আমাদের কাছে সকলে সমান সমাদর পায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ ছিল রিকশাওয়ালাকে আপনি করে কথা বলতে হবে। ড্রাইভারকে ড্রাইভার সাহেব বলতে হবে, আর কাজের লোকজন তাদের কখনো চাকর বাকর বলা যাবে না। হুকুম দেওয়া যাবে না। তাদের সাথে সম্মান করে, ভদ্রভাবে চাইতে হবে। বাবা শুধু বলেছেন তা নয় শিক্ষাও দিয়ে গেছেন। গরীব দেখলে, ভাল পোশাক না পরলে তাকে অবহেলা করতে হবে আমাদের কাছে সেটা না। আমাদের কাছে সকলে সমান সমাদর পায়। বরং যাদের কিছু নাই তাদের দিকে আমরা একটু বেশি নজর দেই দৃষ্টি দেই।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন, এটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া। তিনি এটা বিশ্বাস করতেন। আর তার আদর্শে অনুপ্রাণিত আমরাও সেটাই বিশ্বাস করি। আমরা ছোটবেলা থেকে সেভাবেই শিক্ষা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী হতে পারি এখনো বাড়িতে যে ছোট কাজেরও মেয়ে আছে বা যারাই আছে কারো কাছে যদি কখনো এক গ্লাস পানিও চেতে হয়, যতদূর পারি নিজে করে খাই। যদি চেতে হয় তাহলে তাদের জিজ্ঞেস করি আমাকে এটা একটু দিতে পারবে। এই শিক্ষা আমরা নিয়ে এসেছি, এটা এখনো আমরা মেনে চলি।
প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করেছেন প্রধানমন্ত্রী সকালে উঠে কি খুঁজেন এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকালে উঠে আমি কি খুঁজে? আমি জায়নামাজ খুঁজি। সকলে উঠেই আগে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ার পরে কোরআন তেলাওয়াত করি। তারপরে এক কাপ চা নিজে বানাই। আমার সকালের চা’টা নিজে বানিয়েই খাই। চা বানাই কফি বানাই যা বানাই নিজে বানিয়েই খাই। আমার ছোট বোন থাকলে আমার ছোট বোন আর আমি, যে আগে ওঠে সে বানায়। এখন পুতুল আছে আমার মেয়ে আছে, যে ঘুম থেকে আগে ওঠে সেই বানায়। আমরা নিজেরাই করে খাই। তার আগে বিছানা থেকে নামার সাথে সাথে নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর বাই যা পড়ার পড়ি। তবে আর একটা কাজ করি এখন, গণভবনে একটা লেক আছে যখন হাটতে যাই, হেটে যখন লেকের পাশে বসি তখন ছিপ নিয়ে বসি। মাছও ধরি।