আমি ফেবার চাই না, সংসদ নেতা বললে পদত্যাগ করব: হারুনুর রশীদ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভূমিদস্যুদের করা মামলায় নাজেহাল বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, ‘আমি যে এলাকার এমপি, আমি আইনশঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা, সেখানে আমি প্রতিকার পাব না? আমাকে কেন হয়রানি করা হবে। একটি মামলা ১৮ মাস ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে? কেন? যে তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি ঝুলিয়ে রেখেছে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এছাড়া গাড়ির শুল্ক নিয়ে দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা। আপিল বিভাগে আপিল করার পর সেটি স্থগিত ছিল, আবার কে যেন রিট পিটিশন করেছে। কেন আমাকে এভাবে বিব্রত করা হচ্ছে। মিডিয়ায় বলছে, এই মাসেই সংসদ সদস্য পদ চলে যাবে। আমাকে কোর্ট থেকে কিছু করতে হবে না।’

এই সংসদ নেতা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করে চলে যাব। আমাকে ফেবার করতে হবে না।’

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ২৭৪ এর ব্যক্তিগত কৈফিয়ত চেয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আপনি আমাদের সংসদের অভিভাবক, আমরা এখানে ৩৫০ জন সংসদ সদস্য আছি। ৩৫০ জনের মধ্যে ৩৪২ জনই হচ্ছে মহাজোটের শরিক। আর আমরা ৭ জন বিএনপির, একজন গণফোরামের। আমরা ৮ জন মিলে বিরোধী দল। এখানে সংসদ নেতা আছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল স্পিকারের কাছে একটি আবেদন দিয়েছিলাম। গত বছরের ৪ এপ্রিল আমার এলাকায় আমাকে আসামি করে আমার বড় বোন, আমার ভগ্নিপতিকে আসামি করে জালজালিয়াতির একটি মামলা করা হয়। গত বছর এপ্রিল মাসে করা মামলা দীর্ঘদিন যাবৎ ওইভাবেই পরে থাকে। আমি আমার জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। আমার উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা আমি। পুলিশ সুপার, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতিকে বার বার অনুরোধ করেছি- আমার নামে যে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে কোর্টে এবং কোর্ট এটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে সংশ্লিষ্ট থানাকে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। আজ ১৮ মাস হয়ে গেছে। গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাই। তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যে বিষয়ের সঙ্গে অপরাধী নই, কেন আমাকে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। আমার বোন প্রায় ষাটোর্ধ বয়সের, ভগ্নিপতির বয়স ৭০ বছর, এক মাস পর পর তাদের হাজিরা দিতে হচ্ছে। আমি বার বার তাগাদা দিচ্ছি, আমি কোনো ফেবার চাই না। যা তদন্ত করে পাও তুমি রিপোর্ট দাখিল কর। এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টিতে নিয়ে আসছি। ওনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। দুঃখটা এই কারণে গতকাল যখন অধিবেশন শেষে করে গেলাম, বিকেল ৪টার দিকে তখন আমার জেলার একজন এসআই বলল স্যার আপনার মামলাটি থানা থেকে সিআইডিতে স্থানান্তর করে দিচ্ছি। ১৮ মাস ধরে কেন মামলাটি ফেলে রাখল। এটি তো ১৮ মাস আগেই সিআইডিতে দিতে পারত। এটা তো সিআইডিতে দেয়ার মতো মামলা নয়। আমার সন্তানরা বলে তুমি সিটিং এমপি, তোমার নামে ভূমি দস্যুরা মামলা করে, তুমি প্রতিকার পাও না, তুমি কেন সংসদে যাও, চল বিদেশে চলে যাই।’

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি ফেবার চাই না। অবিলম্বে তদন্ত রিপোর্ট চাই। আমি অভিযুক্ত হলে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দেন, আদালতে বিচার হোক। কিন্তু কেন ১৮ মাস ফেলে রাখলেন?’

এরপর তিনি গাড়ি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদ চতুর্থ সংসদে এমপিদের জন্য কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবং গাড়ি আমদানির সুযোগ দিয়েছিলেন। আমার নামে ১/১১ সময় একটি মামলা হয়েছিল। আমার নামে ২০০৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা দিল। অথচ গাড়ি হস্তান্তর হয়নি। আপিল বিভাগে আবেদন করার পর মামলা স্থগিত হলো। এমপি হওয়ার পর মামলাটি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত হয়ে নিম্ন আদালতে গেল। আমার নামে ৫ বছরের জেল এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করল। আপিল করাতে জামিন দিল। সর্বোচ্চ আদালতে আপিল বহাল করেছে। আবার কে যেন রিট পিটিশন করেছে।’

তিনি সংসদ নেতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি এমপিদের সুযোগ বাতিল করে দেন। আমি কেন বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে থাকব। কেন আমাকে মিডিয়াতে উত্তর দিতে হবে, এমপিশিপ আগামী মাসেই চলে যাবে। সংসদ নেতা আপনি বলে দেন, কোর্ট থেকে বলা লাগবে না, আমি কালকেই সংসদ থেকে পদত্যাগ করে চলে যাব। আমি রিজাইন দেব। পরিষ্কারভাবেই বলতে চাই।’

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;