে। 

আরেক রোগী জিয়ারুল হক বলেন, এখানে এক্সরে করতে আসলাম এসে শুনি মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পরশুদিন এসেও আমি ঘুরে গেছি; আজকেও মেশিন ঠিক হয়নি ৷ এখানে করলে আমারা সুবিধা পাই। বাইরে করাতে গেলে বেশি টাকাও লাগে কষ্টও হয়।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর ১০০ শস্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়েছে। আমরা এটি দ্রুত চালু করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। 

;